ETV Bharat / state

মনস্কামনা পূরণে ভক্তদের দান, ভীমের টাকায় এলাকার উন্নয়ন

নন্দকুমারের তাড়়াগেড়িয়ার ভীম পুজো জেলাবাসীর অন্যতম আকর্ষণ ৷ ধর্ম ও উন্নয়নের মিশেলে পূর্ব মেদিনীপুরে তাড়াগেড়িয়ার ভীম এখন অন্যান্য পুজো কমিটির কাছে কার্যত আইকন পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এবছর প্রায় 10 লাখ টাকার মালা ভক্তরা পরিয়েছেন ভীম দেবকে । পুজো শেষে সেই টাকা যেমন মন্দিরের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয় তেমন গ্রামের রাস্তাঘাট, পানীয় জল থেকে শুরু করে এলাকার সরকারি স্কুলের ভবন নির্মাণের জায়গা কেনার জন্যও খরচ করা হয় ।

nandakumar
ভীম দেব
author img

By

Published : Feb 8, 2020, 12:10 AM IST

নন্দকুমার ,7 ফেব্রুয়ারি : পঁচিশ ফুটের পেশীবহুল ভীম দাঁড়িয়ে আছে গদা হাতে । গলায় ঝুলছে প্রায় ১০ লাখ টাকার 100 থেকে 200 টাকার নোট । খুচরো টাকার কোনও হিসেব নেই । সন্তান কামনায় কেউ ভীমের পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছেন কেউ বা অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করার কামনায় ভীমের পায়ে মাথা ঠুকছেন । ভীমের এই বিপুল অঙ্কের উপহারে সাজছে এলাকার স্কুল বাড়ি থেকে রাস্তাঘাট । ধর্ম ও উন্নয়নের মিশেলে পূর্ব মেদিনীপুরে তাড়াগেড়িয়ার ভীম এখন অন্যান্য পুজো কমিটির কাছে কার্যত আইকন ৷

ঠিক কবে পুজো শুরু হয়েছিল তা জানা নেই এলাকার প্রবীণদের । তবে তাঁদের অনুমান, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে গ্রামে হয়ে আসছে ভীমের পুজো । জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ভীম পূজিত হলেও নন্দকুমারের তাড়াগেড়িয়ার পুজো জেলাবাসীর অন্যতম আকর্ষণ । জেলা তো বটেই, পার্শ্ববর্তী হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি থেকেও আসেন দ্বিতীয় পাণ্ডবের হাজার হাজার ভক্তকুল । প্রতিবছরই ভক্তরা ভীমের কাছে পূজা দিয়ে নিত্যনতুন মনস্কামনা নিয়ে মানত করে যান । কেউ চান সুস্থতা ,কেউবা সন্তান, চাকরি বাকরি তো আছেই । বছর ঘুরে মনস্কামনা পূরণ হলেই 10 থেকে 500 এমনকী 2000 টাকার নোটের মালা পরিয়ে মানত পূরণ করেন ভক্তরা, এমনই রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে । পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এবছর প্রায় 10 লাখ টাকার মালা ভক্তরা পরিয়েছেন ভীমকে । পুজো শেষে সেই টাকা যেমন মন্দিরের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয় তেমন গ্রামের রাস্তাঘাট, পানীয় জল থেকে শুরু করে এলাকার সরকারি স্কুলের ভবন নির্মাণের জায়গা কেনার জন্যও খরচ করা হয় ।

নন্দকুমারে ভীম দেবের পুজো


ভীম একাদশী তিথি উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের তাড়াগেড়িয়া গ্রামে বসেছে ভীম মেলা । তাড়াগেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের মাঠজুড়ে বসেছে রকমারি দোকানপাট ৷ 12 দিন ধরে চলবে এই প্রাচীন মেলা। প্রতিদিনই কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন । গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই এই পুজো এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে । তাদের বিশ্বাস গ্রামের রক্ষাকর্তা হলেন ভীম । আর তাই এত ঘটা করে পুজোর আয়োজন । ভক্তরা জানিয়েছেন, এখানকার দ্বিতীয় পাণ্ডব তাঁদের কোনও মনস্কামনা অপূর্ণ রাখেন না । সব বাসনাই পুরণ করেন ৷ তাই ছুটে আসা ।

পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল চন্দ্র গুড়িয়া জানান, প্রতিবছর ভক্তরা মনস্কামনা পূরণ হলে হাজার হাজার টাকার মালা চড়ান ভীম দেবের গলায় । এবছর প্রায় 10 লাখ টাকার মালা পরানো হয়েছে ভীম দেবকে । পুজোর দিন ভক্তরাই টাকার মালা গেঁথে পরিয়ে দেন । পুজো শেষে সেই টাকা যেমন খরচ করা হয় মন্দিরের উন্নয়নের জন্য, ঠিক তেমনই এলাকার উন্নয়নের কাজেও ব্যয় করা হয় । মানুষের বিশ্বাস-আস্থার কারণেই পুজো দিনে দিনে বড় হচ্ছে ৷ সমাগম হচ্ছে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর ।

নন্দকুমার ,7 ফেব্রুয়ারি : পঁচিশ ফুটের পেশীবহুল ভীম দাঁড়িয়ে আছে গদা হাতে । গলায় ঝুলছে প্রায় ১০ লাখ টাকার 100 থেকে 200 টাকার নোট । খুচরো টাকার কোনও হিসেব নেই । সন্তান কামনায় কেউ ভীমের পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছেন কেউ বা অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করার কামনায় ভীমের পায়ে মাথা ঠুকছেন । ভীমের এই বিপুল অঙ্কের উপহারে সাজছে এলাকার স্কুল বাড়ি থেকে রাস্তাঘাট । ধর্ম ও উন্নয়নের মিশেলে পূর্ব মেদিনীপুরে তাড়াগেড়িয়ার ভীম এখন অন্যান্য পুজো কমিটির কাছে কার্যত আইকন ৷

ঠিক কবে পুজো শুরু হয়েছিল তা জানা নেই এলাকার প্রবীণদের । তবে তাঁদের অনুমান, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে গ্রামে হয়ে আসছে ভীমের পুজো । জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ভীম পূজিত হলেও নন্দকুমারের তাড়াগেড়িয়ার পুজো জেলাবাসীর অন্যতম আকর্ষণ । জেলা তো বটেই, পার্শ্ববর্তী হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি থেকেও আসেন দ্বিতীয় পাণ্ডবের হাজার হাজার ভক্তকুল । প্রতিবছরই ভক্তরা ভীমের কাছে পূজা দিয়ে নিত্যনতুন মনস্কামনা নিয়ে মানত করে যান । কেউ চান সুস্থতা ,কেউবা সন্তান, চাকরি বাকরি তো আছেই । বছর ঘুরে মনস্কামনা পূরণ হলেই 10 থেকে 500 এমনকী 2000 টাকার নোটের মালা পরিয়ে মানত পূরণ করেন ভক্তরা, এমনই রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে । পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এবছর প্রায় 10 লাখ টাকার মালা ভক্তরা পরিয়েছেন ভীমকে । পুজো শেষে সেই টাকা যেমন মন্দিরের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয় তেমন গ্রামের রাস্তাঘাট, পানীয় জল থেকে শুরু করে এলাকার সরকারি স্কুলের ভবন নির্মাণের জায়গা কেনার জন্যও খরচ করা হয় ।

নন্দকুমারে ভীম দেবের পুজো


ভীম একাদশী তিথি উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের তাড়াগেড়িয়া গ্রামে বসেছে ভীম মেলা । তাড়াগেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের মাঠজুড়ে বসেছে রকমারি দোকানপাট ৷ 12 দিন ধরে চলবে এই প্রাচীন মেলা। প্রতিদিনই কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন । গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই এই পুজো এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে । তাদের বিশ্বাস গ্রামের রক্ষাকর্তা হলেন ভীম । আর তাই এত ঘটা করে পুজোর আয়োজন । ভক্তরা জানিয়েছেন, এখানকার দ্বিতীয় পাণ্ডব তাঁদের কোনও মনস্কামনা অপূর্ণ রাখেন না । সব বাসনাই পুরণ করেন ৷ তাই ছুটে আসা ।

পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল চন্দ্র গুড়িয়া জানান, প্রতিবছর ভক্তরা মনস্কামনা পূরণ হলে হাজার হাজার টাকার মালা চড়ান ভীম দেবের গলায় । এবছর প্রায় 10 লাখ টাকার মালা পরানো হয়েছে ভীম দেবকে । পুজোর দিন ভক্তরাই টাকার মালা গেঁথে পরিয়ে দেন । পুজো শেষে সেই টাকা যেমন খরচ করা হয় মন্দিরের উন্নয়নের জন্য, ঠিক তেমনই এলাকার উন্নয়নের কাজেও ব্যয় করা হয় । মানুষের বিশ্বাস-আস্থার কারণেই পুজো দিনে দিনে বড় হচ্ছে ৷ সমাগম হচ্ছে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর ।

