নন্দকুমার, 2 নভেম্বর: এ যেন সিনেমার দৃশ্য ! বিডিও অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাচ্ছেন ৷ তাই কেঁদে ভাসালেন বিধায়ক ৷ এমনই এক দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বলিউডের 'নায়ক' সিনেমায় ৷ যেখানে একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সিনেমার নায়ক অনিল কাপুর ৷ ওই একদিনে এত ভালো কাজ করেছিলেন তিনি যে তাঁর পদের মেয়াদ শেষ হতেই সবার মন ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল ৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর আপ্তসহায়ক থেকে সাধারণ জনগণ ৷ বলা চলে সেই ঘটনারই যেন এক ঝলক দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে ৷
করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় তিন বছর আগে নন্দকুমার ব্লকে বিডিও হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন শানু বকসি ৷ এখান থেকে এবার অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাচ্ছেন তিনি ৷ আর তাঁর এই বিদায়কে মেনে নিতে পাচ্ছেন না নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে ৷ বৃহস্পতিবার শানুর জন্য একটি বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক ৷ অনুষ্ঠানের মাঝেই কেঁদে ফেললেন তিনি ৷ বিডিওর পাশে বসেই রুমাল দিয়ে নিজের চোখের জল মুছতে দেখা গেল তাঁকে ৷ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আধিকারিক থেকে কর্মীরা গান ও কবিতার মধ্য দিয়ে বিদায় জানালেন বিডিওকে ।
অনুষ্ঠান শেষে নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে বলেন,"3 বছর 2 মাস ধরে শানু বকসি অন্তত দক্ষতার সঙ্গে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ করোনার সময় তিনি এখানে কাজে যোগ দেন । তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি কাজ করেছেন । এর সঙ্গে নন্দকুমারের উন্নয়নে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে ৷ সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজে করেছেন তিনি ৷ তাই তাঁর কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে দাগ কেটেছেন শানু ।"
আরও পড়ুন: 'রাতে কার সঙ্গে কথা', ব্যক্তিগত প্রশ্নে এথিক্স কমিটির মিটিং থেকে বেরিয়ে গেলেন মহুয়া
বিডিও শানু বকসির কথায়, "অফিসটাকে কখনও অফিস মনে করিনি । বাড়ি মনে করেছিলাম এবং এলাকার মানুষদের পরিবারের সদস্য মনে করতাম । পরিবারের সঙ্গে যেভাবে মিলেমিশে থাকি, সকলে সেভাবে থাকার চেষ্টা করেছিলাম ৷ সকলকেই সেভাবেই সম্বোধন করতাম, দাদা কিংবা দিদি বলে । তাই আজকে যখন তাঁদের ছেড়ে যাচ্ছি কষ্ট হচ্ছে । এই ব্লকে প্রথম কাজ আমার ৷ প্রথম জিনিস সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকে । নন্দকুমার আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।"