তমলুক, 7 এপ্রিল : পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এবার কোরোনায় আক্রান্ত হলেন এক মহিলা। বয়স 37 । তিনি তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী এলাকার বাসিন্দা । সোমবার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জেলায় যে রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে তাতে ওই মহিলার কোরোনা পজ়িটিভের উল্লেখ রয়েছে । 2 এপ্রিল কোরোনায় আক্রান্ত হন এলাকার এক হাতুড়ে চিকিৎসক । নতুন করে আক্রান্ত হওয়া মহিলা সম্পর্কে ওই চিকিৎসকের বউমা । এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 13 জন ।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, 24 মার্চ তমলুকের বছর আশির এক পান ব্যবসায়ী কলকাতা থেকে ব্যবসা সেরে বাড়ি ফেরেন । পরে 25 ও 26 তারিখ নাগাদ তিনি প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন । তখনই গ্রামের এক হাতুড়ে চিকিৎসক তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ শুরু করেন । এরপর ওই ব্যবসায়ীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । পরে 31 মার্চ রাতে জানা যায় তিনি কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । ঘটনার পর 2 এপ্রিল বৃদ্ধের চিকিৎসার কাজে লিপ্ত থাকা ব্যক্তিকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । 3 এপ্রিল জানা যায়, বছর ষাটের ওই বৃদ্ধ হাতুড়ে চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন কোরোনায় । এরপর গতকাল তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয় । রিপোর্ট গতকাল গভীর রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে এসে পৌঁছালে জানা যায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোরোনায় আক্রান্ত না হলেও, আক্রান্ত হয়েছেন ওই চিকিৎসকের বউমা । তাঁকে আজ তমলুক জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ থেকে পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল।
এখনও পর্যন্ত জেলার 13 জন কোরোনায় আক্রান্ত । অপরদিকে এগরার এক বিয়েবাড়িতে যোগ দিয়ে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতার দুই বাসিন্দাও ।