ETV Bharat / state

কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব পরচুল ব্যবসায়, কাজ খুইয়ে মাথায় হাত শ্রমিকদের

কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক শুধুমাত্র জীবনযাত্রাকেই গ্রাস করেনি, প্রভাব ফেলেছে মানুষের রুজি-রুটিতেও । ক্ষতির সম্মুখীন পরচুল ব্যবসা ৷ আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষের ৷

corona
কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক
author img

By

Published : Feb 7, 2020, 6:19 AM IST

Updated : Feb 7, 2020, 6:27 AM IST

কাঁথি, 6 ফেব্রুয়ারি: এবার কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব পরচুল ব্যবসায় ৷ পরচুল রপ্তানির মূল স্থান চিন ৷ কিন্তু চিনে বেড়েই চলেছে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ আর এই কারণেই আপতত চিনের সঙ্গে রপ্তানি পথ বন্ধ করেছে ভারত সরকার ৷ মাথায় হাত পরচুল ব্যবসায়ীদের । পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর, চণ্ডীপুর ও কাঁথিতে পরচুল ব্যবসা এখন বন্ধ রয়েছে ৷ কাজ খুইয়েছেন এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত মানুষরা ৷

এই এলাকাগুলিতে একদল মানুষ রয়েছেন যাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুল সংগ্রহ করেন ৷ আরেক দল রয়েছেন যাঁরা ওই চুল কিনে তা একত্রিত করেন ৷ পরে তা পরচুলের ফ্যাক্টরিতে দিয়ে আসেন ৷ সেই চুল ফ্যাক্টরিতে আলাদাভাবে বেছে তৈরি করা হয় পরচুল ৷ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৷ পরচুলের মূল বাজার, চিন ৷ কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থান ও সংক্রমণের দিক থেকে চিনের নাম উঠে আসার পরেই ভাটা পড়েছে এই ব্যবসায় ৷ এই মুহূর্তে চাহিদা না থাকার ফলে পরচুলের ফ্যাক্টরিগুলি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে।

পরচুলের ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ মল্লিক বলেন, "এই ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের কয়েকটি ভাগ রয়েছে । একদল যাঁরা খুচরো ব্যবসায়ী ৷ তাঁরা 7 কেজি থেকে 10 কেজি করে চুল নিয়ে আসেন আমাদের কাছে । আরেক দল রয়েছেন যাঁরা সেই চুল পরিষ্কার করেন । তারপরে তা ফ্যাক্টরিতে আসে ৷ ফ্যাক্টরির কর্মীরা তা থেকে পরচুলা তৈরি করেন ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে চারদিকে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সারা ভারতেই এই ব্যবসা বন্ধ রয়েছে । চিন যেহেতু এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থান, তাই সরকার থেকে চিনে রপ্তানির পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এর ফলে আমাদেরকেও বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে এই ব্যবসা । যে সব মাল পাঠানো হয়েছে তার টাকাও আটকে রয়েছে এখনও পর্যন্ত । মূলত এই পরচুলা একমাত্র চিনে পাঠানো হয় । আর এখন চিনে পাঠানো একপ্রকার বন্ধ রয়েছে ।"

দেখুন কী বলছেন ব্যবসায়ীরা

এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আরেক খুচরা ব্যবসায়ী এসকে সাত্তার জাহান্নাত বলেন, " আমাদের কাছে কর্মচারীরা আসতেন। তাঁদের এই মুহূর্তে আসতে নিষেধ করে দিয়েছি । এখানে 100-র বেশি কর্মচারী কাজ করতেন । কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই ৷ বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে । এখন আমাদের ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতির মুখে।

ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক অমিত কুমার গুপ্তা বলেন, "কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । এখন কিছুই করার নেই আমাদের । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেটাই দেখার ।

