তমলুক, 2 জানুয়ারি : বাড়ি নির্মাণের সময় অসাবধানতাবশত 11,000 ভোল্টের তারে হাত । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হল রাজমিস্ত্রির । মৃতের নাম শেখ হারুণ (৩৮) । তমলুক পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পদুমবসানের ঘটনা ।
পৌরসভার ইন্দিরা কলোনির জমি । এলাকা দিয়ে গেছে ১১ হাজার ভোল্টের তার । তাই পৌরসভার তরফে কাউকে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়নি । কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বেআইনিভাবে বাড়ি নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন খাওয়ার হোটেলের ব্যবসায়ী বিজয় শিট । গতকাল সকাল থেকে বাড়ি প্লাস্টারের কাজ করছিলেন রাজমিস্ত্রি হারুণ । বিকেল নাগাদ বিদ্যুতের তার সংলগ্ন বাড়ির দেওয়াল প্লাস্টার করার সময় অসাবধানতাবশত তাঁর হাত লেগে যায় তারে । বিদ্যুতের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, হাত লাগা মাত্রই আগুন জ্বলতে শুরু করে । হাতের একাংশ ছিন্ন হয়ে তিন তালা থেকে নিচে পড়ে যায় । কার্নিশের উপর পড়ে থাকে দেহ । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর । কিন্তু হাইটেনশন তার থাকায় কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারেনি । খবর দেওয়া পুলিশে । মৃতদেহ উদ্ধার করতে এসে বিপাকে পড়েন পুলিশ কর্মীরাও । প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে পরিষেবা বন্ধ করে নামানো হয় দেহ ।
ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা শেখ রাজা জানান, চোখের সামনে আগুনে জ্বলে হাতটা কেটে পড়ে গেল । বাঁচানোর ইচ্ছে থাকলেও আতঙ্কে কেউ কাছে যেতে পারলাম না । কারণ ১১হাজার ভোল্টের লাইন কোনওভাবেই আমাদের দ্বারা বন্ধ করা সম্ভব নয় । চোখের সামনেই মৃত্যু হল । বহু মানুষের এই কলোনিতে বাস । আর উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার গেছে । আমরা চাই অবিলম্বে এই তার অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক । তমলুক পৌরসভার প্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন জানান, সরকারি জায়গায় অনুমতি ছাড়াই বিপজ্জনকভাবে এত বড় বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না । দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন । বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
তমলুক থানার OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানিয়েছেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।