তমলুক, 31 মার্চ : জেলায় রক্ত সংকট জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিলেন জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ৷ লকডাউনে রক্তের আকাল দেখা দিয়েছে ৷ তাই তমলুক জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে জরুরি ভিত্তিতে আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবিরের ৷ সেখানেই জেলা পুলিশ সুপার রক্তদান করেন ৷ তাঁর সঙ্গে আরও 36 জন দাতা আজ রক্ত দেন ৷
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, লকডাউনের ফলে পূর্ব মেদিনীপুরজুড়ে যে রক্তদান শিবির করা হত, তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ এক শিবিরে কমপক্ষে 100জন একসঙ্গে রক্তদান করে থাকেন ৷ ফলে ভিড় হয় ৷ তাই কোরোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রের ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, ছোটো ছোটো রক্তদান শিবির করতে হবে ৷ যেখানে কোনওভাবেই 40জনের বেশি রক্তদাতা উপস্থিত থাকবেন না ৷ তাই জেলায় এককালীন বেশি পরিমাণে রক্ত সংগ্রহের কাজ বন্ধ ৷
জেলার তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য প্রতি মাসে প্রায় 600 ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয় ৷ ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত-সংকট থাকায় তাঁরা নির্দিষ্ট দিনে রক্ত পাচ্ছেন না ৷ এই পরিস্থিতিতে আজ তমলুক ভলান্টিয়রি ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে একটি ছোটো রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ৷ খবর পেয়ে সেখানেই রক্তদান করলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ৷
তমলুক ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শুকদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছি ৷ আজ এই শিবিরে প্রায় 40 জন রক্ত দিতে পারবেন ৷ রক্ত সংকটের কথা জেনে পুলিশ সুপার নিজে রক্ত দিয়েছেন ৷ আশা করি, এরকম ছোটো ছোটো ক্যাম্প করে রক্ত সংকট মিটিয়ে ফেলতে পারব ৷" ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, "গতকাল জেলাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন জানতে পেরেছিলাম, জেলায় রক্ত সংকট চলছে ৷ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছিলেন, এই সংকট মেটাতে পুলিশের সাহায্য লাগবে ৷ তাই পুলিশের পক্ষ থেকে এই সংকট মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ৷ আজ জেলা হাসপাতালে রক্তদান শিবির হচ্ছে জানতে পেরে নিজে এসে রক্ত দিয়ে গেলাম ৷"