খেজুরি, 2 ডিসেম্বর: অবশেষে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই শনিবার খেজুরিতে সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এদিন খেজুরি-1 ব্লকের কামারদায় সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এদিনের সভা থেকে কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, "মমতার নির্দেশে এই জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এই ওসি আমাদের দলীয় কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে ৷ আমরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব এবং আমি কীভাবে আইনি পথে এই অত্যাচারী বর্বর মমতা বাহিনীকে উত্তর দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করব।"
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু আরও বলেন,"দ্বিতীয় কোনও স্লোগান বাংলায় নেই। বাংলায় একটাই স্লোগান, চোর মমতা, চোর মমতা , চোর মমতা।" খেজুরিতে এদিন বিজেপির সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপ দাস, ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি-সহ জেলা স্তরের নেতারা । এদিনের সভায় খেজুরি বিধানসভা এলাকা থেকে প্রায় 5 হাজার কর্মী ও সমর্থক যোগ দেন ৷
প্রসঙ্গত, 2010 সাল থেকে 24 নভেম্বর দিনটি খেজুরিতে 'হার্মাদ মুক্তি দিবস' হিসেবে পালন করে তৃণমূল । সেই মর্মে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন তিনিই প্রতিবছর 24 নভেম্বর দিনটি পালন করতেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী দলবদলের পরে 2021 সাল থেকে এই দিন পালন করছে বিজেপিও ৷ তবে এবছর বিজেপির সেই ধারায় ছেদ পড়ে। 24 নভেম্বর কামারদায় আর সভা করতে পারেনি বিজেপি । সেই দিন তৃণমূলের তরফ থেকে হার্মাদ মুক্তি দিবস পালন করা হয়। তারপরই বিজেপির তরফ থেকে কামারদায় 2 ডিসেম্বর সভা করার কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । সেইমতো কামারদায় সভার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
তবে জেলা পুলিশ-প্রশাসন প্রথমে এই সভার অনুমতি দেয়নি। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করতে হয় বিজেপিকে। মহামান্য আদালত সভা করার অনুমতি দেয় । সেই মতো আদালতের নির্দেশ মেনে এদিনের সভা হয় ৷ উল্লেখ্য, গত 23 নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোড়ায় এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরই প্রতিবাদে খেজুরিতে বনধ ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি নিজে মারিশদা থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভও করেন । বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যে অভিযোগে রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: