তমলুক, 14 এপ্রিল : মার্চ মাস থেকে হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বৃদ্ধ । পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন । এদিকে দিনকয়েক পরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । সোয়াব নমুনার পরীক্ষায় জানা যায়, কোরোনা পজ়িটিভ তিনি । তারপর থেকে ভরতি ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে । আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হল বছর বাহাত্তরের তমলুকের ওই বাসিন্দার ।
তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন বৃদ্ধ । প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানা গেছে, মৃত তমলুকের বাসিন্দা মার্চ মাসে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে বৃদ্ধ হৃদরোগের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে তমলুকের বাড়িতে ফেরেন। এরপরই 5 এপ্রিল ওই বৃদ্ধ সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে তাঁদের পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভরতি করা হয় । কিন্তু বৃদ্ধের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, সেদিনই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । পরে সেখানেই তাঁর সোয়াব টেস্ট করা হলে জানা যায় তিনি কোরোনায় আক্রান্ত । তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বৃদ্ধ। আজ সকালেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের ।
এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শরৎচন্দ্র মেটিয়া জানান, বৃদ্ধ প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন ছিলেন । পরে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছিলেন। এরপর তিনি কোরোনায় আক্রান্ত হন। আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "বৃদ্ধ যে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তা আমরা খবর পেয়েছিলাম। তবে উনি হৃদরোগেও অসুস্থ ছিলেন। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা রাজ্যই জানাতে পারবে।"