দিঘা, 29 ডিসেম্বর : সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে এক বছরের মধ্যে 4 পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা রীতিমত নাড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে । আর সেই কারণে বুধবার দিঘার বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বাস্থ্য ফুড সেফটি আধিকারিকরা (Food Safety officials take food samples from the hotels in Digha) । পাশাপাশি গুণগত মান পরীক্ষার জন্য খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করেন তাঁরা । এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা ফুড সেফটি অফিসার সাকির হোসেন, রামনগর 1 নম্বর ব্লকের ফুড সেফটি অফিসার রণিতা সরকার-সহ অন্য আধিকারিকরা ।
আজ বেশ কিছু হোটেলে হানা দিয়ে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা । রামনগর 1 নম্বর ব্লকের ফুড সেফটি অফিসার রণিতা সরকার জানান, "রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমাণে পর্যটক আসেন দিঘায় । তাঁদের সুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখতেই অভিযান শুরু করেছে খাদ্য দফতর । আজ কয়েকটি হোটেল রেস্তরাঁ থেকে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই নমুনাগুলি পরীক্ষা করার জন্য কলকাতার ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।"
আরও পড়ুন : কাঁকড়া খেয়ে ফের মৃত্যু পর্যটকের, আতঙ্কে সৈকত
প্রসঙ্গত, করোনা আবহের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটকশূন্য ছিল দিঘা । খরা কাটিয়ে সবেমাত্র ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পর্যটন শিল্পগুলি । ছুটির আমেজে প্রতিনিয়ত সৈকত শহরে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার পর্যটক । বছর শেষের ছুটিতে সেই ভিড়ের চেহারা আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে । সেই সঙ্গে হোটেল, রেস্তরাঁগুলিতে খাওয়ারের টেবিলেও নজর কাড়ছে লম্বা লাইন । কিন্তু এরই গত 21 নভেম্বরে দিঘায় বেড়াতে এসে সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেহালার বাসিন্দা সৌম্যদীপ শিকদারের । মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত 24 ডিসেম্বর একই ভাবে সামূদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বীরভূমের রামপুর হাটের বাসিন্দা ঋত্বিকা ভকতের (18)। এই ঘটনার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ৷ দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সন্দীপ বাগ পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, গত এক বছরে কাঁকড়া খেয়ে 4 জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে ।