ETV Bharat / state

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুবতিকে খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার স্বামী

author img

By

Published : Jan 13, 2020, 10:35 PM IST

Updated : Jan 13, 2020, 11:07 PM IST

উল্লেখ্য ছয় বছর আগে মন্টু রানার সঙ্গে বিয়ে হয় মানসীর (21) ৷ তাদের সাড়ে তিনবছরের এক মেয়েও রয়েছে ৷ এরই মধ্যে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা সনাতন জানার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানসীর ৷ এক বছর আগে মন্টু এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরেই খুনের পরিকল্পনা করে মন্টু ।

image
গ্রেপ্তার স্বামী

তমলুক, 13 জানুয়ারি : রবিবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বাপের বাড়ি থেকে এসে রান্নার জোগাড় করেছিল মানসী । অভিযোগ, হঠাৎই পিছন দিক থেকে তাঁর উপর আক্রমণ করে মন্টু । হাঁসুয়া দিয়ে কেটে দেয় তাঁর গলার নলি । যন্ত্রণায় মানসী লুটিয়ে পড়েন মাটিতে । তারপরও বাঁচার চেষ্টা করেন তিনি । কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি । ঝুপড়ির সামনে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে তাঁর নিথর দেহ । এই ঘটনায় স্বামী মন্টু রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । প্রথমে অস্বীকার করলেও জেরায় আজ খুনের কথা স্বীকার করে নেয় মন্টু ।

উল্লেখ্য, ছ'বছর আগে মন্টু রানার সঙ্গে বিয়ে হয় মানসীর (21) ৷ তাদের সাড়ে তিনবছরের এক মেয়েও রয়েছে ৷ এরই মধ্যে তমলুকের ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা সনাতন জানার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানসীর ৷ এক বছর আগে মন্টু এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরেই খুনের পরিকল্পনা করে মন্টু । সে মানিকতলার বাজারের একটি দোকান থেকে হাঁসুয়া কেনে । সেই হাঁসুয়া দিয়েই মানসীকে খুন করে ৷ ভেবেছিল সনাতন যেহেতু স্বামীর পরিচয়ে মানসীর সঙ্গে থাকছিল তাই একমাত্র তার উপরই খুনের দায় চাপবে । পুলিশও দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে । অবশেষে আজ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে মন্টু ।

আরও পড়ুন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন যুবতি, আটক প্রেমিক ও স্বামী

এই প্রসঙ্গে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন,মানসীর বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই এই খুন বলে স্বীকার করে নিয়েছে মন্টু । তাকে বধূ নির্যাতন ও ভরণপোষণের মামলায় জড়িয়ে দিয়েছিল মানসী । সেই আক্রোশ মেটাতেই স্ত্রীকে হাঁসুয়ার কোপ দিয়ে খুন করে । অভিযুক্ত মন্টু রানাকে আগামীকাল তমলুক জেলা আদালতে তোলা হবে ।

তমলুক, 13 জানুয়ারি : রবিবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বাপের বাড়ি থেকে এসে রান্নার জোগাড় করেছিল মানসী । অভিযোগ, হঠাৎই পিছন দিক থেকে তাঁর উপর আক্রমণ করে মন্টু । হাঁসুয়া দিয়ে কেটে দেয় তাঁর গলার নলি । যন্ত্রণায় মানসী লুটিয়ে পড়েন মাটিতে । তারপরও বাঁচার চেষ্টা করেন তিনি । কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি । ঝুপড়ির সামনে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে তাঁর নিথর দেহ । এই ঘটনায় স্বামী মন্টু রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । প্রথমে অস্বীকার করলেও জেরায় আজ খুনের কথা স্বীকার করে নেয় মন্টু ।

উল্লেখ্য, ছ'বছর আগে মন্টু রানার সঙ্গে বিয়ে হয় মানসীর (21) ৷ তাদের সাড়ে তিনবছরের এক মেয়েও রয়েছে ৷ এরই মধ্যে তমলুকের ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা সনাতন জানার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানসীর ৷ এক বছর আগে মন্টু এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরেই খুনের পরিকল্পনা করে মন্টু । সে মানিকতলার বাজারের একটি দোকান থেকে হাঁসুয়া কেনে । সেই হাঁসুয়া দিয়েই মানসীকে খুন করে ৷ ভেবেছিল সনাতন যেহেতু স্বামীর পরিচয়ে মানসীর সঙ্গে থাকছিল তাই একমাত্র তার উপরই খুনের দায় চাপবে । পুলিশও দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে । অবশেষে আজ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে মন্টু ।

