ETV Bharat / state

Digha Child Trafficking: নার্সিংহোম থেকে 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির অভিযোগে ধৃত চার

দিঘায় মিলল এক শিশু পাচার চক্রের সন্ধান ৷ শিশু বিক্রির অভিযোগে 4 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৃতদের মধ্যে আছে এগরার একটি নার্সিংহোমের মালিক ও তার স্ত্রী ৷

ETV Bharat
দিঘা মোহনা থানা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 3, 2023, 10:02 PM IST

Updated : Sep 3, 2023, 10:56 PM IST

পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য

দিঘা, 3 সেপ্টেম্বর: দিঘা কোস্টাল থানা ও দিঘা হাসপাতালের তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের সন্ধান মিলল ৷ পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকলেরই পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ গত সোমবার দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকাকরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল 4 দিনের এক শিশুপুত্রকে । টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা 3 মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তাতেও অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশের নজরে আনে। তারপর পুলিশ এসে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তুলে দেয় জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে শুরুতেই ওই তিন মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ । পরে অবশ্য দুই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । তবে শিশুটিকে কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার মর্জিনা বিবি নামে আটক অপর মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ওই মহিলা রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের মালিক সঞ্জয় গোল ও তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ । নন্দীগ্রামের রানিচকের বাসিন্দা তারা ।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ধৃত দম্পতি 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন ৷ শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের 5 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । এরপর শনিবার মাঝরাতে পটাশপুর থানার উত্তরখাড় গ্রাম থেকে শিশুটির মামা, দাদু ও মা'কে আটক করে নিয়ে যায় দিঘা মোহনা থানার পুলিশ । শিশুটির মাসি এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমার দিদি প্রতিমা পালের বাড়ি পটাশপুর থানার জবদা গ্রামে । দিদি বাচ্চা হওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন । পরে বাচ্চা প্রসবের জন্য 25 অগস্ট এগরার একটি নার্সিংহোম ভর্তি করা হয় তাকে । নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে তার মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে । কিন্তু সেই মৃত শিশুকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দেখতে দিতে চায়নি ।"

আরও পড়ুন: সৎ বাবার ধর্ষণের শিকার হওয়া নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা, কুকর্ম লুকোতে নির্যাতিতাকে খুন!

এরপর শনিবার মাঝরাতে যখন পুলিশ ওই মহিলার সন্ধানে পটাশপুরের বাড়িতে যায় তখন জানা যায় শিশুটি জীবিত ছিল ও তাকে 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৷ দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে তার খোঁজ চলছে । পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । পুলিশ আধিকারিক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন, 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল । এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে । এখনও তদন্ত চলছে । নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও গ্রেফতার হওয়া চতুর্থ ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি ৷

পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য

দিঘা, 3 সেপ্টেম্বর: দিঘা কোস্টাল থানা ও দিঘা হাসপাতালের তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের সন্ধান মিলল ৷ পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকলেরই পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ গত সোমবার দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকাকরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল 4 দিনের এক শিশুপুত্রকে । টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা 3 মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তাতেও অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশের নজরে আনে। তারপর পুলিশ এসে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তুলে দেয় জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে শুরুতেই ওই তিন মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ । পরে অবশ্য দুই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । তবে শিশুটিকে কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার মর্জিনা বিবি নামে আটক অপর মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ওই মহিলা রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের মালিক সঞ্জয় গোল ও তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ । নন্দীগ্রামের রানিচকের বাসিন্দা তারা ।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ধৃত দম্পতি 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন ৷ শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের 5 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । এরপর শনিবার মাঝরাতে পটাশপুর থানার উত্তরখাড় গ্রাম থেকে শিশুটির মামা, দাদু ও মা'কে আটক করে নিয়ে যায় দিঘা মোহনা থানার পুলিশ । শিশুটির মাসি এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমার দিদি প্রতিমা পালের বাড়ি পটাশপুর থানার জবদা গ্রামে । দিদি বাচ্চা হওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন । পরে বাচ্চা প্রসবের জন্য 25 অগস্ট এগরার একটি নার্সিংহোম ভর্তি করা হয় তাকে । নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে তার মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে । কিন্তু সেই মৃত শিশুকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দেখতে দিতে চায়নি ।"

আরও পড়ুন: সৎ বাবার ধর্ষণের শিকার হওয়া নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা, কুকর্ম লুকোতে নির্যাতিতাকে খুন!

এরপর শনিবার মাঝরাতে যখন পুলিশ ওই মহিলার সন্ধানে পটাশপুরের বাড়িতে যায় তখন জানা যায় শিশুটি জীবিত ছিল ও তাকে 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৷ দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে তার খোঁজ চলছে । পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । পুলিশ আধিকারিক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন, 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল । এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে । এখনও তদন্ত চলছে । নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও গ্রেফতার হওয়া চতুর্থ ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি ৷

Last Updated : Sep 3, 2023, 10:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.