দিঘা, 27 মে : যশের তাণ্ডব শেষ হতে না হতেই বুধবার থেকেই এলাকা পরিদর্শনে বেরোলেন রামনগরের বিধায়ক ও রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি । জানালেন, এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিক পরিমাণ জানা সম্ভব নয় ৷ তবে মৎস্যমন্ত্রী জানান, শুধু মাছের ব্যবসার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে চিংড়ি মাছের ক্ষেত্রে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷
বুধবার দুর্যোগ কেটে যাবার পরই মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি এলাকায় পরিদর্শনে বেরোন ৷ গতকালই ঝড়-বৃষ্টি হালকা হতেই তিনি এলাকায় অসহায় মানুষের কাছে শুকনো কিছু খাবার নিয়ে হাজির হন ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি দিঘা পরিদর্শনে আসেন ৷ ঘুরে দেখেন বিভিন্ন জায়গা ৷ মন্ত্রীকে পেয়ে ঘিরে ধরেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৷ এলাকার ঝুপড়ির বাসিন্দারাও নিজেদের সমস্যার কথা বলেন তাঁকে ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ক্ষয়ক্ষতির প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে উপকূলবর্তী এলাকার কয়েকশো বিঘা মাছের ভেড়িতে সমুদ্রে জল ঢুকে গিয়েছে ৷ প্রচুর ক্ষতি হয়েছে । শুধু মাছের ব্যবসাতেই ক্ষতি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার ৷ তার বেশিও হতে পারে ৷ এছাড়া অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই ৷
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা থেকে হলদিয়া পর্যন্ত 72 কিলোমিটার সমুদ্র বাঁধ রয়েছে । এই বাঁধের 16টি জায়গা দিয়ে জল ঢুকছে । দিঘা সমুদ্র সৈকত ও নেহেরু মার্কেট এলাকায় 2 হাজার 400 দোকান জলের তলায় রয়েছে । দিঘা উপকূল এলাকায় ঝুপড়িগুলিও জলের তলায় । সেইসব ঝুপড়িবাসীদের অন্যত্র সরানো হয়েছে ৷ তাঁদের জন্য ব্লক থেকে শুকনো খাবার ও পলিথিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন : 30টি জায়গায় বাঁধ ভেঙে বানভাসি কুলতলি, ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই নেই