ETV Bharat / state

Egra Blast Case: এগরা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ভানু বাগের স্ত্রীকে গ্রেফতার করল সিআইডি - ভানু বাগের বেআইনি বাজিকারখানায় বিস্ফোরণ

বালাসোর নয় ৷ এগরা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মৃত ভানু বাগের স্ত্রী আত্মগোপন করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরেই ৷ জেলার রামনগরে ভাইয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন গীতা বাগ ৷ বুধবার রাতে তাঁকে সেখান থেকে পুলিশের মদতে গ্রেফতার করেছে সিআইডি ৷

Egra Blast Case ETV BHARAT
Egra Blast Case
author img

By

Published : May 24, 2023, 12:46 PM IST

এগরা, (পূর্ব মেদিনীপুর), 24 মে: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভানু বাগের স্ত্রী গীতা বাগকে গ্রেফতার করল সিআইডি ৷ মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে তাঁর ভাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গীতা বাগকে ৷ গত 16 মে বিস্ফোরণের পরেই ভানু বাগ-সহ তাঁর পুরো পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া ভানু বাগের কটকের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ৷ পরবর্তীতে তাঁর ছেলে এবং ভাইপোকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷

উল্লেখ্য, এগরায় ভানু বাগের বেআইনি বাজিকারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায়, তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল রাজ্য সিআইডি ৷ তাঁকে বুধবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেখানে তাঁর ভাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গীতা বাগকে ৷ উল্লেখ্য, ভানু বাগের মৃত্যুর পর এবং তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ এবং ইন্দ্রজিতকে কটকের দু’টি পৃথক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্যে আনা হয় ৷ তবে, ভানু বাগের স্ত্রী ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ৷ প্রথমে গীতা বাগকে ধরার জন্য সিআইডি-র একটি দল ওড়িশায় গিয়েছিল ৷

সিআইডি সূত্রে খবর ছিল, গীতা বাগ ওড়িশার বালাসোরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, সেখানে তাঁর কোনও হদিশ পাননি তদন্তকারীরা ৷ কিন্তু, মঙ্গলবার গোপনসূত্র মারফৎ সিআইডি খবর পায়, গীতা বাগ তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে ফিরেছেন ৷ এরপর রাতেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি রামনগরে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁর গ্রেফতারির পর, এখনও পর্যন্ত এগরা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে 4 জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা ৷ তাঁদের মধ্যে বিস্ফোরণে শরীরের 70 শতাংশ ঝলসে যাওয়ায় ভানু বাগের মৃত্যু হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: মৃত ভানু বাগের স্ত্রীর খোঁজে বালাসোরে রাজ্য সিআইডি

অন্যদিকে, একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া গিয়েছে ৷ সেই ট্রেড লাইসেন্সটি মা সারদা আতসবাজি ভান্ডারের নামে নথিবদ্ধ করা হয়েছে ৷ কিন্তু, সরকারি ফায়ার লাইসেন্স-সহ অন্যান্য বৈধ নথি না-থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আতসবাজির ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হল ? সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাজি কারখানার ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ভানু বাগকে ৷ তৎকালীন প্রধান শান্তিলতা দাস সেই লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সই করেছিলেন বলে অভিযোগ ৷

এ নিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত অভিযোগ করেছেন, কাটমানি নিয়ে সেই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ৷ যার আড়ালে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি ৷ যদিও, স্থানীয় তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে ৷

এগরা, (পূর্ব মেদিনীপুর), 24 মে: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভানু বাগের স্ত্রী গীতা বাগকে গ্রেফতার করল সিআইডি ৷ মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে তাঁর ভাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গীতা বাগকে ৷ গত 16 মে বিস্ফোরণের পরেই ভানু বাগ-সহ তাঁর পুরো পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া ভানু বাগের কটকের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ৷ পরবর্তীতে তাঁর ছেলে এবং ভাইপোকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷

উল্লেখ্য, এগরায় ভানু বাগের বেআইনি বাজিকারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায়, তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল রাজ্য সিআইডি ৷ তাঁকে বুধবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেখানে তাঁর ভাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গীতা বাগকে ৷ উল্লেখ্য, ভানু বাগের মৃত্যুর পর এবং তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ এবং ইন্দ্রজিতকে কটকের দু’টি পৃথক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্যে আনা হয় ৷ তবে, ভানু বাগের স্ত্রী ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ৷ প্রথমে গীতা বাগকে ধরার জন্য সিআইডি-র একটি দল ওড়িশায় গিয়েছিল ৷

সিআইডি সূত্রে খবর ছিল, গীতা বাগ ওড়িশার বালাসোরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, সেখানে তাঁর কোনও হদিশ পাননি তদন্তকারীরা ৷ কিন্তু, মঙ্গলবার গোপনসূত্র মারফৎ সিআইডি খবর পায়, গীতা বাগ তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে ফিরেছেন ৷ এরপর রাতেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি রামনগরে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁর গ্রেফতারির পর, এখনও পর্যন্ত এগরা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে 4 জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা ৷ তাঁদের মধ্যে বিস্ফোরণে শরীরের 70 শতাংশ ঝলসে যাওয়ায় ভানু বাগের মৃত্যু হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: মৃত ভানু বাগের স্ত্রীর খোঁজে বালাসোরে রাজ্য সিআইডি

অন্যদিকে, একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া গিয়েছে ৷ সেই ট্রেড লাইসেন্সটি মা সারদা আতসবাজি ভান্ডারের নামে নথিবদ্ধ করা হয়েছে ৷ কিন্তু, সরকারি ফায়ার লাইসেন্স-সহ অন্যান্য বৈধ নথি না-থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আতসবাজির ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হল ? সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাজি কারখানার ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ভানু বাগকে ৷ তৎকালীন প্রধান শান্তিলতা দাস সেই লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সই করেছিলেন বলে অভিযোগ ৷

এ নিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত অভিযোগ করেছেন, কাটমানি নিয়ে সেই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ৷ যার আড়ালে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি ৷ যদিও, স্থানীয় তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.