কাঁথি, 6 ফেব্রুয়ারি: এবার কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব পরচুল ব্যবসায় ৷ পরচুল রপ্তানির মূল স্থান চিন ৷ কিন্তু চিনে বেড়েই চলেছে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ আর এই কারণেই আপতত চিনের সঙ্গে রপ্তানি পথ বন্ধ করেছে ভারত সরকার ৷ মাথায় হাত পরচুল ব্যবসায়ীদের । পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর, চণ্ডীপুর ও কাঁথিতে পরচুল ব্যবসা এখন বন্ধ রয়েছে ৷ কাজ খুইয়েছেন এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত মানুষরা ৷

এই এলাকাগুলিতে একদল মানুষ রয়েছেন যাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুল সংগ্রহ করেন ৷ আরেক দল রয়েছেন যাঁরা ওই চুল কিনে তা একত্রিত করেন ৷ পরে তা পরচুলের ফ্যাক্টরিতে দিয়ে আসেন ৷ সেই চুল ফ্যাক্টরিতে আলাদাভাবে বেছে তৈরি করা হয় পরচুল ৷ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৷ পরচুলের মূল বাজার, চিন ৷ কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থান ও সংক্রমণের দিক থেকে চিনের নাম উঠে আসার পরেই ভাটা পড়েছে এই ব্যবসায় ৷ এই মুহূর্তে চাহিদা না থাকার ফলে পরচুলের ফ্যাক্টরিগুলি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে।

পরচুলের ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ মল্লিক বলেন, "এই ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের কয়েকটি ভাগ রয়েছে । একদল যাঁরা খুচরো ব্যবসায়ী ৷ তাঁরা 7 কেজি থেকে 10 কেজি করে চুল নিয়ে আসেন আমাদের কাছে । আরেক দল রয়েছেন যাঁরা সেই চুল পরিষ্কার করেন । তারপরে তা ফ্যাক্টরিতে আসে ৷ ফ্যাক্টরির কর্মীরা তা থেকে পরচুলা তৈরি করেন ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে চারদিকে কোরোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সারা ভারতেই এই ব্যবসা বন্ধ রয়েছে । চিন যেহেতু এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থান, তাই সরকার থেকে চিনে রপ্তানির পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ এর ফলে আমাদেরকেও বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে এই ব্যবসা । যে সব মাল পাঠানো হয়েছে তার টাকাও আটকে রয়েছে এখনও পর্যন্ত । মূলত এই পরচুলা একমাত্র চিনে পাঠানো হয় । আর এখন চিনে পাঠানো একপ্রকার বন্ধ রয়েছে ।"

দেখুন কী বলছেন ব্যবসায়ীরা

এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আরেক খুচরা ব্যবসায়ী এসকে সাত্তার জাহান্নাত বলেন, " আমাদের কাছে কর্মচারীরা আসতেন। তাঁদের এই মুহূর্তে আসতে নিষেধ করে দিয়েছি । এখানে 100-র বেশি কর্মচারী কাজ করতেন । কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই ৷ বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে । এখন আমাদের ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতির মুখে।

ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক অমিত কুমার গুপ্তা বলেন, "কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । এখন কিছুই করার নেই আমাদের । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেটাই দেখার ।

