ETV Bharat / state

"দিদি চা বানিয়ে খেলেন, কিন্তু কিছুই করলেন না", আক্ষেপ দিঘার চা বিক্রেতার

দোকানের ভিতরে এখনও জ্বলজ্বল করছে মুখ্যমন্ত্রীর চা বানানোর নানা মুহূর্তের ছবি ৷ রাতারাতি শিরোনামে উঠে আসা সেই দোকান এখন উচ্ছেদের তালিকায় ৷ পরিমলবাবু বলেন, "এ ভাবে উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হতে হবে ভাবতে পারিনি । পুনর্বাসন পাইনি । "

eviction of the digha tea stall where Mamata Banerjee make tea
রাধারানি টি স্টল
author img

By

Published : Dec 9, 2019, 12:15 AM IST

দিঘা, 8 ডিসেম্বর : মাস চারেক আগে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে দিঘা গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সে সময় দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে একটি চায়ের দোকানে নিজে হাতে সেদিন চা বানিয়েছিলেন তিনি ৷ নেত্রীর হাতে চা খেয়ে আপ্লুত হয়েছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারি, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায় ৷ রাতারাতি এলাকার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন চা বিক্রেতা পরিমল জানা ৷ কিন্তু আজ সেই পরিমলবাবুর গলায় আক্ষেপ, "দিদি দোকানে চা খেয়ে গেলেন, কিন্তু আমার জন্য কিছু করলেন না ৷ এটা দুঃখের বিষয় ৷ "

ডিসেম্বরের 10 তারিখ থেকে দিঘায় শুরু হচ্ছে শিল্প সম্মেলন ৷ সম্মেলন শুরুর আগে গত মাসে জেলা প্রশাসনের তরফে চালানো হয় উচ্ছেদ অভিযান ৷ প্রশাসনের নির্দেশ মেনে নিজের দোকানের কিছুটা অংশ ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন পরিমলবাবু ৷ আর বাকি অংশটুকু রাস্তা থেকে কয়েক ফুট পেছনের দিকে সরিয়ে নেন ।

দেখুন ভিডিয়ো...

পরিমলবাবু বলেন, "আমার দোকানে দিদি আগে এসেছিলেন ৷ চা খেয়েছিলেন ৷ আমার আশা ছিল যে হয়তো দিদি আমার জন্য কিছু ব্যবস্থা করবেন ৷ আমি বলেছিলাম দোকানের জন্য কিছু ব্যবস্থা করুন ৷ উনি বলেছিলেন দেখবেন ৷ কয়েকদিন আগে প্রশাসনের তরফে আমার দোকানটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৷ এখন আমার করে খাওয়ার মত কিছু নেই ৷ এই দোকানই আমার রুজি-সম্বল ৷ দিদি যদি আমার জন্য কিছু ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে আমি এখানে বসে রোজগার করতে পারতাম ৷ এটা দিদির কাছে আমার অনুরোধ ৷ " তিনি আরও জানান, এখন তাঁকে নিয়ে অনেকেই হাসি ঠাট্টা করেন ৷ বলেন, দিদি তাঁর দোকানে চা খেয়েছিলেন তাই তাঁর এ অবস্থা ৷ অনেকে আবার প্রশ্ন করে, দিদি চা খেলেন কিন্তু কী দিলেন ৷ তাই পরিমলবাবুর অনুরোধ, "দিদি যেন আমার অন্নের ব্যবস্থা করে দেন ৷ দোকানটা যেন থাকে ৷ "

দোকানের ভিতরে এখনও জ্বলজ্বল করছে মুখ্যমন্ত্রীর চা বানানোর নানা মুহূর্তের ছবি ৷ রাতারাতি শিরোনামে উঠে আসা সেই দোকান এখন উচ্ছেদের তালিকায় ৷ পরিমলবাবু বলেন, "এ ভাবে উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হতে হবে ভাবতে পারিনি । পুনর্বাসন পাইনি । "

পরিমলবাবুর বড় মেয়ে ক্লাস টেনের ও ছোট মেয়ে ক্লাস এইটের ছাত্রী । তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দু'জনে চা বানিয়ে কোনও রকমে সংসার চালান ৷ দোকানই তাঁদের উপার্জনের একমাত্র সম্বল ৷ উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনর্বাসনের জন্য 'দিদিকে বলো'-তে একাধিকবার ফোন করেছিলেন পরিমলবাবু ৷ কিন্তু শুধুই আশ্বাস মিলেছে ।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, "দেশ-বিদেশের অতিথিরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য দিঘার ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ৷ বিধি মেনেই প্রশাসনের তরফে চালানো হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান ৷ " জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সব অস্থায়ী দোকানদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটি দিঘা- শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ দেখছে ৷

দিঘা, 8 ডিসেম্বর : মাস চারেক আগে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে দিঘা গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সে সময় দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে একটি চায়ের দোকানে নিজে হাতে সেদিন চা বানিয়েছিলেন তিনি ৷ নেত্রীর হাতে চা খেয়ে আপ্লুত হয়েছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারি, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায় ৷ রাতারাতি এলাকার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন চা বিক্রেতা পরিমল জানা ৷ কিন্তু আজ সেই পরিমলবাবুর গলায় আক্ষেপ, "দিদি দোকানে চা খেয়ে গেলেন, কিন্তু আমার জন্য কিছু করলেন না ৷ এটা দুঃখের বিষয় ৷ "

ডিসেম্বরের 10 তারিখ থেকে দিঘায় শুরু হচ্ছে শিল্প সম্মেলন ৷ সম্মেলন শুরুর আগে গত মাসে জেলা প্রশাসনের তরফে চালানো হয় উচ্ছেদ অভিযান ৷ প্রশাসনের নির্দেশ মেনে নিজের দোকানের কিছুটা অংশ ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন পরিমলবাবু ৷ আর বাকি অংশটুকু রাস্তা থেকে কয়েক ফুট পেছনের দিকে সরিয়ে নেন ।

দেখুন ভিডিয়ো...

পরিমলবাবু বলেন, "আমার দোকানে দিদি আগে এসেছিলেন ৷ চা খেয়েছিলেন ৷ আমার আশা ছিল যে হয়তো দিদি আমার জন্য কিছু ব্যবস্থা করবেন ৷ আমি বলেছিলাম দোকানের জন্য কিছু ব্যবস্থা করুন ৷ উনি বলেছিলেন দেখবেন ৷ কয়েকদিন আগে প্রশাসনের তরফে আমার দোকানটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৷ এখন আমার করে খাওয়ার মত কিছু নেই ৷ এই দোকানই আমার রুজি-সম্বল ৷ দিদি যদি আমার জন্য কিছু ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে আমি এখানে বসে রোজগার করতে পারতাম ৷ এটা দিদির কাছে আমার অনুরোধ ৷ " তিনি আরও জানান, এখন তাঁকে নিয়ে অনেকেই হাসি ঠাট্টা করেন ৷ বলেন, দিদি তাঁর দোকানে চা খেয়েছিলেন তাই তাঁর এ অবস্থা ৷ অনেকে আবার প্রশ্ন করে, দিদি চা খেলেন কিন্তু কী দিলেন ৷ তাই পরিমলবাবুর অনুরোধ, "দিদি যেন আমার অন্নের ব্যবস্থা করে দেন ৷ দোকানটা যেন থাকে ৷ "

দোকানের ভিতরে এখনও জ্বলজ্বল করছে মুখ্যমন্ত্রীর চা বানানোর নানা মুহূর্তের ছবি ৷ রাতারাতি শিরোনামে উঠে আসা সেই দোকান এখন উচ্ছেদের তালিকায় ৷ পরিমলবাবু বলেন, "এ ভাবে উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হতে হবে ভাবতে পারিনি । পুনর্বাসন পাইনি । "

পরিমলবাবুর বড় মেয়ে ক্লাস টেনের ও ছোট মেয়ে ক্লাস এইটের ছাত্রী । তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দু'জনে চা বানিয়ে কোনও রকমে সংসার চালান ৷ দোকানই তাঁদের উপার্জনের একমাত্র সম্বল ৷ উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনর্বাসনের জন্য 'দিদিকে বলো'-তে একাধিকবার ফোন করেছিলেন পরিমলবাবু ৷ কিন্তু শুধুই আশ্বাস মিলেছে ।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, "দেশ-বিদেশের অতিথিরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য দিঘার ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ৷ বিধি মেনেই প্রশাসনের তরফে চালানো হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান ৷ " জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সব অস্থায়ী দোকানদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটি দিঘা- শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ দেখছে ৷

Intro:দিদি আমার দোকানে চা বানিয়ে খেলেন , কিন্তু আমার জন্য কিছুই করলেন না ! বরং কয়েক মাসের মধ্যেই উচ্ছেদেরশিকার হলাম, বলেন চা দোকানি পরিমল ।

গত চার মাস আগে দীঘাতে প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন । নিজের হাতে চা তৈরি করে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং হাজির থাকা জনপ্রতিনিধিদের সেদিন চা খাইয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । মাত্র চার মাসের ব্যবধানে রাজ্যের শিল্প সম্মেলন উদ্বোধন করতে আসছেন আগামী ১০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই কয়েক মাসের মধ্যেই বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে 'রাধারানী স্টোরস, 'নামে ওই চায়ের দোকান অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। কারণ
খুঁজতে জানা গেল-শিল্প সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে গত নভেম্বর মাসে সৈকত শহর দিঘায় উচ্ছেদ অভিযান করেছিল জেলা প্রশাসন। রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকান করে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই রাস্তার পাশে থাকা নিজের দোকানের কিছুটা অংশ নিজেই ভেঙে নিয়েছেন । আর বাকি অংশটুকু রাস্তা থেকে কয়েক ফুট পেছনের দিকে সরিয়ে নিয়েছেন । গত চার মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী এসে চা তৈরি করার নানা মুহূর্তের ছবি বাঁধিয়ে দোকানের ভেতর এবং রাস্তার পাশে ঝোলানো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পর্শে সৈকত শহরে রাতারাতি যে চায়ের দোকান নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছিল, সেই দোকান এখন হতশ্রী দশা। পরিমল জানা এই চা দোকানের মালিক বলেন দিদি আমার দোকানে পা রাখার পর আমাদের কিছু হবে বলে আশা করেছিলাম । কিন্তু এভাবে উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হবো ভাবতেই পারিনি । তাছাড়া এখন পর্যন্ত পুনর্বাসনের সুযোগটুকু ও পাইনি। বড় মেয়ে স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। ছোট মেয়ে একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। পরিমল এবং তার স্ত্রী দুজনে সকাল থেকে চা তৈরি করে কোন রকমে একটা ছোট্ট দোকান বানিয়ে সংসার চালাতাম । কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আর কতদিন চালাতে পারব বুঝে উঠতে পারছিনা। হয়তো কিছুদিনের পর আবার উচ্ছেদ অভিযান হলে পুরো দোকানটাই চলে যাবে। এক বার দিদি এসে ঘুরে গিয়েছেন আমার দোকান থেকে, তাই মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা ছিল পরিমলের পরিবারের। উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনর্বাসনের জন্য'দিদিকে বলো'তে একাধিকবার ফোন করে দাবি জানিয়েছিলেন। পাশে থাকার আশ্বাস ও পেয়েছিলেন পরিমল। কিন্তু পূনর্বাসনের সুযোগ এখনও জোটেনি। তবে এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন-দেশ-বিদেশের অতিথিদের যাতে কোন অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য দীঘায় ফুটপাতে বসে থাকা উচ্ছেদ অভিযান বিধি মেনেই করা হয়েছে। তবে পরিমলের দোকান কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে যেসব অস্থায়ী দোকানদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটি দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ দেখছে বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

বাইট 1a চা দোকানি পরিমল ।Body:দিদি আমার দোকানে চা বানিয়ে খেলেন , কিন্তু আমার জন্য কিছুই করলেন না ! বরং কয়েক মাসের মধ্যেই উচ্ছেদেরশিকার হলাম, বলেন চা দোকানি পরিমল ।

গত চার মাস আগে দীঘাতে প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন । নিজের হাতে চা তৈরি করে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং হাজির থাকা জনপ্রতিনিধিদের সেদিন চা খাইয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । মাত্র চার মাসের ব্যবধানে রাজ্যের শিল্প সম্মেলন উদ্বোধন করতে আসছেন আগামী ১০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই কয়েক মাসের মধ্যেই বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে 'রাধারানী স্টোরস, 'নামে ওই চায়ের দোকান অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। কারণ
খুঁজতে জানা গেল-শিল্প সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে গত নভেম্বর মাসে সৈকত শহর দিঘায় উচ্ছেদ অভিযান করেছিল জেলা প্রশাসন। রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকান করে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই রাস্তার পাশে থাকা নিজের দোকানের কিছুটা অংশ নিজেই ভেঙে নিয়েছেন । আর বাকি অংশটুকু রাস্তা থেকে কয়েক ফুট পেছনের দিকে সরিয়ে নিয়েছেন । গত চার মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী এসে চা তৈরি করার নানা মুহূর্তের ছবি বাঁধিয়ে দোকানের ভেতর এবং রাস্তার পাশে ঝোলানো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পর্শে সৈকত শহরে রাতারাতি যে চায়ের দোকান নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছিল, সেই দোকান এখন হতশ্রী দশা। পরিমল জানা এই চা দোকানের মালিক বলেন দিদি আমার দোকানে পা রাখার পর আমাদের কিছু হবে বলে আশা করেছিলাম । কিন্তু এভাবে উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হবো ভাবতেই পারিনি । তাছাড়া এখন পর্যন্ত পুনর্বাসনের সুযোগটুকু ও পাইনি। বড় মেয়ে স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। ছোট মেয়ে একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। পরিমল এবং তার স্ত্রী দুজনে সকাল থেকে চা তৈরি করে কোন রকমে একটা ছোট্ট দোকান বানিয়ে সংসার চালাতাম । কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আর কতদিন চালাতে পারব বুঝে উঠতে পারছিনা। হয়তো কিছুদিনের পর আবার উচ্ছেদ অভিযান হলে পুরো দোকানটাই চলে যাবে। এক বার দিদি এসে ঘুরে গিয়েছেন আমার দোকান থেকে, তাই মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা ছিল পরিমলের পরিবারের। উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনর্বাসনের জন্য'দিদিকে বলো'তে একাধিকবার ফোন করে দাবি জানিয়েছিলেন। পাশে থাকার আশ্বাস ও পেয়েছিলেন পরিমল। কিন্তু পূনর্বাসনের সুযোগ এখনও জোটেনি। তবে এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন-দেশ-বিদেশের অতিথিদের যাতে কোন অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য দীঘায় ফুটপাতে বসে থাকা উচ্ছেদ অভিযান বিধি মেনেই করা হয়েছে। তবে পরিমলের দোকান কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে যেসব অস্থায়ী দোকানদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটি দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ দেখছে বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

বাইট 1a চা দোকানি পরিমল ।Conclusion:দিদি আমার দোকানে চা বানিয়ে খেলেন , কিন্তু আমার জন্য কিছুই করলেন না ! বরং কয়েক মাসের মধ্যেই উচ্ছেদেরশিকার হলাম, বলেন চা দোকানি পরিমল ।

গত চার মাস আগে দীঘাতে প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন । নিজের হাতে চা তৈরি করে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং হাজির থাকা জনপ্রতিনিধিদের সেদিন চা খাইয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । মাত্র চার মাসের ব্যবধানে রাজ্যের শিল্প সম্মেলন উদ্বোধন করতে আসছেন আগামী ১০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই কয়েক মাসের মধ্যেই বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে 'রাধারানী স্টোরস, 'নামে ওই চায়ের দোকান অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। কারণ
খুঁজতে জানা গেল-শিল্প সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে গত নভেম্বর মাসে সৈকত শহর দিঘায় উচ্ছেদ অভিযান করেছিল জেলা প্রশাসন। রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকান করে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই রাস্তার পাশে থাকা নিজের দোকানের কিছুটা অংশ নিজেই ভেঙে নিয়েছেন । আর বাকি অংশটুকু রাস্তা থেকে কয়েক ফুট পেছনের দিকে সরিয়ে নিয়েছেন । গত চার মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী এসে চা তৈরি করার নানা মুহূর্তের ছবি বাঁধিয়ে দোকানের ভেতর এবং রাস্তার পাশে ঝোলানো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পর্শে সৈকত শহরে রাতারাতি যে চায়ের দোকান নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছিল, সেই দোকান এখন হতশ্রী দশা। পরিমল জানা এই চা দোকানের মালিক বলেন দিদি আমার দোকানে পা রাখার পর আমাদের কিছু হবে বলে আশা করেছিলাম । কিন্তু এভাবে উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হবো ভাবতেই পারিনি । তাছাড়া এখন পর্যন্ত পুনর্বাসনের সুযোগটুকু ও পাইনি। বড় মেয়ে স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। ছোট মেয়ে একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। পরিমল এবং তার স্ত্রী দুজনে সকাল থেকে চা তৈরি করে কোন রকমে একটা ছোট্ট দোকান বানিয়ে সংসার চালাতাম । কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আর কতদিন চালাতে পারব বুঝে উঠতে পারছিনা। হয়তো কিছুদিনের পর আবার উচ্ছেদ অভিযান হলে পুরো দোকানটাই চলে যাবে। এক বার দিদি এসে ঘুরে গিয়েছেন আমার দোকান থেকে, তাই মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা ছিল পরিমলের পরিবারের। উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনর্বাসনের জন্য'দিদিকে বলো'তে একাধিকবার ফোন করে দাবি জানিয়েছিলেন। পাশে থাকার আশ্বাস ও পেয়েছিলেন পরিমল। কিন্তু পূনর্বাসনের সুযোগ এখনও জোটেনি। তবে এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন-দেশ-বিদেশের অতিথিদের যাতে কোন অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য দীঘায় ফুটপাতে বসে থাকা উচ্ছেদ অভিযান বিধি মেনেই করা হয়েছে। তবে পরিমলের দোকান কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে যেসব অস্থায়ী দোকানদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটি দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ দেখছে বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

বাইট 1a চা দোকানি পরিমল ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.