মন্দারমণি, 24 অগস্ট: হাইকোর্টের নির্দেশে মন্দারমণিতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধ ৷ পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মন্দারমণি কোস্টাল থানা লাগোয়া সমুদ্র উপকূলের পশ্চিম পুরুষোত্তমপুরে।
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শেখ সিরাজউদ্দিন জানান, 10 বছর আগে বিডিও এলাকার সেলফ হেল্প গ্রুপের মহিলাদের হোম স্ট্রে তৈরি করতে বলেছিলেন। সেটা যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন, তাও জানিয়েছিলেন। সেই মতো এখানকার মহিলারা লোন নিয়ে হোম স্ট্রে তৈরি করে। কিন্তু এখন তা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৷ আমরা চাই, 15 দিন আরও সময় দেওয়া হোক। পাশাপাশি পুনর্বাসন দেওয়া হোক।
স্থানীয় তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য তথা সেলফ হেল্প গ্রুপের কর্মী গৌরী দাস বলেন, "প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের সাবসিডি লোন দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই লোন নিয়ে হোম স্ট্রে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কেন তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে, আমারা তা জানি না। আমরা চাই, সরকার পুনর্বাসন দিক ৷ আমরা উঠে যাব।" যদিও এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ এই এলাকায় বহু অবৈধভাবে হোটেল ও বাড়ি নির্মাণ হয়েছে । সেগুলোকে উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ জারি করে প্রশাসন। সেই মর্মে হোটেল ও বাড়ির মালিকপক্ষ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শেষমেষে হাইকোর্ট প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বজায় রেখে অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা হোটেল ও বাড়িগুলোকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। তারপরও বেশ কয়েকদিন প্রশাসনের তরফ থেকে সময় দেওয়া হয়েছিল অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা হোটেল ও ঘরগুলো ভেঙে ফেলার জন্য। তাতেও গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কথায় কান দেননি।
আরও পড়ুন: খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা আটকানোর প্রচেষ্টা, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
এরপর বাধ্য হয়েই প্রশাসন আদালতের নির্দেশে এইদিন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রশাসন যখন বাড়ি ভাঙার কাজ চালাচ্ছিল, সেই সময় গ্রামবাসীরা তাদের কাজে বাধা দেন ৷ পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ গ্রামবাসীরা, পুলিশকে মারধর করেছে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।