ETV Bharat / state

শওহর খুনের মামলায় মহিলা ও প্রেমিককে সাতদিনের পুলিশি হেপাজত - পূর্ব মেদিনীপুরের খবর

দিন কয়েকের মধ্যেই মহিলার বাড়িতে ঘটনার পুনর্গঠন করবে পুলিশ ৷

nandakumar murder case
ছবি
author img

By

Published : Jul 13, 2020, 6:23 AM IST

তমলুক, 13 জুলাই : নন্দকুমারে ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসমা বিবি ও শেখ দুলাল আলিকে সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল আদালত । গতকাল দুপুর নাগাদ তাদের তমলুক জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক নন্দকুমার থানার পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেন ৷ যদিও অভিযুক্তের পক্ষে কোনও আইনজীবী গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন না । আগামী দু'তিনদিনের মধ্যেই শেখ নুর মহম্মদ দিনের (43) খুনে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে নিয়ে ফতেপুর গ্রামে আসমা বিবির বাড়িতে ঘটনার পুনর্গঠন করবে নন্দকুমার থানার পুলিশ ।

জানা গেছে, শুক্রবার নুর মহম্মদ ও তার বিবি আসমা নন্দকুমারের ফতেপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে একসঙ্গেই ছিলেন । আসমার মা খালার বাড়ি চলে যাওয়ায় বাড়ি পুরোপুরি ফাঁকাই ছিল । রাতে দু'জনে একসঙ্গে রান্না করে খাওয়া-দাওয়াও করে । এরপর নুর মহম্মদকে শরবতের গ্লাস এগিয়ে দেয় আসমা । সেই শরবতেই মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল ছিল একাধিক ঘুমের ঔষধ । শরবত খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে নুর মহম্মদ । তারপর রাতে বাড়িতে থাকা কাটারি দিয়ে শওহরের গলা কেটে খুন করে আসমা । মৃত্যুর পর প্রেমিক শেখ দুলাল আলিকে মৃতদেহ কীভাবে লোপাট করবে তা জানার জন্য ফোন করে আসমা । রাতে ফোন পেয়ে বাড়িতে হাজির হয় দুলাল । এরপর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে বাড়ির রান্নাঘরেই কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে চাপা দিয়ে দেয় তারা । পরে দেহ পচে গেলে দুর্গন্ধের আশঙ্কা করে দুজনে মিলে বাড়িতে মজুত থাকা সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে মৃতদেহের উপর ।

কী বলছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী ?

ভোর নাগাদ আসমার ফতেপুরের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় দুলাল । তারপর প্রায় সাত আটদিন কেটে গেলেও নুরের কোনও খোঁজ করতে দেখা যায়নি আসমাকে । এদিকে নুরের মা ছেলের খোঁজে নন্দকুমার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে । আসমার আচরণে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা ।

পরে পেশায় মাছের ভেড়ি ব্যবসায়ী ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি শেখ দুলাল আলিকেও ডেকে পাঠায় তারা । সেখানেই গ্রামবাসী দু'জনকে মুখোমুখি জেরা করতে শুরু করলে তারা অসংলগ্ন উত্তর দিতে শুরু করে । সন্দেহ গাঢ় হওয়ায় নন্দকুমার থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । পরে নন্দকুমার থানার পুলিশের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের সমস্ত দোষ কবুল করে নেয় আসমা ও দুলাল । তাদের কথামতো শনিবার মৃতদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধারের পরই খুনের অভিযোগে দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ । আজ তাদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন ।

এই বিষয়ে তমলুক আদালতের সরকারপক্ষের আইনজীবী শফিউল আলি খান জানিয়েছেন, "পুলিশের পক্ষ থেকে পেশ করা এই খুনের ঘটনার সমস্ত তদন্ত রিপোর্ট দেখে ও মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমতা দাস দুই অভিযুক্তকে আগামী সাতদিন পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নুর মহম্মদকে খুন করা হয়েছিল তাও আদালতকে জানানো হয়েছে । অভিযুক্তরা হেপাজতে থাকা অবস্থাতেই কয়েকদিনের মধ্যে খুনের গোটা ঘটনার পুনর্গঠন করবে পুলিশ ।