Intro:ভাইরাসের আতঙ্ক পরচুলের ব্যবসাতে ও , মাথায় হাত পরচুলা ব্যসায়ীদের ।


করোণা ভাইরাসের আতঙ্ক এবার পরচুলো ও চুল ব্যবসাতে ও । পরচুলোর মূলত বাজার ছিল চীনে । কিন্তু চিনেই করোণা ভাইরাস দেখা দিয়েছে । আর তার প্রভাব পড়লো পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর, চন্ডিপুর ও কাঁথি তে । এই এলাকার বহু মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত । এক দল মানুষ রয়েছেন , যারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুল সংগ্রহ করেন । আরেক দল রয়েছে যারা এদের কাছ থেকে এই সমস্ত খুচরো মাল কিনে একত্রিত করে এবং তা পরচুলের ফ্যাক্টরিতে দিয়ে আসে । তারপরে এই সমস্ত চুল ফ্যাক্টরিতে আলাদাভাবে বেছে তৈরি করা হয় পরচুলা। সব মিলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ মানুষ এই কাজের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ।
কোন ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ও সংক্রমনের দিক থেকে চিনের নাম উঠে আসার পরেই , ভাটা পড়ে এই ব্যবসায় । যার ফলে এই মুহূর্তে চাহিদা না থাকার ফলে পরচুলের ফ্যাক্টরিগুলো উৎপাদন বন্ধ করেছে ।
পরচুলের ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ মল্লিক বলেন আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের ভাগ রয়েছে । একদল রয়েছে যারা খুচরো ব্যবসায়ী, তারা ১০ কেজি ৭ কেজি করে চুল নিয়ে আছে আমাদের কাছে । আরেক দল রয়েছে যারা এটাকে বেছে পরিষ্কার করে । তারপরে তা ফ্যাক্টরিতে এনে কর্মীদের দ্বারা পরচুলা তৈরি করা হয় । এই মুহূর্তে করোণা ভাইরাস এর জন্য ভারতবর্ষ ব্যাপী এই ব্যবসা বন্ধ রয়েছে । আমরা প্রথমে এই ভাইরাস সম্পর্কে ঠিক এতটা বুঝতে পারিনি । তারপরে তা যখন চিনে পরপর ছড়িয়ে পড়ে ,সরকার থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয় । যার ফলে আমাদের কে ও বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে এই ব্যবসা । যে সমস্ত মাল পাঠানো হয়েছে তার টাকাও আটকে রয়েছে এখন পর্যন্ত । কারণ মূলত আমাদের এই পরচুলগুলো একমাত্র চিনে পাঠানো হতো । আর এখন চিনে পাঠানো একবার বন্ধ রয়েছে । আর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আরেক খুচরা ব্যবসায়ী ,এসকে সাত্তার জাহান্নাত বলেন, পরচুলগুলো মূলত আমরা চীনে পাঠাতাম । করোনাভাইরাস এর জন্য এই সমস্ত জিনিস চীনে এক্সপোর্ট করা বন্ধ রয়েছে । তাই আমাদের কাছে যে সমস্ত কর্মচারীরা আসতো তাদেরকে আমরা এই মুহূর্তে আসতে বারন করে দিয়েছি । আর আমাদের এখানে কাজ করতো প্রায় একশর বেশি কর্মচারী । কিন্তু আমাদের ও কিছু করার নেই , তাই আমরা বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের না বলেছি । এর ফলে আমাদের ব্যবসা ব্যাপকহারে ক্ষতির মুখে পড়েছে ।
এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক অমিত কুমার গুপ্তা বলেন করোনাভাইরাস এর আতঙ্ক থেকে এখানে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । এখন কিচ্ছু করার নেই আমাদের । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে এখন সেটাই দেখার ।
করোনাভাইরাস এর আতঙ্ক শুধু গ্রাস করেনি মানুষের জীবনকে , সেইসঙ্গে প্রভাব ফেলেছে মানুষের রুজি-রুটির তেও।

বাইট 1a ফিরোজ মল্লিক, পরচুলের মালিক ।

বাইট 1b এসকে সাত্তার জাহান্নাত , পরচুলের খুচরো ব্যবসায়ী ।Body:ভাইরাসের আতঙ্ক পরচুলের ব্যবসাতে ও , মাথায় হাত পরচুলা ব্যসায়ীদের ।


