খেজুরি, 20 অগস্ট: নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সমুদ্র ৷ সমুদ্রের জল ঢুকে পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক বাড়ি জলের তলায় রয়েছে (Depression Effect in Costal Area) । মাটির বাড়িগুলি ভেঙে পড়ছে। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে খেজুরি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় (Depression Effect at Khejuri)। খেজুরি সমুদ্র লাগোয়া বেশ কয়েকটি গ্রাম এখনও জলমগ্ন।
এদিন সকালে এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমুদ্ভব দাস। যদিও কোনও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে সিপিএমের (CPIM) অভিযোগ। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে টানা দু'দিন ভারী বর্ষণ ৷ আর তাতেই কার্যত বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জেলায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
সৈকত নগরী দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুর-সহ পর্যটন কেন্দ্রে সমুদ্রস্নানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফেরানো হয়েছে মৎস্যজীবীদের, চলছে মাইকিং। খেজুরি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমুদ্ভব দাস বলেন, "টানা বৃষ্টিতে খেজুরির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকালে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এলাকার বিপর্যস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামিদিনের সব রকমের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কবার্তা জারি প্রশাসনের
খেজুরির সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস বলেন, "পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ দিকে এগোচ্ছে। কয়েক শতাধিক বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।" অপরদিকে রামনগর 1 নম্বর ব্লকের সভাপতি শম্পা মহাপাত্র সকাল থেকেই এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, "বেশ কয়েকটি গ্রামে বৃষ্টির জল ঢুকে চাষ জমি ও পুকুর ডুবে গিয়েছে। তবে চাঁদপুরের দিকে সমুদ্রের জল এখনও ঢুকতে পারেনি। বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়িও নষ্ট হয়েছে ৷"