বর্ধমান, 21 এপ্রিল: সিপিএম নেতা মদন ঘোষের প্রয়াণ দলের অপূরণীয় ক্ষতি বলে শুক্রবার জানালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমল হালদার। তাঁর মতে নিরুপম সেন ও মদন ঘোষের প্রয়াণে জেলার পাশাপাশি রাজ্যেও দলের অনেকটাই ক্ষতি হল। এদিন সকালে বর্ধমানের ভাতছালা পাড়ায় নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মদন ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 81 বছর।
বাম ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে 1959 সালে সিপিএম পার্টির সদস্যপদ নিয়েছেলেন তিনি। তাঁর বাবা অনাথবন্ধু ঘোষ ও পরিবারের সদস্যরাও কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। 1971 সালে মদন ঘোষের বাবা অনাথবন্ধু ঘোষ ভাতার বিধানসভার বিধায়ক হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছয়ের ও সাতের দশকে আধা ফ্যাদিবাদী যুগে দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপন করে পার্টির কাজ পরিচালনা করেন। বর্ধমান শহরে দলকে তিলতিল করে গড়ে তোলার পিছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেই জানাচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে খবর, 1973 সালে মদন ঘোষ পার্টির জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। 1977 সালে বর্ধমান লোকাল কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। 1992 সালে শিলিগুড়ি সম্মেলন থেকে রাজ্য কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। 1996 সাল থেকে 2002 টানা সাত বছর জেলা কমিটির সম্পাদক পদেই ছিলেন তিনি। 2002 সালে দলের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন মদন ঘোষ। এরপরে 2008 সালে কোয়েম্বাটুরে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। কৃষক সভার নেতা হওয়ার পর কৃষকদের উন্নতি সাধনে তিনি একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মুকুলের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধের দাবিতে ও অমিতাভর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি থাকাকালীন বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চ সহ বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যাকে রেখে গেলেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমল হালদার বলেন, "নিরুপম সেনের পরে আরও একজন অভিভাবককে আমরা হারালাম। তাঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ৷ এরমধ্যেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।" দলের নেতাদের দাবি, এই বয়সেও চেষ্টা করতেন সব কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার। বর্ধমান শহরের উন্নতির জন্য তাঁর একাধিক পরিকল্পনাও ছিল ৷