দিঘা, 28 অগাস্ট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেক খাইয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের এক শীর্ষ পুলিশ কর্তাকে । মুখে কেক নিয়ে উর্দি পরে থাকা সেই পুলিশ কর্তা মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন ৷ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো ৷ এরপরেই বিতর্কের সূত্রপাত ৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, কীভাবে একজন শীর্ষ পুলিশ কর্তা কর্তব্যরত অবস্থায় এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে পারেন?
8 সেকেন্ডের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সৈকতের দিকের সিটে বসে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁকে ঘিরে রয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ৷ ডান দিকে রয়েছেন শিশির অধিকারী । তিনি হাততালি দিচ্ছেন ৷ বাঁ দিকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী । পাশে দাঁড়িয়ে বিনীত গোয়েল । তাঁর পাশেই পুলিশের উর্দিতে রাজ্যের IG (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁ দিকে একটি কেকের বাক্স খোলা রয়েছে ৷ সেখান থেকে এক টুকরো নিয়ে প্রথমে ডিরেক্টর সিকিউরিটিজ় বিনীত গোয়লকে খাওয়ান ৷ পরে রাজীব মিশ্রকে খাইযে দেন ৷ কেক মুখে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন রাজীব ( ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত) ৷
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, 21 অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর দিঘা সফরের সময় ভিডিয়োটি তোলা হয়েছে ৷ সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকে গেছিলেন তিনি ৷ ওই দিনই বিনীত গোয়েলের জন্মদিন ছিল ৷ সেই উপলক্ষ্যেই কেক কাটা হয়েছিল ৷ বিনীত সাদা পোশাকে ছিলেন ৷ কিন্তু পাশেই উর্দি পরে দাঁড়িয়েছিলেন রাজীব মিশ্র ৷
ভিডিয়ো সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে । বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, "কীভাবে একজন পুলিশ কর্তা উর্দি পরে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে প্রণাম করতে পারেন ?" এই বিষয়ে, BJP সাংসদ বলেন, "বিহার ও উত্তরপ্রদেশের কালচার পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছে । পায়ে হাত না দিলে এখানকার IPS দের পোস্টিং হয় না, প্রোমোশন হয় না ।"