পাঁশকুড়া, 25 জুন : আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদানের তালিকা, প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকদের 100 দিনের কাজে নথিভুক্ত করা-সহ একাধিক দাবিতে পাঁশকুড়া সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের অফিসে বিক্ষোভ দেখাল জেলা বামফ্রন্ট সদস্যরা ।
আজ দুপুরে প্রায় 500 বামফ্রন্ট কর্মী BDO অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে জেলার বাম নেতৃত্ব BDO-র হাতে দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি তুলে দেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়ি সারানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে 20 হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দপ্তরে। বাম নেতৃত্বের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, পঞ্চায়েত থেকে পাঠানো তালিকায় অসংখ্য অসঙ্গতি রয়েছে । তাঁরা বলেন, কেবলমাত্র দলীয় কর্মী হওয়ায় বা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পঞ্চায়েতের পাঠানো অনুদানের জন্য তালিকায় এমন অনেকের নাম রয়েছে, যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ি কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফলে অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত দুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
এর পাশাপাশি বাম কর্মীরা জানান, 100 দিনের কাজে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জব কার্ডের মাধ্যমে যে কাজ দেওয়ার কথা ছিল, তাও পাচ্ছেন না অনেকেই। লকডাউনে কাজ হারিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন বহু মানুষ। তাই দ্রুত শ্রমিকদের 100 দিনের কাজে নাম নথিভুক্তকরণ ও এলাকার নিকাশি সেচ খালগুলি দ্রুত সংস্কারের দাবি BDO-র কাছে জানান তারা।
এই বিষয়ে পূর্ব পাঁশকুড়ার বিধায়ক ইব্রাহিম আলি বলেন, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ব্যাপক হারে স্বজন পোষণ করছে । ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন না ৷ এছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জব টোকেন থেকেও অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে । আমরা চাই প্রশাসন স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করুক । সাত দিনের মধ্যে দুর্নীতিমুক্তভাবে নামের তালিকা তৈরি না হলে, আমরা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের অফিসের সামনে ফের বিক্ষোভে বসব।