কলকাতা, 4 অক্টোবর: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরি সংক্রান্ত মামলার সমস্ত রকম তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি কৌশিক চন্দ আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি নির্দেশে জানিয়েছেন, পুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পর থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত মামলার সমস্ত রকম তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
কাঁথি পৌরসভা থেকে গত 29 মে ত্রিপল চুরির অভিযোগ ওঠে। দিনেরবেলা সবার সামনে থেকেই কাঁথি পৌরসভা থেকে লরিতে করে ত্রিপল বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে গত 1 জুন কাঁথি থানায় অভিযোগ করেন পৌর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রত্নদ্বীপ মান্না ৷ এফআইআরে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নাম ছাড়াও 1 নাইট গার্ডের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে আরও বেশ কয়েকজন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের নামও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়। এই অভিযোগ খারিজের দাবিতে ও তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী। গত জুন মাস থেকে সেই মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন: সিবিআই অফিসারদের বিধানসভার স্পিকারের কাছে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের
23 আগস্ট বিচারপতি কৌশিক চন্দ এই মামলা শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। প্রথমে মামলাটি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে দায়ের হলেও পরে মামলাটি আসে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু এই মামলার তদন্তের উপর এতদিন কোনও স্থগিতাদেশ আরোপ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি কৌশিক চন্দ নির্দেশে স্পষ্ট জানালেন, আপাতত তদন্ত প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। উল্লেখ্য, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিমাংশু মান্নার নামও পরবর্তীকালে জড়িয়ে ছিল এই ত্রিপল চুরির মামলায়। যদিও বিচারপতি রাজাশেখর মানথা সেই মামলায় হিমাংশু মান্নাকে পুলিশ যেন গ্রেফতার না করে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তদন্তের নামে তাঁকে হয়রানি করতে নিষেধ করেছিলেন বিচারপতি। যদিও সেই মামলাটিও এখনও বিচারপতি রাজশেখর মানথার সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে।