কাঁথি, 11 জানুয়ারি : শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে প্রতিনিয়ত চলছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ । যার জেরে ভুগতে হচ্ছে আমজনতাকে । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার অন্তর্গত কাঁথি-রসলপুর রাজ্য সড়ক লাগোয়া বাকুয়া বাঁধের কাছে (Roadblocks in Kanthi due to inner clash of tmc) ।
গত 1 জানুয়ারির রাতে তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেনের অনুগামীরা রাতের বেলা মদ্যপ অবস্থায় এলাকার এক নিরীহ গ্রামবাসীকে মারধর করার পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে 2 তারিখ সকাল থেকে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের সহকারি সভাপতি তথা এলাকার তৃণমূল নেতা তরুণ জানার অনুগামীরা কাঁথি-রসুলপুর রাজ্য সড়ক রাস্তা বকুয়া বাঁধ স্ট্যান্ডে অবরোধ করে । খবর পেয়ে কাঁথি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও রাস্তা অবরোধ মুক্ত করে ।
আরও পড়ুন : Go Back Slogan To Suvendu Adhikari : পটাশপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে গো-ব্যাক স্লোগান তৃণমূলের
এরপর সেই সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকাবাসীদের সঙ্গে কাঁথি থানার পুলিশ ও দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিওর মধ্যে বার দুয়েক বৈঠক হয় ৷ কতটা সেই আলোচনা সমস্যা সমাধান করল তা বুঝে ওঠার আগেই ফের 5 তারিখে মামুদ হোসেনের অনুগামীরা পথ অবরোধ করে । মঙ্গলবার আবার তরুণ জানার গোষ্ঠীর লোকজন প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পথ অবরোধ করে । এই অবরোধ কর্মসূচি শেষের পর কাঁথির ফুলেশ্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে তৃণমূল সমর্থকরা ৷
জানা গিয়েছে, বকুয়া বাঁধ স্ট্যান্ডে একটি জায়গা নিয়েই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সমস্যা । স্থানীয় বাসিন্দাদের যার মাশুল গুনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত ৷ আর এই নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, বর্তমান শাসকদল যত্রতত্র জমায়েত করছে শত শত সমর্থকদের নিয়ে ৷ তার বেলায় কোভিড বিধি মানার বালাই নেই । কিন্তু জনগণ বা বিরোধী দল রাস্তায় মাস্ক না পরলেই উর্দিধারী আইন রক্ষকেরা বেজায় চটেন । কেন প্রতি দু'দিন অন্তর পথ অবরোধ হচ্ছে, কী করছে প্রশাসন ? শাসকদলের নেতা বা অনুগামী বলেই কি আমজনতাকে বোকা বানাচ্ছে ?
আরও পড়ুন :TMC BJP Clash : তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত খেজুরি, মৃত দুই তৃণমূল কর্মী