তমলুক, 13 জুলাই : নন্দকুমারে ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসমা বিবি ও শেখ দুলাল আলিকে সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল আদালত । গতকাল দুপুর নাগাদ তাদের তমলুক জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক নন্দকুমার থানার পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেন ৷ যদিও অভিযুক্তের পক্ষে কোনও আইনজীবী গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন না । আগামী দু'তিনদিনের মধ্যেই শেখ নুর মহম্মদ দিনের (43) খুনে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে নিয়ে ফতেপুর গ্রামে আসমা বিবির বাড়িতে ঘটনার পুনর্গঠন করবে নন্দকুমার থানার পুলিশ ।

জানা গেছে, শুক্রবার নুর মহম্মদ ও তার বিবি আসমা নন্দকুমারের ফতেপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে একসঙ্গেই ছিলেন । আসমার মা খালার বাড়ি চলে যাওয়ায় বাড়ি পুরোপুরি ফাঁকাই ছিল । রাতে দু'জনে একসঙ্গে রান্না করে খাওয়া-দাওয়াও করে । এরপর নুর মহম্মদকে শরবতের গ্লাস এগিয়ে দেয় আসমা । সেই শরবতেই মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল ছিল একাধিক ঘুমের ঔষধ । শরবত খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে নুর মহম্মদ । তারপর রাতে বাড়িতে থাকা কাটারি দিয়ে শওহরের গলা কেটে খুন করে আসমা । মৃত্যুর পর প্রেমিক শেখ দুলাল আলিকে মৃতদেহ কীভাবে লোপাট করবে তা জানার জন্য ফোন করে আসমা । রাতে ফোন পেয়ে বাড়িতে হাজির হয় দুলাল । এরপর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে বাড়ির রান্নাঘরেই কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে চাপা দিয়ে দেয় তারা । পরে দেহ পচে গেলে দুর্গন্ধের আশঙ্কা করে দুজনে মিলে বাড়িতে মজুত থাকা সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে মৃতদেহের উপর ।

কী বলছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী ?

ভোর নাগাদ আসমার ফতেপুরের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় দুলাল । তারপর প্রায় সাত আটদিন কেটে গেলেও নুরের কোনও খোঁজ করতে দেখা যায়নি আসমাকে । এদিকে নুরের মা ছেলের খোঁজে নন্দকুমার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে । আসমার আচরণে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা ।

পরে পেশায় মাছের ভেড়ি ব্যবসায়ী ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি শেখ দুলাল আলিকেও ডেকে পাঠায় তারা । সেখানেই গ্রামবাসী দু'জনকে মুখোমুখি জেরা করতে শুরু করলে তারা অসংলগ্ন উত্তর দিতে শুরু করে । সন্দেহ গাঢ় হওয়ায় নন্দকুমার থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । পরে নন্দকুমার থানার পুলিশের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের সমস্ত দোষ কবুল করে নেয় আসমা ও দুলাল । তাদের কথামতো শনিবার মৃতদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধারের পরই খুনের অভিযোগে দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ । আজ তাদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন ।

এই বিষয়ে তমলুক আদালতের সরকারপক্ষের আইনজীবী শফিউল আলি খান জানিয়েছেন, "পুলিশের পক্ষ থেকে পেশ করা এই খুনের ঘটনার সমস্ত তদন্ত রিপোর্ট দেখে ও মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমতা দাস দুই অভিযুক্তকে আগামী সাতদিন পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নুর মহম্মদকে খুন করা হয়েছিল তাও আদালতকে জানানো হয়েছে । অভিযুক্তরা হেপাজতে থাকা অবস্থাতেই কয়েকদিনের মধ্যে খুনের গোটা ঘটনার পুনর্গঠন করবে পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.