পটাশপুর, 15 এপ্রিল: পয়লা বৈশাখে সিবিআই অভিযান ! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানো গোপাল দলপতির গ্রামের বাড়িতে হাজির সিবিআইয়ের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল ৷ তবে, অন্য়ান্য সময়ের মতো শনিবারও এই বাড়িতে ছিলেন না গোপাল ৷ তাঁকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷ যদিও, সেই কথোপকথনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্য়ে আসেনি ৷
শুক্রবার থেকে সংবাদের শিরোনামে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ৷ সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই ৷ তারই মধ্যে জানা যায়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আরও একটি দল হাজির হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে ৷ এই গ্রামেই গোপালের পিতৃপুরুষের ভিটে ৷ শনিবার সেখানেই যান সিবিআই আধিকারিকরা ৷ এলাকার এক বাসিন্দা জানান, গোপাল দলপতি তাঁদের এই পারিবারিক বাড়িতে থাকেন না ৷ তিনি থাকেন কলকাতার কোনও জায়গায় ৷ গোপাল শেষবার গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন শিবরাত্রির সময় ৷ সেই সময়েই শেষবারের মতো তাঁকে এলাকায় দেখা গিয়েছিল ৷
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডলের দাবি, 2017 সালে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় 1 কোটি টাকা তুলেছিলেন গোপাল দলপতি ৷ সেই টাকা তিনি দিয়েছিলেন আর এক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে ৷ উল্লেখ্য, ইতিমধ্য়েই কলকাতায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন গোপাল ৷ পরবর্তীতে দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও বহু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি ৷ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়েছেন ৷ তাঁর নাম জড়িয়েছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায় নামে এক মডেল ও অভিনেত্রীর সঙ্গে ৷ সূত্রের দাবি, সেই মহিলা গোপালের স্ত্রী ৷ যদিও গোপাল নিজে জানিয়েছেন, ওই মহিলা তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণের বাড়ি লাগোয়া জঙ্গলে মিলল 6 ব্যাগ !
এই প্রেক্ষাপটে গোপাল দলপতির গ্রামের বাড়িতে সিবিআই অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ তাদের বক্তব্য, সিবিআই যাই করুক, তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করুক ৷ শাসকদলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির সাফ কথা, তাঁরা কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না ৷ কেউ অন্য়ায় করলে তাঁকে আইনানুগভাবে শাস্তি পেতেই হবে ৷ কিন্তু, তৃণমূল যে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে মোটেই খুশি নয়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তরুণ ৷