তমলুক, 2 অক্টোবর : কাটমানি ফেরতের দাবিতে তমলুকের তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতে ছ'জন BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তমলুক থানার পুলিশ ৷ তারই প্রতিবাদে দলীয় কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মেচেদা হলদিয়া রাজ্য সড়কের কাকটিয়া বাজারে পথ অবরোধ করেন BJP কর্মীরা ৷ ঘণ্টাদুয়েক পর পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
তৃণমূল নেতা শেখ সইদুল এলাকায় ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের ৷ সেই কাটমানি ফেরতের দাবিতে রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে জড়ো হন এলাকাবাসীরা ৷ অভিযোগ, সে সময় সইদুল স্থানীয়দের মারধর করতে চেষ্টা করেন ৷ তারপরই উত্তেজিত বাসিন্দারা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে ৷ রাতেই সইদুল তমলুক থানায় অভিযোগ করেন ৷ তিনি জানান, দলে যোগ না দেওয়ায় BJP কর্মীরা তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ৷
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গত রাতে এলাকা থেকে 6 জন BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ৷ আজ তাদের তমলুক আদালতে তোলা হয় ৷ ঘটনার পর থেকেই বাড়ি থেকে পলাতক সইদুল ৷ অন্যদিকে, দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর থেকেই ক্ষুব্ধ BJP কর্মীরা ৷ দলীয় কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ বেলা 11 টা নাগাদ রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা ৷
শহিদ মাতঙ্গিনী মণ্ডলের সম্পাদক সহদেব সামন্ত বলেন, "বিষয়টি কোনও তৃণমূল, BJP দলের নয় ৷ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে স্থানীয়দের থেকে টাকা তুলেছিল তৃণমূল নেতা ৷ সেই টাকা ফেরতের দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ আন্দোলন করেছিল ৷ অথচ পুলিশ আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে ৷ কয়েকমাস আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় প্রায় 250 জন এই এলাকা থেকে BJP-তে যোগ দেয় ৷ আমরা চাই পুলিশ অবিলম্বে দলীয় কর্মীদের নিঃশর্তে মুক্তি দিক ৷"
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য তথা শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা বলেন, "আমাদের সরকারের আমলে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য কাউকে কোনও টাকা দিতে হয় না ৷ যদি সইদুল কারও থেকে কোনও টাকা নিয়ে থাকে, তাহলে তারা থানায় অভিযোগ জানাবে ৷ পুলিশ তা তদন্ত করে দেখবে ৷ এক্ষেত্রে কেউই টাকা ফেরতের জন্য কোথাও কোনও অভিযোগ জানায়নি ৷ তাহলে বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর চালাল কেন ? এখানে এসব করে কিছু হবে না ৷ আইন আইনের পথে চলবে ৷"
OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতে 6 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷ তাদের আজ দুপুরে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক 16 অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন ৷