ETV Bharat / state

Babake Bolo : ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে কিছুই বলার নেই, বলছে তৃণমূল !

author img

By

Published : Jul 10, 2021, 6:50 PM IST

‘বাবাকে বলো’ নিয়ে তাদের কিছুই বলার নেই ৷ বলছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাদের পাল্টা দাবি, এই ঘটনা বিজেপির অন্দরের কোন্দলেরই বহিঃপ্রকাশ ৷ দলেরই কোনও বিক্ষুব্ধ নেতা ‘দিদিকে বলো’র অনুকরণে ‘বাবাকে বলো’ প্রতীক তৈরি করে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছেন বলে অনুমান তৃণমূল যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরির ৷

tmc-opinion-on-viral-babake-balo-campaign-in-social-media
Babake Balo : ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে কিছুই বলার নেই, বলছে তৃণমূল !

কাঁথি, 10 জুলাই : ছেলে-পিলেরা দোষ করলে তার দায় তো বাবাকেই নিতে হয় ৷ হয়তো ওঁরও ছেলেরা বিজেপিতে গিয়ে ঠিক মতো কাজ করছেন না ৷ আর সেই কারণে দলেরই কেউ সেকথা ‘বাবাকে বলা’র পরামর্শ দিয়েছেন ৷ সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ৷ সাফ জানিয়ে দিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই ৷

মূলত একুশের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ৷ সেই রাজনৈতিক প্রচারের প্রতীক নকল করেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় হঠাৎ আত্মপ্রকাশ ‘বাবাকে বলো’র ! তবে ‘দিদি’ মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) বদলে ‘বাবাকে বলো’র প্রতীকে রয়েছে শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) ছবি ৷ তৃণমূলের প্রচার-প্রতীকের উপরের অংশে লেখা থাকে ‘দিদিকে বলো’ আর নিচের অংশে থাকে একটি টোল ফ্রি মোবাইল নম্বর ৷ অন্যদিকে, শিশির অধিকারীর ছবির উপরে লেখা রয়েছে ‘বাবাকে বলো’ আর নিচে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ৷

আরও পড়ুন : ‘বাবাকে বলো’র বিরুদ্ধে থানায় দিব্যেন্দু, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রকৃত তদন্তের আবেদন শিশির-পুত্রের

গোটা ঘটনায় বেজায় চটেছে গেরুয়া শিবির ৷ শুক্রবার কাঁথি থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করে এসেছেন শিশিরে ছেলে তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) ৷ বিজেপির তরফে অভিযোগ, পুরোটাই আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের কারসাজি ৷ তারাই শিশির অধিকারীকে উত্যক্ত করতে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর এভাবে ফাঁস করে দিয়েছে ৷ বিজেপির দাবি, তাদের দলের নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যেহেতু শিশিরের ছেলে, তাই তাঁকে এভাবে নিশানা করা হয়েছে ৷

গেরুয়াবাহিনীর অভিযোগ এক বাক্যে খারিজ করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির ৷ এই প্রসঙ্গে দলের যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি বলেন, তৃণমূলের হাতে এখন অনেক কাজ ৷ মানুষ তাঁদের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতায় ফিরিয়েছেন ৷ মানুষের কাজ করতে গিয়ে তাঁরা যদি একান্তই কোনও সমস্য়ায় পড়েন, তাহলে তাঁরা সেকথা ‘দিদি’কে বলবেন, কিংবা মানুষের সঙ্গে থাকা ‘দাদা’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee) বলবেন ৷ কিন্তু ‘বাবা’কে বলবেন ? আর শিশির অধিকারীকেই বা তাঁরা ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করবেন কেন !

আরও পড়ুন : Kunal Ghosh : প্রথমে নিজের বাবাকে শেখান, দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের

তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা ব্যাখ্যা, পুরোটাই আসলে বিজেপির ঘরের কোন্দল ৷ দীর্ঘদিন তৃণমূলে থাকার পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শিশিরের ছেলে শুভেন্দু ৷ দলের টিকিটে ভোটে লড়ে বিধায়কও হয়েছেন ৷ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ অথচ সেই দলেরই কেউ কেউ তাঁর নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করছেন ৷ অধিকারীদের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুলছেন ৷ তৃণমূলের কটাক্ষ, হয়তো তেমনই কোনও বিক্ষুব্ধ নেতা ‘দিদিকে বলো’র অনুকরণে ‘বাবাকে বলো’ বানিয়েছেন ৷ শিশিরকে বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি যেন তাঁর ছেলেকে সামলান !

