ETV Bharat / state

স্ত্রীকে হত্যার 24 বছর পর যাবজ্জীবন ব্যক্তির - কাঁথি

1995 সালের 25 এপ্রিল শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সঞ্চিতা দাস নামে এক যুবতির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । আর আজ তাঁর স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ৷

Kanthi
author img

By

Published : Sep 20, 2019, 8:44 PM IST

কাঁথি, 20 সেপ্টেম্বর : স্ত্রীকে হত্যা করার প্রায় 24 বছর পর শাস্তি পেল ব্যক্তি ৷ তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল কাঁথি মহাকুমা আদালত ৷

1992 সালে মারিশদা থানার নাচিন্দা গ্রামের সঞ্চিতা দাসের সঙ্গে কাঁথির বাড়ছন্দবেড়িয়া গ্রামের শচীন্দ্রনাথের বিয়ে হয় । কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হত ৷ চলত অত্যাচার ৷ 1995 সালের 25 এপ্রিল শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । 27 এপ্রিল সঞ্চিতার দাদা ভগীরথ মণ্ডল থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 498(এ) ,304 (বি), 302 ও 34 ধারায় মামলা রুজু করে ।

Arrested man
অভিযুক্ত ব্যক্তি
ময়নাতদন্তের রির্পোটে সঞ্চিতার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস, শ্বশুর ভবতোষ দাস, ভাসুর পবন দাস ও শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসকে গ্রেপ্তার করে । বিচারক তাদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন । কয়েক মাস পর জামি পায় তারা । বিচার চলাকালীন বেহুলা দাসের মৃত্যু হয় ।

সরকারী আইনজীবী গৌতম সামন্ত জানান, এই মামলায় 16 জনের সাক্ষ্য দিয়েছিল । গতকাল স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাসকে দোষীসাব্যস্ত করেন বিচারক । ভাসুর পবন দাস ও শ্বশুর ভবতোষ দাসকে বেকসুর খালাস করা হয় । গৌতমবাবু আরও বলেন , "ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারা অনুযায়ী সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ অনাদায়ে এক বছরের জেল হয় ৷ 498(এ) অনুযায়ী তিন বছরের জেল ও তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক বছরের জেল হয় ।"

কাঁথি, 20 সেপ্টেম্বর : স্ত্রীকে হত্যা করার প্রায় 24 বছর পর শাস্তি পেল ব্যক্তি ৷ তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল কাঁথি মহাকুমা আদালত ৷

1992 সালে মারিশদা থানার নাচিন্দা গ্রামের সঞ্চিতা দাসের সঙ্গে কাঁথির বাড়ছন্দবেড়িয়া গ্রামের শচীন্দ্রনাথের বিয়ে হয় । কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হত ৷ চলত অত্যাচার ৷ 1995 সালের 25 এপ্রিল শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । 27 এপ্রিল সঞ্চিতার দাদা ভগীরথ মণ্ডল থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 498(এ) ,304 (বি), 302 ও 34 ধারায় মামলা রুজু করে ।

Arrested man
অভিযুক্ত ব্যক্তি
ময়নাতদন্তের রির্পোটে সঞ্চিতার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস, শ্বশুর ভবতোষ দাস, ভাসুর পবন দাস ও শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসকে গ্রেপ্তার করে । বিচারক তাদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন । কয়েক মাস পর জামি পায় তারা । বিচার চলাকালীন বেহুলা দাসের মৃত্যু হয় ।

সরকারী আইনজীবী গৌতম সামন্ত জানান, এই মামলায় 16 জনের সাক্ষ্য দিয়েছিল । গতকাল স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাসকে দোষীসাব্যস্ত করেন বিচারক । ভাসুর পবন দাস ও শ্বশুর ভবতোষ দাসকে বেকসুর খালাস করা হয় । গৌতমবাবু আরও বলেন , "ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারা অনুযায়ী সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ অনাদায়ে এক বছরের জেল হয় ৷ 498(এ) অনুযায়ী তিন বছরের জেল ও তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক বছরের জেল হয় ।"