করোণা ভাইরাসের আতঙ্ক এবার পরচুলো ও চুল ব্যবসাতে ও । পরচুলোর মূলত বাজার ছিল চীনে । কিন্তু চিনেই করোণা ভাইরাস দেখা দিয়েছে । আর তার প্রভাব পড়লো পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর, চন্ডিপুর ও কাঁথি তে । এই এলাকার বহু মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত । এক দল মানুষ রয়েছেন , যারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুল সংগ্রহ করেন । আরেক দল রয়েছে যারা এদের কাছ থেকে এই সমস্ত খুচরো মাল কিনে একত্রিত করে এবং তা পরচুলের ফ্যাক্টরিতে দিয়ে আসে । তারপরে এই সমস্ত চুল ফ্যাক্টরিতে আলাদাভাবে বেছে তৈরি করা হয় পরচুলা। সব মিলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ মানুষ এই কাজের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ।
কোন ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ও সংক্রমনের দিক থেকে চিনের নাম উঠে আসার পরেই , ভাটা পড়ে এই ব্যবসায় । যার ফলে এই মুহূর্তে চাহিদা না থাকার ফলে পরচুলের ফ্যাক্টরিগুলো উৎপাদন বন্ধ করেছে ।
পরচুলের ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ মল্লিক বলেন আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের ভাগ রয়েছে । একদল রয়েছে যারা খুচরো ব্যবসায়ী, তারা ১০ কেজি ৭ কেজি করে চুল নিয়ে আছে আমাদের কাছে । আরেক দল রয়েছে যারা এটাকে বেছে পরিষ্কার করে । তারপরে তা ফ্যাক্টরিতে এনে কর্মীদের দ্বারা পরচুলা তৈরি করা হয় । এই মুহূর্তে করোণা ভাইরাস এর জন্য ভারতবর্ষ ব্যাপী এই ব্যবসা বন্ধ রয়েছে । আমরা প্রথমে এই ভাইরাস সম্পর্কে ঠিক এতটা বুঝতে পারিনি । তারপরে তা যখন চিনে পরপর ছড়িয়ে পড়ে ,সরকার থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয় । যার ফলে আমাদের কে ও বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে এই ব্যবসা । যে সমস্ত মাল পাঠানো হয়েছে তার টাকাও আটকে রয়েছে এখন পর্যন্ত । কারণ মূলত আমাদের এই পরচুলগুলো একমাত্র চিনে পাঠানো হতো । আর এখন চিনে পাঠানো একবার বন্ধ রয়েছে । আর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আরেক খুচরা ব্যবসায়ী ,এসকে সাত্তার জাহান্নাত বলেন, পরচুলগুলো মূলত আমরা চীনে পাঠাতাম । করোনাভাইরাস এর জন্য এই সমস্ত জিনিস চীনে এক্সপোর্ট করা বন্ধ রয়েছে । তাই আমাদের কাছে যে সমস্ত কর্মচারীরা আসতো তাদেরকে আমরা এই মুহূর্তে আসতে বারন করে দিয়েছি । আর আমাদের এখানে কাজ করতো প্রায় একশর বেশি কর্মচারী । কিন্তু আমাদের ও কিছু করার নেই , তাই আমরা বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের না বলেছি । এর ফলে আমাদের ব্যবসা ব্যাপকহারে ক্ষতির মুখে পড়েছে ।
এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক অমিত কুমার গুপ্তা বলেন করোনাভাইরাস এর আতঙ্ক থেকে এখানে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । এখন কিচ্ছু করার নেই আমাদের । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে এখন সেটাই দেখার ।
করোনাভাইরাস এর আতঙ্ক শুধু গ্রাস করেনি মানুষের জীবনকে , সেইসঙ্গে প্রভাব ফেলেছে মানুষের রুজি-রুটির তেও।

বাইট 1a ফিরোজ মল্লিক, পরচুলের মালিক ।

বাইট 1b এসকে সাত্তার জাহান্নাত , পরচুলের খুচরো ব্যবসায়ী ।Conclusion:ভাইরাসের আতঙ্ক পরচুলের ব্যবসাতে ও , মাথায় হাত পরচুলা ব্যসায়ীদের ।


করোণা ভাইরাসের আতঙ্ক এবার পরচুলো ও চুল ব্যবসাতে ও । পরচুলোর মূলত বাজার ছিল চীনে । কিন্তু চিনেই করোণা ভাইরাস দেখা দিয়েছে । আর তার প্রভাব পড়লো পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর, চন্ডিপুর ও কাঁথি তে । এই এলাকার বহু মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত । এক দল মানুষ রয়েছেন , যারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুল সংগ্রহ করেন । আরেক দল রয়েছে যারা এদের কাছ থেকে এই সমস্ত খুচরো মাল কিনে একত্রিত করে এবং তা পরচুলের ফ্যাক্টরিতে দিয়ে আসে । তারপরে এই সমস্ত চুল ফ্যাক্টরিতে আলাদাভাবে বেছে তৈরি করা হয় পরচুলা। সব মিলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ মানুষ এই কাজের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ।
কোন ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ও সংক্রমনের দিক থেকে চিনের নাম উঠে আসার পরেই , ভাটা পড়ে এই ব্যবসায় । যার ফলে এই মুহূর্তে চাহিদা না থাকার ফলে পরচুলের ফ্যাক্টরিগুলো উৎপাদন বন্ধ করেছে ।
পরচুলের ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ মল্লিক বলেন আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের ভাগ রয়েছে । একদল রয়েছে যারা খুচরো ব্যবসায়ী, তারা ১০ কেজি ৭ কেজি করে চুল নিয়ে আছে আমাদের কাছে । আরেক দল রয়েছে যারা এটাকে বেছে পরিষ্কার করে । তারপরে তা ফ্যাক্টরিতে এনে কর্মীদের দ্বারা পরচুলা তৈরি করা হয় । এই মুহূর্তে করোণা ভাইরাস এর জন্য ভারতবর্ষ ব্যাপী এই ব্যবসা বন্ধ রয়েছে । আমরা প্রথমে এই ভাইরাস সম্পর্কে ঠিক এতটা বুঝতে পারিনি । তারপরে তা যখন চিনে পরপর ছড়িয়ে পড়ে ,সরকার থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয় । যার ফলে আমাদের কে ও বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে এই ব্যবসা । যে সমস্ত মাল পাঠানো হয়েছে তার টাকাও আটকে রয়েছে এখন পর্যন্ত । কারণ মূলত আমাদের এই পরচুলগুলো একমাত্র চিনে পাঠানো হতো । আর এখন চিনে পাঠানো একবার বন্ধ রয়েছে । আর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আরেক খুচরা ব্যবসায়ী ,এসকে সাত্তার জাহান্নাত বলেন, পরচুলগুলো মূলত আমরা চীনে পাঠাতাম । করোনাভাইরাস এর জন্য এই সমস্ত জিনিস চীনে এক্সপোর্ট করা বন্ধ রয়েছে । তাই আমাদের কাছে যে সমস্ত কর্মচারীরা আসতো তাদেরকে আমরা এই মুহূর্তে আসতে বারন করে দিয়েছি । আর আমাদের এখানে কাজ করতো প্রায় একশর বেশি কর্মচারী । কিন্তু আমাদের ও কিছু করার নেই , তাই আমরা বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের না বলেছি । এর ফলে আমাদের ব্যবসা ব্যাপকহারে ক্ষতির মুখে পড়েছে ।
এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক অমিত কুমার গুপ্তা বলেন করোনাভাইরাস এর আতঙ্ক থেকে এখানে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । এখন কিচ্ছু করার নেই আমাদের । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে এখন সেটাই দেখার ।
করোনাভাইরাস এর আতঙ্ক শুধু গ্রাস করেনি মানুষের জীবনকে , সেইসঙ্গে প্রভাব ফেলেছে মানুষের রুজি-রুটির তেও।

বাইট 1a ফিরোজ মল্লিক, পরচুলের মালিক ।

বাইট 1b এসকে সাত্তার জাহান্নাত , পরচুলের খুচরো ব্যবসায়ী ।
Last Updated : Feb 7, 2020, 6:27 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.