ETV Bharat / state

Contai Sub Divisional Hospital : কাঁথি হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ, কীভাবে এল ? উঠছে প্রশ্ন

এ রাজ্যে বাংলাদেশের ওষুধ ৷ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের (Kanthi Sub Divisional Hospital) বহির্বিভাগের রোগীদের দেওয়া হল সেই ওষুধ ৷ জানাজানি হতেই শোরগোল ৷ কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে এল এই ওষুধ ? তদন্তে প্রশাসন ৷

Contai Sub Divisional Hospital
কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল
author img

By

Published : Apr 6, 2022, 8:59 PM IST

কাঁথি, 6 এপ্রিল : আমাদের দেশে ওষুধের স্ট্রিপে ইংরাজি লেখা থাকে ৷ কিন্তু কাঁথির হাসপাতালে দেওয়া ওষুধে দেখা গেল বাংলায় লেখা ৷ সেখানে লেখা রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ ৷ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় ৷ এ রাজ্য়ে কীভাবে এল বাংলাদেশের ওষুধ ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷

ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর (Medicine of Bangladesh at Kanthi Sub Divisional Hospital)। মঙ্গলবার একাধিক রোগী চিকিৎসা করাতে এসে ডাক্তার দেখানোর পর হাতে পেলেন প্রেসক্রিপশন । সেখানে লেখা ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল হাসপাতাল থেকে নেওয়ার কথা । ওষুধ নেওয়ার পর স্ট্রিপের উপর বাংলা হরফে লেখা, 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ ৷ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় ।' তবে ওষুধের মোড়কে কবে তৈরি বা কবে মেয়াদ শেষ তা লেখা নেই ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় কাঁথি জুড়ে (Contai Sub Divisional Hospital has Provide Bangladeshi Medicine to the Patients) । কীভাবে এমনটা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও নন্দীগ্রামের স্বাস্থ্য কর্তা সৌম্য সারাঙ্গি ।

kanthi sd hospital
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে দেওয়া বাংলাদেশের ওষুধ

দু'ধরনের ওষুধের স্ট্রিপের উপর এই লেখা দেখা গিয়েছে ৷ তবে কবে এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হবে, তার উল্লেখ একটি ওষুধে লেখা থাকলেও অন্যটায় নেই ৷ জেলা প্রশাসনের দাবি, এই ওষুধ কলকাতা থেকে এসেছে ।‌ প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক ও পরে মহকুমা-সহ ব্লকে পাঠানো হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : COVID Medicines GST Rate : অতিমারির শুরু থেকে কোভিডের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে 5 শতাংশ জিএসটিতে

তবে বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ কীভাবে এ রাজ্যে এল এবং কীভাবেই বা তা সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে রোগীদের দেওয়া হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে প্রশ্ন ৷ এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ তো বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে । বাংলাদেশের ওষুধ এখানে বিতরণ লজ্জার বিষয় । তদন্ত হওয়া দরকার । শুধু ওষুধ নয় সমুদ্রপথেও বাংলাদেশি জঙ্গিদের আনাগোনা চলছে, যার ঘাঁটি কলকাতা ।"

তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বলেন, "এদেশে উৎপাদিত ওষুধের পরিবর্তে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ এখানে কেন আনা হয়েছে সেই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি । ইতিমধ্যেই কাঁথি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওগুলি সরকারিভাবে সাপ্লাই হয়েছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ বাংলাদেশ থেকে কোন পথে ভারতে এল, তা নিয়ে তদন্তের দরকার রয়েছে ৷ এটা সরকারি বিষয়, ওনারা নিশ্চয় দেখবেন ৷ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, জেলাশাসক খোঁজ নিয়ে দেখবেন আশাকরি ৷"

কাঁথি হাসপাতালে বাংলাদেশি ওষুধ নিয়ে যা বললেন জেলা স্বাস্থ্য সহ-অধিকর্তা
যদিও এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি জেলার সহ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার রজত পাল ৷ তিনি বলেন, "দফতরের নির্দেশে তিনজনের একটি কমিটি গঠন করে 48 ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । আমরা সমগ্র ঘটনার বিবরণ খতিয়ে দেখছি । এই মেডিসিন এসেছে রাজ্যের সেন্ট্রাল স্টোর থেকেই ৷ এমন খবর পাওয়ার পর থেকে ওই সব ওষুধ রোগীদের দেওয়া বন্ধ করেছি আমরা । এখন বহির্বিভাগ চলছে সরকারি ওষুধ দিয়েই ।