আরও পড়ুন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন যুবতি, আটক প্রেমিক ও স্বামী

এই প্রসঙ্গে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন,মানসীর বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই এই খুন বলে স্বীকার করে নিয়েছে মন্টু । তাকে বধূ নির্যাতন ও ভরণপোষণের মামলায় জড়িয়ে দিয়েছিল মানসী । সেই আক্রোশ মেটাতেই স্ত্রীকে হাঁসুয়ার কোপ দিয়ে খুন করে । অভিযুক্ত মন্টু রানাকে আগামীকাল তমলুক জেলা আদালতে তোলা হবে ।

Intro:তমলুক, ১৩ জানুয়ারি : তমলুকের আবাসবাড়ির চরে গলার নলি কেটে বধূ মানসী পতি (রানা ২১) খুনের ঘটনায় তার স্বামী মন্টু রানা কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মানসী খুন হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রবিবার দুপুরে তমলুকের সৈয়দপুর এবং ভুবনেশ্বর এলাকা থেকে মন্টু আর মানসীর পরকীয়া প্রেমিক সনাতন জানাকে আটকছিল তমলুক থানার পুলিশ। শুরুতে উভয়েই খুনের কথা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু লম্বা জেরার মুখে পড়ে সোমবার কার্যত খুনের কথা স্বীকার করে নেয় মন্টু।
Body:পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,কাজের তাগিদে প্রায়ই বাইরে বাইরে কাটত প্যান্ডেলকর্মী মন্টুর। এদিকে স্ত্রী মানসী মেতেছিল মাংস দোকানি বিবাহিত সনাতনের প্রেমে। যে কারণে মন্টু ও মিনসীর দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। আর তাই ৬ বছরের সংসার, সম্পর্ক ফেলে সাড়ে তিনবছরের মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তমলুকের নকীবাসনে বাপেরবাড়িতে উঠেছিল মানসী। তারপর তমলুক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ ও বধূ নির্যাতনের মামলা করেছিল মন্টুর ওপর। যেই আক্রোশই স্ত্রীকে খুনের প্রধান কারণ বলে পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করেছে মন্টু। গত ৮ জানুয়ারি বাপেরবাড়ি থেকে চলে এসে সনাতনের সঙ্গে নতুন করে বাঁচার আশায় সংসার পেতেছিল আবাসবাড়ি-চরের ভাড়ার একটি ঝুপড়ি বাড়িতে। রবিবার বেলা সাড়ে ১০ টা নাগাদ সেখানেই খুন হয়েছিল মানসী। পেছন থেকে এসে হাঁসুয়া দিয়ে মন্টু কেটে দিয়েছিল মানসীর গলার নলি। শুরুতেই পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল সনাতনের ওপর। কিন্তু পরে পুলিশ জানতে পারে শনিবার রাতে মানসী ও সনাতন কেউই সঙ্গে ছিল না। সকালে বাপেরবাড়ি থেকে এসে রান্নার জোগাড়যন্ত্র করছিল ভাড়ার ঘরে। সেই সময়ই খুন হয়েছিল মানসী। পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেও রক্ষা হয়নি। ঝুপড়ির সামনে রাস্তার ধারে জমিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল তার। সনাতন ও মানসী স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে উঠেছিল ভাড়ার ঘরে।তাই সনাতনের ঘাড়ে খুনের দায় চাপবে এমন ভেবেই স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছিল মন্টু। পরিকল্পনামাফিক মাণিকতলার বাজারের একটি দোকান থেকে খুনে ব্যবহৃত হাঁসুয়া কিনে ছিল সে। সোমবার দুপুরে পুলিশ সেই লোহার সামাগ্ৰীর দোকানেও খোঁজ খবর চালায় ।
Conclusion:তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন,মনসীর বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই এই খুন বলে স্বীকার করে নিয়েছে মন্টু। সনাতনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ালেও মন্টুকে বধূ নির্যাতন এবং ভরণপোষণের মামলায় জড়িয়ে দিয়েছিল মানসী। সেই আক্রোশ মেটাতেই স্ত্রীকে হাঁসুয়ার কোপ দিয়ে খুন করে সে। অভিযুক্ত মন্টু রানাকে আগামীকাল তমলুক জেলা আদালতে তোলা হবে।
Last Updated : Jan 13, 2020, 11:07 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.