তমলুক , 29 নভেম্বর : উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের বেআব্রু হয়ে পড়লো BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । গতকাল দুপুর নাগাদ কাকগেছিয়ার তমলুক সাংগঠনিক জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে শতাধিক কর্মীরা সভাপতির পদত্যাগের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখায় । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে স্বজনপোষণ করেছেন । যদিও জেলা সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তাঁর বক্তব্য তৃণমূল উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই চক্রান্ত করে তাদের দলীয় কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে । তবে, তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দলীয় সূত্রে খবর, জেলার আটটি বিধানসভা এলাকায় মোট ৪৮ টি মণ্ডলের সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে গত মাসেই । অভিযোগ সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলের দক্ষ-অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ দিয়ে পছন্দমত নেতাদের পদ পাইয়ে দিয়েছেন । যার ফলে এলাকায় রাজনীতি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দল। এলাকার শক্তি কেন্দ্রগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই এককভাবে নবারুণ নায়েক মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত হয়েছে মণ্ডল সভাপতি । এমন অভিযোগ তুলে গতকাল দুপুর নাগাদ হলদিয়া ও ময়না এলাকা থেকে আসা প্রায় শতাধিক BJP কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখায় । প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বিক্ষোভ । যদিও সেই সময় দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন না তমলুকের কোনও নেতাই । এ দিনের এই বিক্ষোভের জেরে ফের প্রকাশ্যে তমলুক BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
BJP-র ময়না উত্তর মণ্ডলের 12 নম্বর শক্তি কেন্দ্রের নেতা রণজিৎ মাইতি জেলা সভাপতির উপর ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, "জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলে থেকেই দলের ক্ষতি করার জন্য তৃণমূলের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলছে । এই দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা সভাপতিকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।" যদিও দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করতে চাননি BJP-র জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক।তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শিশির অধিকারী ।