ময়না, 2 মে : কোয়ারানটিন সেন্টারের গাফিলতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আবাসিকরা ৷ কোয়ারান্টিন সেন্টারের ছাদে উঠে বিক্ষোভ দেখালেন আবাসিকরা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না রামকৃষ্ণ অ্যাসোসিয়েশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে ময়নার একটি বেসরকারি B.ed কলেজে গড়ে তোলা হয়েছে সেন্টার । সেখানেই রাখা হয়েছে এলাকার প্রায় 70 জন বাসিন্দাকে । কিন্তু সেখানে থাকা আবাসিকদের অভিযোগ কলেজের হলঘরে সামাজিক দূরত্ব না মেনে একসঙ্গে রাখা হয়েছে তাঁদের । দুবেলা দেওয়া হচ্ছে না সঠিক পরিমাণের স্বাস্থ্যকর খাদ্য । পরিষ্কার করা হচ্ছে না কোয়ারানটিন সেন্টার ৷ এই কারণে সেন্টারের ছাদে উঠে বিক্ষোভ দেখালেন আবাসিকরা । যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্লক প্রশাসন ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না ব্লক ও সংলগ্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন । কোরোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে বাইরে থেকে আসা জেলার বাসিন্দাদের রাখার জন্য আগেই জেলা প্রশাসনের তরফে একাধিক ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছে কোয়ারানটিন সেন্টার । অনান্য রাজ্য ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও কেউ এলাকায় প্রবেশ করলেই স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁদের স্ক্রিনিং করানোর পর 14 দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে কোয়ারানটিন সেন্টারে ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না ব্লকের নতুনপুকুর এলাকাতেও জেলা প্রশাসনের তরফে ময়না রামকৃষ্ণ অ্যাসোসিয়েশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে বাইরে থেকে আসা এলাকার বাসিন্দাদের । তাঁদের অভিযোগ, সরকারি গাইডলাইন মেনে যেভাবে তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার কথা সে পরিষেবা দিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন । যে ঘর ও হল ঘরগুলিতে তাঁদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে তা অত্যন্ত অপরিষ্কার । প্রতিদিন নিয়ম করে সাফাই করা হচ্ছে না শৌচালয়গুলিও । প্রশাসনের তরফে পাঠানো খাবার স্বাস্থ্যকর নয় বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা । সেই সঙ্গে হলঘরে একসঙ্গে অনেক জনকে রাখায় মেনে চলা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ।
এবিষয়ে কোয়ারানটিন সেন্টারের থাকা পলাশ দাসেরও একই অভিযোগ ৷ তিনি বলেন, "ভাত পরিমাণ মতো দেওয়া হলেও তার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে না পরিমাণ মতো সবজি ৷" ওই সেন্টারের আবাসিক সুতপা দাস অভিযোগ করেন, "আমাদের একটি ঘরে দু'জনকে থাকতে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু ঘর অত্যন্ত অপরিষ্কার । খাবারের মান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর । সুগারের রোগীকে খেতে দেওয়া হচ্ছে আলুর তরকারি ।" এই বিষয়গুলিতে প্রশাসনের নজর দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন আবাসিকরা৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ময়না ব্লকের BDO রাজীব সরকার ৷ তিনি জানান, "কোয়ারানটিন সেন্টারে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে । সুইপার দিয়ে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা হচ্ছে শৌচাগার ও আবাসিকদের থাকার জায়গাগুলি ৷ নিয়ম করে আমরা বেড পরিবর্তন করে দিচ্ছি । আবাসিকরা যে অভিযোগ করছেন তা অসত্য ।"