কাঁথি, 4 জুলাই: কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর দূরমুঠ এলাকায় নির্দল প্রার্থী ও সমর্থকদের রাতের ঘুম কেড়েছে প্রশাসন। অভিযোগ, এলাকার নির্দল প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনদের দিনে চারবার পুলিশি হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের কাছে। এমনকী পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ। সে কারণে প্রচারে ঠিকঠাক সময় দিতে পারছেন না নির্দল প্রার্থীরা। এই এলাকায় অধিকাংশ তৃণমূলের পুরনো কর্মী টিকিট না-পেয়ে তাঁরাই নির্দল হয়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের এক সৈনিক ও বর্তমান এলাকার নির্দল প্রার্থী রাজেশ মাইতি বলেন, "পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ধনুক চমক আসছিল। তারপর মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার একদিন আগে থেকে চলছে পুলিশি অত্যাচার। সারাদিনে আপাতত চারবার ধরে এই ফুলেশ্বর পুলিশ গাড়ি নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা ৷ তাঁদেরকে শাসানি দেয়। অত্যাচারে বাড়িতে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। আমি এলাকায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে নেমেছি বলে প্রতিনিয়ত আমাকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অত্যাচার, চুরি, মারধর বিভিন্ন প্রকার জুলুমের বিরুদ্ধে এবার গ্রামবাসীরা নির্দলদের সমর্থন করবে। কারণ পঞ্চায়েতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। যে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরবে। কিন্তু নানান সময় কাঁথি থানার পুলিশ এসে ধমক চমক দিচ্ছে। আমি মাননীয় রাজ্যপালের কাছে আবেদন করছি, এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে আমাদের শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করুন। কারণ এই পুলিশের উপর আর আমাদের আর ভরসা নেই।"
এলাকার বাসিন্দা তথা নির্দল সমর্থকের স্ত্রী সুষমা মাইতি বলেন, "কয়েকদিন ধরে পুলিশ আমার বাড়িতে আসছে। তার একটাই কারণ আমরা নির্দলকে সমর্থন করছি। আমাদের এই পুলিশের উপর আর ভরসা নেই তাই মাননীয় রাজ্যপালের কাছে আমার বিনীত আবেদন, আপনি আমাদের বাঁচতে সহযোগিতা করুন।" যদিও এই অভিযোগে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সমান্তরাল প্রশাসন চালিয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের