কলকাতা, 3 ডিসেম্বর: আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ৷ তার আগে শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন ভূপতিনগরের তৃণমূল বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ৷ এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ৷ এ ঘটনার দায় তৃণমূলের ঘাড়েই চাপালেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও দলের সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Suvendu Adhikari and Dilip Ghosh over TMC Booth President Bomb Blast) ৷
শুভেন্দু টুইটে দাবি করেন, "এই বিস্ফোরণের সময় রাজকুমার মান্না বাড়িতে বোমা তৈরি করছিলেন ৷ এই বোমাগুলিই কাঁথিতে ছোড়ার পরিকল্পনা ছিল ৷ এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত ৷ বোমা তৈরি এখন রাজ্যের সফলতম কুটিরশিল্প ৷"
আর দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, "যেখানেই তাকাই হয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ৷ অথবা বিস্ফরোণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক ৷ তারাই সমাজবিরোধী ৷ এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না ৷"
তিনি আরও বলেন, "এটা নতুন কিছু নয় ৷ আমি বিগত সাত বছর ধরে এ জিনিস দেখে আসছি ৷ হয় সভা করতে দেওয়া হয় না নয়ত সবকিছু ভেঙে দেওয়া হয় ৷ এরা বলে মুক্ত গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ ভোট ৷ এসব ডায়লগ শুনি ৷ বাস্তব দেখলে বোঝা যায়, পরিস্থিতি কী ৷ ওরা বাঁচার জন্য গুন্ডামির আশ্রয় নেয় ৷"
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, মৃত বুথ সভাপতি-সহ 3
দিলীপ বলেন, "শিরাকোলের ঘটনা আজও মনে পড়ে ওরা পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে ৷ গাড়ি ভেঙে দিতে পারে ৷ ওদের তখন যে জেলা সভাপতি ছিল, সওকত মোল্লা, নিজে বিধায়ক ৷ আমি সেদিন নাড্ডাজির (বিজেপি সভাপতির জেপি নড্ডা) গাড়িতেই ছিলাম ৷ সওকত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল ৷ উস্কানি দিচ্ছিল ৷ রাস্তায় মাইক বাজিয়ে লোককে উত্তেজিত করছিল ৷ ফলে আমাদের সবার উপর হামলা হয় ৷ দশটা গাড়ি ভাঙচুর হয় ৷ নাড্ডাজির গাড়ি বুলেট প্রুফ ছিল বলে তিনি অক্ষত থাকেন ৷ কৈলাশ বিজয়বর্গীর হাতে ইট লাগে ৷ নাড্ডাজি যদি সুরক্ষিত না হন, তাহলে কে সুরক্ষিত ? আমি নিজে এই অবস্থায় সভা করেছি ৷ বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট পর্যায়ের নেতা ৷ তার সুরক্ষা যদি রাজ্য পুলিশ দিতে না পারে তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত ৷"