ময়না, 4 মে: বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়াঁকে পুলিশের নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এমনই দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ৷
চলতি মাসের 2 তারিখ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার গোড়ামহল গ্রামের 234 নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়াঁ (61)-কে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ৷ সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির অদূরে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে ময়না-সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ৷ রাজ্যজুড়ে এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷
বৃহস্পতিবার জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান । যে পুকুরের পাশে বিজেপি নেতার দেহ পাওয়া গিয়েছিল, প্রথমে তিনি সেই পুকুর পরিদর্শন করেন । তারপর সেখান থেকে মৃতদেহ তুলে যেখানে ফেলা হয়েছিল সেখানেও যান তিনি ৷ সেখানে তখনও দেখা যায় রক্তের দাগ ৷ তার উপর শুধু বালি ফেলে রাখা হয়েছে ৷ কেন সেই জায়গা ঘিরে দেওয়া হয়নি, পুলিশের আধিকারিকদের কাছে সেই প্রশ্ন করেন অরুণ হালদার ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে এ দিন আইসি-কে ভর্ৎসনা করেন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ।
তিনি প্রশ্ন করেন, আজ যেখানে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন, সেখানে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক কেন সেখানে উপস্থিত নেই ? অরুণ হালদারের কথায়, প্রায় 22 শতাংশ তফশিলি ভোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের । এরপরই তিনি হুমকির সুরে বলেন, এ বার সব দিল্লিতে কথা হবে । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরুণ হালদার দাবি করেন, "মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এটা পরিষ্কার যে, পরিকল্পিতভাবে পুলিশের নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়াঁকে ৷ এটাই হেডলাইন করুন ৷"
আরও পড়ুন: ময়না-কাণ্ডের প্রতিবাদে কাঁথিতে পথ অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বিজেপির একাধিক কর্মী