খেজুরি, 26 ফেব্রুয়ারি : এবার খেজুরিতে BJP-র বিরুদ্ধে পথে নামল BJP৷ রাজনৈতিক অশান্তির জেরে উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার কুন্ঠিবাড়ি এলাকা, গ্রেপ্তার এক। আজ স্থানীয় BJP নেতা ও কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাল দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে।
ঘটনার সূত্রপাত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে৷ খেজুরি থেকে দলীয় কর্মসূচি সেরে কাঁথিতে ফিরছিলেন BJP-র কাঁথির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী৷ খেজুরির মালদা মোড়ের কাছে তাঁর গাড়িতে হামলা হয় । ঘটনার পর অনুপ বাবু সাংবাদিকদের জানান, এই হামলার পেছনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রয়েছে। পরের দিন, ১৩ তারিখে অনুপ চক্রবর্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে দেখা যায় BJP-র স্থানীয় নেতাদেরই নাম। এরপর গতকাল কাঁথির BJP-র সহ সভাপতি তিমির পন্ডাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক BJP নেতার বিরুদ্ধে আরেক BJP নেতার পুলিশে অভিযোগের ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তারই প্রতিবাদে এদিন সকালে BJP সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তুলে রাস্তায় নামেন স্থানীয় BJP কর্মী সমর্থকরা।
BJP নেতা খেজুরি দুই উত্তর মণ্ডল শক্তিকেন্দ্রের প্রমুখ বৃন্দাবন দাস বলেন, "গত ১২ তারিখে যে হামলার ঘটনা ঘটে তারপর অনুপ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেছিলেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গাড়িতে হামলা করে। আমরা তো ভারতীয় জনতা পার্টি করি। উনি আমাদেরও সুপ্রিমো । কিন্তু উনি দেখছি আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছেন।" ক্ষোভ প্রকাশ করে বৃন্দাবাবু আরও বলেন, "আমরা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বলতে চাই, কাঁথির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীকে অপসারিত করুন৷ ওঁকে ধিক্কার জানাই।"
খেজুরি দুই উত্তর মণ্ডলের বুথ সভাপতি বিপুল রায় একইরকম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৷ বলেন, "অনুপ চক্রবর্তী যে ভাবে রাজনীতি করছেন, তাতে সাধারণ মানুষ সংগঠন করবে না।" বিপুলবাবু দাবি করেন, "ওই ঘটনা তৃণমূলের লোকেরাই ঘটিয়েছিল। আমাদের নেতা BJP কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন।"
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ BJP-র সেই কাঁথির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, "ওরাই আক্রমণ করেছিল।" অনুপবাবুর প্রশ্ন, "ওরা যদি BJP করে, তাহলে BJP-র সভাপতির গাড়ির উপর কেন হামলা চালাল?"
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন, "আগেই বলেছিলাম, এর মধ্যে আমরা নেই৷ BJP-র গোষ্ঠী কোন্দলের ফল৷ শুভেন্দুর অধিকারীর নামে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।"
কাঁথি থানার IC সুনয়ন বসু জানান, "গতকাল তিমির পন্ডাকে আটক করার পর আজ কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়৷ বিচারক পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।"