Intro:স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন সাজা ।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা আদালতে গতকাল বিচারক দোষী সাব্যস্ত করে ছিলেন । শুক্রবার কাঁথি অতিরিক্ত জেলা দায়েরা আদালতের( ফাস্ট ট্রাক ফাস্ট কোর্ট) বিচারক অলি বিশ্বাস স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাসকে যাবজ্জীবনের সাজা দেন ।
প্রসঙ্গত গত ১৯৯২ সালের মারিশদা থানার নাচিন্দা গ্রামের সঞ্চিতা দাসের সঙ্গে কাঁথির বাড়ছন্দবেড়িয়া গ্রামের শচীন্দ্রনাথের বিয়ের হয়। বিয়ের সময় যথেষ্ঠ দান সামগ্রিক দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল । বিয়ের কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই একটি পাম্প কেনার জন্য সাত হাজার টাকা পণের দাবিতে প্রায়ই মারধর করতো স্বামী। সেই পণের টাকা আনতে রাজী না হওয়ায় গৃহবধু সঞ্চিতার উপর চলে শারীরিক অত্যাচার । ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে সঞ্চিতা দাসকে (২২) লাইলন দড়ির ফাঁস গলায় লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালের ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ২৭ এপ্রিল মারিশদা থানার নাচিন্দার বাসিন্দা ভগীরদ মণ্ডল থানার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ওনার বোনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধের ৪৯৮(এ) ,৩০৪ (বি), ৩০২ ও ৩৪ ধারার মামলার রুজু করে । অভিযোগে ভিওিতে পুলিশ স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস, শ্বশুর ভবতোষ দাস, ভাসুর পবন দাস ও শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসকে গ্রেফতার করে। বিচারক তাদের জেল হাজতের থাকায় নির্দেশ দেন। ময়না তদন্তের রির্পোটে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কয়েক মাস জেলে থাকার পর শর্তসাপেক্ষে জামিনের মুক্তি পায় অভিযুক্তরা। বিচার চলাকালীন শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসের মৃত্যু হয়।
সরকারী আইনজীবি গৌতম সামন্ত বলেন এই মামলার ১৬ জনের স্বাক্ষী গ্রহন করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বিচারক , স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস কে দোষী সাব্যস্ত করেন। ভাসুর পবন দাস ও শশুর ভবতোষ দাস কে প্রমাণের অভাবে ছাড়া পান । গৌতম বাবু আরো বলেন ভারতী দণ্ডবিধি ৩০২ধারা মতে সশ্রম কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের জেল , (৪৯৮)এ তিন বছরের জেল ও তিন হাজার টাকা জরিমানা । অনাদায়ে এক বছরের জেল । দোষী শচীন্দ্রনাথ দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে , উনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন ।Body:স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন সাজা ।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা আদালতে গতকাল বিচারক দোষী সাব্যস্ত করে ছিলেন । শুক্রবার কাঁথি অতিরিক্ত জেলা দায়েরা আদালতের( ফাস্ট ট্রাক ফাস্ট কোর্ট) বিচারক অলি বিশ্বাস স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাসকে যাবজ্জীবনের সাজা দেন ।
প্রসঙ্গত গত ১৯৯২ সালের মারিশদা থানার নাচিন্দা গ্রামের সঞ্চিতা দাসের সঙ্গে কাঁথির বাড়ছন্দবেড়িয়া গ্রামের শচীন্দ্রনাথের বিয়ের হয়। বিয়ের সময় যথেষ্ঠ দান সামগ্রিক দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল । বিয়ের কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই একটি পাম্প কেনার জন্য সাত হাজার টাকা পণের দাবিতে প্রায়ই মারধর করতো স্বামী। সেই পণের টাকা আনতে রাজী না হওয়ায় গৃহবধু সঞ্চিতার উপর চলে শারীরিক অত্যাচার । ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে সঞ্চিতা দাসকে (২২) লাইলন দড়ির ফাঁস গলায় লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালের ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ২৭ এপ্রিল মারিশদা থানার নাচিন্দার বাসিন্দা ভগীরদ মণ্ডল থানার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ওনার বোনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধের ৪৯৮(এ) ,৩০৪ (বি), ৩০২ ও ৩৪ ধারার মামলার রুজু করে । অভিযোগে ভিওিতে পুলিশ স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস, শ্বশুর ভবতোষ দাস, ভাসুর পবন দাস ও শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসকে গ্রেফতার করে। বিচারক তাদের জেল হাজতের থাকায় নির্দেশ দেন। ময়না তদন্তের রির্পোটে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কয়েক মাস জেলে থাকার পর শর্তসাপেক্ষে জামিনের মুক্তি পায় অভিযুক্তরা। বিচার চলাকালীন শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসের মৃত্যু হয়।
সরকারী আইনজীবি গৌতম সামন্ত বলেন এই মামলার ১৬ জনের স্বাক্ষী গ্রহন করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বিচারক , স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস কে দোষী সাব্যস্ত করেন। ভাসুর পবন দাস ও শশুর ভবতোষ দাস কে প্রমাণের অভাবে ছাড়া পান । গৌতম বাবু আরো বলেন ভারতী দণ্ডবিধি ৩০২ধারা মতে সশ্রম কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের জেল , (৪৯৮)এ তিন বছরের জেল ও তিন হাজার টাকা জরিমানা । অনাদায়ে এক বছরের জেল । দোষী শচীন্দ্রনাথ দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে , উনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন ।Conclusion:স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন সাজা ।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা আদালতে গতকাল বিচারক দোষী সাব্যস্ত করে ছিলেন । শুক্রবার কাঁথি অতিরিক্ত জেলা দায়েরা আদালতের( ফাস্ট ট্রাক ফাস্ট কোর্ট) বিচারক অলি বিশ্বাস স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাসকে যাবজ্জীবনের সাজা দেন ।
প্রসঙ্গত গত ১৯৯২ সালের মারিশদা থানার নাচিন্দা গ্রামের সঞ্চিতা দাসের সঙ্গে কাঁথির বাড়ছন্দবেড়িয়া গ্রামের শচীন্দ্রনাথের বিয়ের হয়। বিয়ের সময় যথেষ্ঠ দান সামগ্রিক দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল । বিয়ের কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই একটি পাম্প কেনার জন্য সাত হাজার টাকা পণের দাবিতে প্রায়ই মারধর করতো স্বামী। সেই পণের টাকা আনতে রাজী না হওয়ায় গৃহবধু সঞ্চিতার উপর চলে শারীরিক অত্যাচার । ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে সঞ্চিতা দাসকে (২২) লাইলন দড়ির ফাঁস গলায় লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালের ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ২৭ এপ্রিল মারিশদা থানার নাচিন্দার বাসিন্দা ভগীরদ মণ্ডল থানার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ওনার বোনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধের ৪৯৮(এ) ,৩০৪ (বি), ৩০২ ও ৩৪ ধারার মামলার রুজু করে । অভিযোগে ভিওিতে পুলিশ স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস, শ্বশুর ভবতোষ দাস, ভাসুর পবন দাস ও শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসকে গ্রেফতার করে। বিচারক তাদের জেল হাজতের থাকায় নির্দেশ দেন। ময়না তদন্তের রির্পোটে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কয়েক মাস জেলে থাকার পর শর্তসাপেক্ষে জামিনের মুক্তি পায় অভিযুক্তরা। বিচার চলাকালীন শ্বাশুড়ি বেহুলা দাসের মৃত্যু হয়।
সরকারী আইনজীবি গৌতম সামন্ত বলেন এই মামলার ১৬ জনের স্বাক্ষী গ্রহন করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বিচারক , স্বামী শচীন্দ্রনাথ দাস কে দোষী সাব্যস্ত করেন। ভাসুর পবন দাস ও শশুর ভবতোষ দাস কে প্রমাণের অভাবে ছাড়া পান । গৌতম বাবু আরো বলেন ভারতী দণ্ডবিধি ৩০২ধারা মতে সশ্রম কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের জেল , (৪৯৮)এ তিন বছরের জেল ও তিন হাজার টাকা জরিমানা । অনাদায়ে এক বছরের জেল । দোষী শচীন্দ্রনাথ দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে , উনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.