খেজুরি, 15 অক্টোবর: থানার ভিতরে ঢুকে পুলিশ কর্মীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ শনিবার তিনি জানান, এরপর রাস্তার উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে খেজুরি স্তব্ধ করা হবে। তার পাশাপাশি পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে নন্দীগ্রামের ইতিহাস পড়তেও বললেন শুভেন্দু ।
আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রাম। একসময় এই নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে তিনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা। বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের চারিদিকে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে বিরোধীরা। সেই সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়েও। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি থানায় গিয়ে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কার্যত পুলিশ আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন ৷
বিজেপির কর্মীদের মিথ্যে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এদিন একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই পদযাত্রায় যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী, খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস-সহ দলের অন্য নেতারা । খেজুরি বিদ্যাপীঠ থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা শেষ হয় খেজুরি থানায়। তারপর কয়েকজন প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে খেজুরি থানায় ঢোকেন বিরোধী দলনেতা। এদিন কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি জানান, পুলিশ যদি খেজুরি ঠিক রাখতে না পারে তাহলে এবার থেকে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি পড়বে। বিজেপির আসল রূপ সবাই দেখতে পাবেন।
এদিন তিনি বলেন,"ভয়ে থানা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন খেজুরির ওসি। পরবর্তীকালে আমরাই ক্ষমতায় আসব। 15-20 বছর আমাদের অধীনেই আপনাদের কাজ করতে হবে ৷" অন্যদিকে, এই বিষয়ে খেজুরি 2 নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা শ্যামল কুমার মিশ্র বলেন, "শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা করণীয় পুলিশ তা করছে। পুলিশ আইন মেনেই চলছে। এলাকার গোলমালের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।"
আরও পড়ুন : 'সকালবেলা চোর ডাকাতদের কথা..', অভিষেককে নাম না করে কটাক্ষ শুভেন্দুর