মেদিনীপুর, 6 অক্টোবর: উৎসবের আনন্দ বদলে গিয়েছে বিষাদে ৷ দশমীর রাতে জলপাইগুড়ির মালবাজার মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে 8 জনের ৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতির সন্ধেয় সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে এই দুর্ঘটনার জন্য ফের কাঠগড়ায় তুলে বিরুদ্ধে ফের বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, মাল নদীতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা পূর্ব পরিকল্পিত। রাজ্য সরকার প্রতিমা নয়, মানুষ নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করেছিল (Suvendu Adhikari slams Mamata Banerjee over Malbazar incident)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেখানে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে সাম্প্রতিক অতীতে এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হড়পা বান সংক্রান্ত একাধিক সংবাদের পেপার কাটিং তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার প্রতিমা নিরঞ্জন নয়, মানুষ নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করেছিল।" সেইসঙ্গে পুজো নিয়ে রাজ্য সরকার সেভাবে নজদারি না করে পার্থ-কেষ্টরা জেলের ভিতর কী খাবে তা নিয়ে ব্যস্ত ছিল বলে অভিযোগ শুভেন্দুর ৷ এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্নিভাল বন্ধ রেখে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আহত এবং মৃতদের পাশে থাকার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মালবাজারের দুর্ঘটনা নিয়ে শকুনের রাজনীতি শুভেন্দুর, কটাক্ষ কুণালের
শুভেন্দুর কথায়, আমাদের নেতৃত্ব গতকাল থেকে এলাকায় রয়েছে, মানুষের পাশে রয়েছে। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলোকে রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একাধিক চেক বাউন্স হয়েছে। জোর করে কার্নিভালে অংশগ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।" লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও সরকারকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা বলেন, "আগে প্রতিমাসের 1 তারিখে টাকা দিত, এখন একমাসের টাকা অন্যমাসের 10-15 তারিখেও পাচ্ছে কেউ কেউ। আগামিদিনে রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবে না। এই সরকার আগামিদিনে আর থাকবে না।"