Intro:নন্দকুমার,৬ ফেব্রুয়ারি: পঁচিশ ফুটের পেশীবহুল ভীম দাঁড়িয়ে আছে গদা হাতে। গলায় ঝুলছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ১০০ থেকে ২০০ টাকার নোট। খুচরো টাকার কোন হিসেব নেই। সন্তান কামনায় কেউ ভীমের পায়ে লুটোপুটি খাচ্ছেন কেউ বা অসুস্থ রোগীকে সুস্থ করার কামনায় ভীমের পায়ে মাথা ঢুকছেন। ভীমের এই বিপুল অংকের উপহারে সাজছে এলাকার স্কুল বাড়ি থেকে রাস্তাঘাট। ধর্ম ও উন্নয়নের মিশেলে পূর্ব মেদিনীপুরে তাড়াগেড়িয়ার ভীম এখন অন্যান্য পুজো কমিটির কাছে কার্যত আইকন।Body:ঠিক কবে পুজো শুরু হয়েছিল তা জানা নেই এলাকার প্রবীনদের। তবে তাদের অনুমান প্রায় সাড়ে তিনশ বছর ধরে গ্রামে হয়ে আসছে ভীম দেবের পুজা। জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ভীম দেব পূজিত হলেও নন্দকুমারের তাড়াগেড়িয়ার পুজোই জেলাবাসীর অন্যতম আকর্ষণের । জেলা তো বটেই পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি থেকেও আসেন মধ্যম পান্ডবের হাজার হাজার ভক্তকূল। প্রতিবছরই ভক্তরা ভীমের কাছে পূজা দিয়ে নিত্যনতুন মনস্কামনা নিয়ে মানত করে যান। কেউ চান সুস্থতা ,কেউবা সন্তান ,চাকরি বাকরি তো আছেই ।বছর ঘুরে মনস্কামনা পূরণ হলেই 10 থেকে 500 এমনকি 2000 টাকার নোটের মালা পরিয়ে মানত পূরণ করেন ভক্তরা,এমনটাই রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন এবছর প্রায় 10 লক্ষ টাকার মালা ভক্তরা পরিয়েছেন ভীম দেবকে ।পুজো শেষে সেই টাকা যেমন মন্দিরের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয় তেমন গ্রামের রাস্তাঘাট, পানীয় জল থেকে শুরু করে এলাকার সরকারি স্কুলের ভবন নির্মাণের জায়গা কেনার জন্য ও খরচ করা হয়।

ভীম একাদশী তিথি উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের তাড়াগেড়িয়া গ্রামে বসেছে ভীম মেলা।তাড়াগেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের মাঠজুড়ে বসেছে রকমারি দোকান পাট। 12 দিন ধরে চলবে এই প্রাচীন মেলা। প্রতিদিনই কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই এই পুজো এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। তাদের বিশ্বাস গ্রামের রক্ষাকর্তা হলেন ভীম দেব । আর তাই এত ঘটা করে পুজোর আয়োজন। ভক্তরা জানিয়েছেন এখানকার মধ‍্যম পান্ডব তাঁদের কোন মনস্কামনা অপূর্ণ রাখেননা। সব বাসনাই পুরন করেন তাই ছুটে আসা।
Conclusion:চন্ডিপুরের বাসিন্দা অনুশ্রী মাজী বলেন, অনেকের মুখে শুনেছি বাবার কাছে মানত করলে তিনি ফেরান না।গতবছর মানত করেছিলাম তা পুরন হয়েছে । তাই এবার সন্তান লাভের আশায় আবার এসেছি।


হাওড়ার শ‍্যামপুর থেকে সপরিবারে পুজো দিতে এসেছিলেন সরস্বতী ভৌমিক। তিনিও এ বছর নতুন নয়। তাঁর দাবি এখানকার ভীম দেব খুব জাগ্রত অসুস্থতার কারণে বাবার কাছে মানত করেছিলাম। এখন সুস্থ রয়েছি আর তাই মানত পুরন করতে ফের এসেছি।


পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল চন্দ্র গুড়িয়া জানান, প্রতিবছর ভক্তরা মনস্কামনা পূরণ হলে হাজার হাজার টাকার মালা চড়ান ভীম দেবের গলায়। এবছর প্রায় 10 লক্ষ টাকার মালা পরানো হয়েছে ভীম দেবকে।পূজার দিন ভক্তরাই টাকার মালা গেঁথে বাবাকে পরিয়ে দেন।পূজো শেষে সেই টাকা যেমন খরচ করা হয় মন্দিরে উন্নয়নের জন্য ঠিক তেমনই এলাকার উন্নয়নের কাজেও ব‍্যয় করা হয় ।মানুষের বিশ্বাস আস্থার কারনেই পূজো দিনেদিনে বড় হচ্ছে সমাগম হচ্ছে লক্ষ লক্ষ পূণ‍্যার্থীর।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.