দিঘা , 9 জুন : " আমাদের ত্রাণ চাই না , পারলে চিরস্থায়ী সমুদ্র বাঁধ করে দিন ৷" এইভাবেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে কাতর আর্জি জানান পূর্ব মেদিনীপুরের চাঁদপুর ও ট্যাংরামারির বাসিন্দারা ৷ বর্ষায় নদীবাঁধে ফাটল ধরে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যাওয়া ও ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই নেওয়া তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয় ৷ তার উপর প্রায় প্রতিবছরই একটা করে ঘূর্ণিঝড় উপরি পাওনা ৷ এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল ৷ সেইসময়ই তাঁদের কাছে এমনভাবেই স্থায়ী বাঁধের অনুরোধ জানান বাসিন্দারা ৷
গতকাল সকাল সাড়ে 11 টা নাগাদ দিঘা হেলিপ্যাডে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব এস কে শাহির নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল। প্রথমে দিঘা- শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে তাঁরা একটি বৈঠক করেন । প্রায় 30 মিনিট ধরে জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক চলে ৷ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্তি জেলাশাসক সুদীপ্ত পোড়েল, কাঁথি মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম হিরানি , রামনগর 1 ও 2 ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং রামনগর 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র সহ সরকারি আধিকারিক বৃন্দ।
বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের একটি দল যান মন্দারমণির দাদানপাত্রবাড়ে ৷ আর চার সদস্যের দল যান শংকরপুর , চাঁদপুর, ট্যাংরামারি গ্রাম পরিদর্শন করতে ৷ কথা বলেন গ্রামবাসীর সঙ্গে ৷ তাঁদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নেন ৷ পাশাপাশি আমফানের সময় যে ক্ষতিপূরণ তাঁদের পাওনা ছিল , তা তাঁরা পেয়েছেন কি না সেবিষয়েও বিস্তরে জিজ্ঞাসা করেন ৷ সেইসময় গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁদের থাকার ঘর নেই ৷ এখনও অনেক গ্রাম জলমগ্ন ৷ ত্রাণ শিবিরে দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ এই অবস্থা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় যদি তাঁদের জন্য স্থায়ী সমুদ্র বাঁধ তৈরি করে দেওয়া যায় ৷
আরও পড়ুন : Cyclone Yaas : ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
তাঁদের আর্জি শোনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব এস কে শাহি জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন ৷ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কথাও বলেছেন বেশিরভাগের সঙ্গে ৷ তবে এখনই কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকায় , তা বলা সম্ভব নয় ৷