এই ঘটনায় দিব্যেন্দুর অভিযোগ দায়েরের প্রসঙ্গ ওঠায় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, তাদের এ নিয়ে কিছুই বলার নেই ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছুই ভাইরাল হয় ৷ তা বলে তার সবটুকুকে গুরুত্ব দেওয়া যায় না ৷ আর পুলিশের কাছে যদি কোনও অভিযোগ হয়েই থাকে, তবে পুলিশ তার মতো তদন্ত করবে ৷ এখানে দলের কিছু করার নেই বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের ৷

কাঁথি, 10 জুলাই : ছেলে-পিলেরা দোষ করলে তার দায় তো বাবাকেই নিতে হয় ৷ হয়তো ওঁরও ছেলেরা বিজেপিতে গিয়ে ঠিক মতো কাজ করছেন না ৷ আর সেই কারণে দলেরই কেউ সেকথা ‘বাবাকে বলা’র পরামর্শ দিয়েছেন ৷ সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ৷ সাফ জানিয়ে দিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই ৷

মূলত একুশের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ৷ সেই রাজনৈতিক প্রচারের প্রতীক নকল করেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় হঠাৎ আত্মপ্রকাশ ‘বাবাকে বলো’র ! তবে ‘দিদি’ মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) বদলে ‘বাবাকে বলো’র প্রতীকে রয়েছে শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) ছবি ৷ তৃণমূলের প্রচার-প্রতীকের উপরের অংশে লেখা থাকে ‘দিদিকে বলো’ আর নিচের অংশে থাকে একটি টোল ফ্রি মোবাইল নম্বর ৷ অন্যদিকে, শিশির অধিকারীর ছবির উপরে লেখা রয়েছে ‘বাবাকে বলো’ আর নিচে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ৷

আরও পড়ুন : ‘বাবাকে বলো’র বিরুদ্ধে থানায় দিব্যেন্দু, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রকৃত তদন্তের আবেদন শিশির-পুত্রের

গোটা ঘটনায় বেজায় চটেছে গেরুয়া শিবির ৷ শুক্রবার কাঁথি থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করে এসেছেন শিশিরে ছেলে তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) ৷ বিজেপির তরফে অভিযোগ, পুরোটাই আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের কারসাজি ৷ তারাই শিশির অধিকারীকে উত্যক্ত করতে তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর এভাবে ফাঁস করে দিয়েছে ৷ বিজেপির দাবি, তাদের দলের নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যেহেতু শিশিরের ছেলে, তাই তাঁকে এভাবে নিশানা করা হয়েছে ৷

গেরুয়াবাহিনীর অভিযোগ এক বাক্যে খারিজ করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির ৷ এই প্রসঙ্গে দলের যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি বলেন, তৃণমূলের হাতে এখন অনেক কাজ ৷ মানুষ তাঁদের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতায় ফিরিয়েছেন ৷ মানুষের কাজ করতে গিয়ে তাঁরা যদি একান্তই কোনও সমস্য়ায় পড়েন, তাহলে তাঁরা সেকথা ‘দিদি’কে বলবেন, কিংবা মানুষের সঙ্গে থাকা ‘দাদা’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee) বলবেন ৷ কিন্তু ‘বাবা’কে বলবেন ? আর শিশির অধিকারীকেই বা তাঁরা ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করবেন কেন !

আরও পড়ুন : Kunal Ghosh : প্রথমে নিজের বাবাকে শেখান, দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের

তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা ব্যাখ্যা, পুরোটাই আসলে বিজেপির ঘরের কোন্দল ৷ দীর্ঘদিন তৃণমূলে থাকার পর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শিশিরের ছেলে শুভেন্দু ৷ দলের টিকিটে ভোটে লড়ে বিধায়কও হয়েছেন ৷ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ অথচ সেই দলেরই কেউ কেউ তাঁর নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করছেন ৷ অধিকারীদের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুলছেন ৷ তৃণমূলের কটাক্ষ, হয়তো তেমনই কোনও বিক্ষুব্ধ নেতা ‘দিদিকে বলো’র অনুকরণে ‘বাবাকে বলো’ বানিয়েছেন ৷ শিশিরকে বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি যেন তাঁর ছেলেকে সামলান !

এই ঘটনায় দিব্যেন্দুর অভিযোগ দায়েরের প্রসঙ্গ ওঠায় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, তাদের এ নিয়ে কিছুই বলার নেই ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছুই ভাইরাল হয় ৷ তা বলে তার সবটুকুকে গুরুত্ব দেওয়া যায় না ৷ আর পুলিশের কাছে যদি কোনও অভিযোগ হয়েই থাকে, তবে পুলিশ তার মতো তদন্ত করবে ৷ এখানে দলের কিছু করার নেই বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.