তমলুক, 21 মার্চ : তমলুকের জানুবসান গ্রামে ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার । মৃতের নাম নিত্যানন্দ সামন্ত (45) । দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ । পরিবারের অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয় খুন । কয়েকদিন ধরে নিত্যানন্দকে কেউ বা কারা ফোনে হুমকি দিচ্ছিল । তারাই খুন করেছে ।
সেনাকর্মী ছিলেন নিত্যানন্দ সামন্ত । বছর দুয়েক আগে অবসর নেন । তারপর থেকে তমলুকের বল্লুক 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জানুবসন গ্রামে থাকতেন । অবসরের পর আইন নিয়ে পড়াশোনার জন্য ল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি । স্ত্রী সুচিত্রা সামন্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে দুই মেয়েকে নিয়ে কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন । তমলুকে বাবা-মাকে নিয়ে থাকতেন নিত্যানন্দবাবু । গতকাল রাতে বাবা মায়ের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমোতে যান তিনি । রাত আড়াইটা নাগাদ নিত্যানন্দ বাবুর বাবা দিলীপ সামন্ত দেখতে পান বাড়ির দরজা খোলা রয়েছে । বাড়ির সামনের আমগাছে ঝুলছে ছেলের দেহ । গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো । মাটিতে ঠেকে রয়েছে পা । ভোররাতে খবর দেওয়া হয় পুলিশে । সকাল নাগাদ তমলুক থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ।
ঘটনায়, স্থানীয় বাসিন্দা গৌর সামন্ত বলেন, "ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ফোনে খবর পাই । ঘটনাস্থানে এসে দেখি মৃতদেহ ঝুলছে । পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও গন্ডগোল ছিল না । কী কারণে এই মৃত্যু, বুঝতে পারছি না । মৃতের স্ত্রী সুচিত্রা সামন্ত অভিযোগ করে বলেন, "আইন পাশ করার পর দিন কয়েক ধরে কয়েকজন তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল । আমার মনে হয়, তারাই হয়তো খুন করেছে ।
তমলুক থানার OC জলেশ্বর তিওয়ারি জানান, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে পরিষ্কার হবে খুন না আত্মহত্যা । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।