কলকাতা, 9 অক্টোবর: সম্প্রতি দলত্যাগ বিরোধী মামলায় সংসদ থেকে সমন এসেছে। এরইমধ্যে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। লক্ষ্মীপুজোর দিন ঘাসফুল শিবিরের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হল বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে (TMC Slams Sisir Adhikari) ৷ ঠিক কী ঘটেছে এবার জেনে নেওয়া যাক ৷
পঞ্জিকা মতে রবিবার ছিল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। আর কোজাগরী পূর্ণিমায় অধিকারী পরিবারের ঠিকানা 'শান্তিকুঞ্জ'-এ ধুমধাম করে লক্ষ্মীপুজোর রীতি দীর্ঘদিনের। সেইমত এদিনও আয়োজন হয়েছিল। আর সেই পুজোয় উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar reaches Shantikunja on Laxmi puja)। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। শান্তিকুঞ্জে গিয়ে কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। তিনি যখন শিশির বাবুর সঙ্গে কথা বলছেন সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দুর ছোট ভাই তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী। শান্তিকুঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবিরের গলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই ঘটনাকে সামনে রেখে শিশির অধিকারীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, "অধিকারী পরিবার যে দলবদলু তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।" যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শিশির অধিকারীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎকে 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' বলেই উল্লেখ করেছেন। বালুরঘাটের সাংসদের কথায়, "আমি এখানে বিজয়ার প্রণাম করতে এসেছিলাম। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হলে আমরা বয়োজ্যেষ্ঠদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি। এটাই আমাদের রীতি। পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিতে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ যে ক'জন রাজনীতিক বেঁচে আছেন, তাঁদের একজন শিশিরবাবু। তাই তাঁকে সম্মান জানাতে এসেছিলাম।"
আরও পড়ুন: কালীঘাটে মমতা-মুকুল বৈঠক, চেনা ছন্দে ফিরছেন তৃণমূলের ক্রাইসিস ম্যানেজার ?
একইসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও যেতে পারতাম। কিন্তু এমনটা করলে আমাদের দলীয় কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিজেপি কর্মীদের রক্তের দাগ লেগে আছে। তাই আমি তাঁর বাড়িতে যাব না।" যদিও সুকান্তর এই বক্তব্যকে সেভাবে আমল দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। এর পালটা দিতে গিয়ে কুণাল বলেছেন, "শিশিরবাবু এখনও তৃণমূলের নির্বাচিত সাংসদ। অথচ বৈঠক করছেন বিজেপি সভাপতির সঙ্গে। সুকান্তবাবুরা যেন মনে রাখেন শিশিরবাবু একবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন, তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। আর শুভেন্দু, দিব্যেন্দু, সৌমেন্দুও রাজনীতিতে যা পেয়েছেন বা করেছেন, তাও মমতা দি'র জন্যই।"