আরও পড়ুন : Russia-Ukraine Conflict Impact : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রভাবিত হবে ভারতের ওষুধ ও সার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি

কাঁথি, 6 এপ্রিল : আমাদের দেশে ওষুধের স্ট্রিপে ইংরাজি লেখা থাকে ৷ কিন্তু কাঁথির হাসপাতালে দেওয়া ওষুধে দেখা গেল বাংলায় লেখা ৷ সেখানে লেখা রয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ ৷ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় ৷ এ রাজ্য়ে কীভাবে এল বাংলাদেশের ওষুধ ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷

ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর (Medicine of Bangladesh at Kanthi Sub Divisional Hospital)। মঙ্গলবার একাধিক রোগী চিকিৎসা করাতে এসে ডাক্তার দেখানোর পর হাতে পেলেন প্রেসক্রিপশন । সেখানে লেখা ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল হাসপাতাল থেকে নেওয়ার কথা । ওষুধ নেওয়ার পর স্ট্রিপের উপর বাংলা হরফে লেখা, 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ ৷ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় ।' তবে ওষুধের মোড়কে কবে তৈরি বা কবে মেয়াদ শেষ তা লেখা নেই ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় কাঁথি জুড়ে (Contai Sub Divisional Hospital has Provide Bangladeshi Medicine to the Patients) । কীভাবে এমনটা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও নন্দীগ্রামের স্বাস্থ্য কর্তা সৌম্য সারাঙ্গি ।

kanthi sd hospital
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে দেওয়া বাংলাদেশের ওষুধ

দু'ধরনের ওষুধের স্ট্রিপের উপর এই লেখা দেখা গিয়েছে ৷ তবে কবে এই ওষুধ তৈরি করা হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হবে, তার উল্লেখ একটি ওষুধে লেখা থাকলেও অন্যটায় নেই ৷ জেলা প্রশাসনের দাবি, এই ওষুধ কলকাতা থেকে এসেছে ।‌ প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক ও পরে মহকুমা-সহ ব্লকে পাঠানো হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : COVID Medicines GST Rate : অতিমারির শুরু থেকে কোভিডের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে 5 শতাংশ জিএসটিতে

তবে বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ কীভাবে এ রাজ্যে এল এবং কীভাবেই বা তা সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে রোগীদের দেওয়া হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে প্রশ্ন ৷ এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ তো বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে । বাংলাদেশের ওষুধ এখানে বিতরণ লজ্জার বিষয় । তদন্ত হওয়া দরকার । শুধু ওষুধ নয় সমুদ্রপথেও বাংলাদেশি জঙ্গিদের আনাগোনা চলছে, যার ঘাঁটি কলকাতা ।"

তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বলেন, "এদেশে উৎপাদিত ওষুধের পরিবর্তে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ এখানে কেন আনা হয়েছে সেই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি । ইতিমধ্যেই কাঁথি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওগুলি সরকারিভাবে সাপ্লাই হয়েছে । এমন গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ বাংলাদেশ থেকে কোন পথে ভারতে এল, তা নিয়ে তদন্তের দরকার রয়েছে ৷ এটা সরকারি বিষয়, ওনারা নিশ্চয় দেখবেন ৷ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, জেলাশাসক খোঁজ নিয়ে দেখবেন আশাকরি ৷"

কাঁথি হাসপাতালে বাংলাদেশি ওষুধ নিয়ে যা বললেন জেলা স্বাস্থ্য সহ-অধিকর্তা
যদিও এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি জেলার সহ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার রজত পাল ৷ তিনি বলেন, "দফতরের নির্দেশে তিনজনের একটি কমিটি গঠন করে 48 ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । আমরা সমগ্র ঘটনার বিবরণ খতিয়ে দেখছি । এই মেডিসিন এসেছে রাজ্যের সেন্ট্রাল স্টোর থেকেই ৷ এমন খবর পাওয়ার পর থেকে ওই সব ওষুধ রোগীদের দেওয়া বন্ধ করেছি আমরা । এখন বহির্বিভাগ চলছে সরকারি ওষুধ দিয়েই ।

আরও পড়ুন : Russia-Ukraine Conflict Impact : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রভাবিত হবে ভারতের ওষুধ ও সার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.