পূর্ব মেদিনীপুর, 15 জুন: দিনকয়েক আগে পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দরে একটি ট্রলারডুবিতে 8 জন মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তবুও জীবিকার টানে মাছ ধরতে সমুদ্রে তো পাড়ি দিতেই হবে মৎস্যজীবীদের ৷ 15 জুনের পর মাছ ধরার জন্য সরকারি অনুমতি মিলেছে ৷ আর অনুমতি মিলতেই শংকরপুর, পেটুয়াঘাট, শৌলা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন মৎস্যবন্দর থেকে একে একে ট্রলার গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় (Purba Medinipur fishermen take last minute preparation before fishing)।
এপ্রিলের 15-14 জুন পর্যন্ত দু'মাস বন্ধ থাকে সমুদ্রে মাছ ধরা। এই দুই মাস মাছের প্রজনন কাল। 15 জুন থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে মৎস্য দফতর ৷ সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি বহুদিন ধরেই শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা ৷ ছোট বড় নৌকা এবং ট্রলার মিলিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় প্রায় 3500-4000টি নৌকা। যার মধ্যে বড় ট্রলার থাকে প্রায় 1500-1800টি। তারপর কখনও সাত ঘন্টা, কখনও দশ ঘন্টা সমুদ্র পথ পেরিয়ে ফেলা হবে জাল। সমুদ্রের ফসলে ভরে উঠবে ট্রলারের পেট। উত্তাল সামুদ্রের বুক থেকে মৎস্যজীবীরা আহরণ করবেন আনবেন ইলিশ, পমফ্রেট, ভোলা, চিংড়ি, পারশে-সহ বহু রকম সামুদ্রিক মাছ। সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে ৷ কেবল সরকারি নির্দেশিকার অপেক্ষা ৷
আরও পড়ুন : মাঝ নদীতে ট্রলার উলটে বিপত্তি, উদ্ধার 15 মৎস্যজীবী
দিনকয়েক আগে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে পড়ে পেটুয়াঘাটের কাছে উলটে যায় নন্দীগ্রামের একটি ট্রলার। দুর্ঘটনায় 4 মৎস্যজীবীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও 8 জনের মৃত্যু হয়েছে । তবুও রুটি-রুজির টানে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা । কারণ 'পেট বড় যে বালাই'।