কাঁথি, 19 মে: এগরা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ভানু বাগের ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগকে 10 দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল কাঁথি আদালত ৷ বৃহস্পতিবার কটকের 16 নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পৃথ্বীজিৎ বাগকে গ্রেফতার করে সিআইডি ৷ গাড়িতে পালানো সময় ওড়িশা পুলিশের মদতে তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে রাজ্য সিআইডি-র আধিকারিকরা ৷ আজ তাঁকে কাঁথি আদালতে তোলা হয় ৷ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কটকের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের ৷
গত মঙ্গলবার সকালে এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর হয়েছে ৷ যে ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় ছেলে এবং ভাইপোর মদতে বাংলা-ওড়িশা সীমানা পেরিয়ে কটকে পৌঁছন বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ৷ সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয় তাঁকে ৷ তাও আবার জাল নথির সাহায্যে ৷ এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তে নেমে পুরো বিষয়টি জানতে পারে ৷ এরপর ওড়িশায় একটি দল পাঠানো হয় ৷ সেখানে গতকালই ভানু বাগের ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগকে কটকদের সদর থানার গতড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ তাঁকে বৃহস্পতিবারই কাঁথি মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে 8 দিনের সিআইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে ৷
আর গতকাল রাতে কটকের 16 নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পৃথ্বীজিৎ বাগকে গ্রেফতার করে সিআইডি ৷ আজ সকালে তাঁকে কাঁথিতে নিয়ে আসা হয় ৷ জানা গিয়েছে, পৃথ্বীজিৎকে প্রথমে 14 দিনের হেফাজতে চেয়েছিল সিআইডি ৷ কিন্তু, আদালত 10 দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছে ৷ বিস্ফোরণ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিআইডি ৷
আরও পড়ুন: অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভানু বাগ মাত্র 90 মিনিটে নিজের আধার জাল করে পালান ওড়িশায় !
তবে, এগরা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে পুলিশের তদন্তে সমস্যা হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ কারণ, ওই বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ছিলেন ভানু বাগ ৷ ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য জানতে পারতেন গোয়েন্দারা ৷ কিন্তু, কটকের হাসপাতালে ভানু বাগের কাছে তদন্তকারীদের যেতে দেওয়া হয়নি ৷ তাঁর শরীরের 70 শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল ৷ এবার সেই ভানু বাগের মৃত্যুতে অনেক তথ্য তদন্তকারীদের হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