ETV Bharat / state

BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই কি খড়গপুরের (সদর) পরাজয়ের কারণ ? জল্পনা তুঙ্গে - BJP

BJP-র গোষ্ঠী কোন্দলের আগুনে ঘি দিল উপনির্বাচনের ফলাফল । জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের।

photo
ছবি
author img

By

Published : Nov 29, 2019, 12:25 PM IST

তমলুক , 29 নভেম্বর : উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের বেআব্রু হয়ে পড়লো BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । গতকাল দুপুর নাগাদ কাকগেছিয়ার তমলুক সাংগঠনিক জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে শতাধিক কর্মীরা সভাপতির পদত্যাগের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখায় । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে স্বজনপোষণ করেছেন । যদিও জেলা সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তাঁর বক্তব্য তৃণমূল উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই চক্রান্ত করে তাদের দলীয় কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে । তবে, তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দলীয় সূত্রে খবর, জেলার আটটি বিধানসভা এলাকায় মোট ৪৮ টি মণ্ডলের সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে গত মাসেই । অভিযোগ সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলের দক্ষ-অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ দিয়ে পছন্দমত নেতাদের পদ পাইয়ে দিয়েছেন । যার ফলে এলাকায় রাজনীতি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দল। এলাকার শক্তি কেন্দ্রগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই এককভাবে নবারুণ নায়েক মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত হয়েছে মণ্ডল সভাপতি । এমন অভিযোগ তুলে গতকাল দুপুর নাগাদ হলদিয়া ও ময়না এলাকা থেকে আসা প্রায় শতাধিক BJP কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখায় । প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বিক্ষোভ । যদিও সেই সময় দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন না তমলুকের কোনও নেতাই । এ দিনের এই বিক্ষোভের জেরে ফের প্রকাশ্যে তমলুক BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

BJP-র ময়না উত্তর মণ্ডলের 12 নম্বর শক্তি কেন্দ্রের নেতা রণজিৎ মাইতি জেলা সভাপতির উপর ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, "জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলে থেকেই দলের ক্ষতি করার জন্য তৃণমূলের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলছে । এই দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা সভাপতিকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।" যদিও দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করতে চাননি BJP-র জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক।তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শিশির অধিকারী ।

তমলুক , 29 নভেম্বর : উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের বেআব্রু হয়ে পড়লো BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । গতকাল দুপুর নাগাদ কাকগেছিয়ার তমলুক সাংগঠনিক জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে শতাধিক কর্মীরা সভাপতির পদত্যাগের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখায় । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে স্বজনপোষণ করেছেন । যদিও জেলা সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তাঁর বক্তব্য তৃণমূল উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই চক্রান্ত করে তাদের দলীয় কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে । তবে, তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দলীয় সূত্রে খবর, জেলার আটটি বিধানসভা এলাকায় মোট ৪৮ টি মণ্ডলের সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে গত মাসেই । অভিযোগ সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলের দক্ষ-অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ দিয়ে পছন্দমত নেতাদের পদ পাইয়ে দিয়েছেন । যার ফলে এলাকায় রাজনীতি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দল। এলাকার শক্তি কেন্দ্রগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই এককভাবে নবারুণ নায়েক মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে নির্বাচিত হয়েছে মণ্ডল সভাপতি । এমন অভিযোগ তুলে গতকাল দুপুর নাগাদ হলদিয়া ও ময়না এলাকা থেকে আসা প্রায় শতাধিক BJP কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখায় । প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বিক্ষোভ । যদিও সেই সময় দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন না তমলুকের কোনও নেতাই । এ দিনের এই বিক্ষোভের জেরে ফের প্রকাশ্যে তমলুক BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

BJP-র ময়না উত্তর মণ্ডলের 12 নম্বর শক্তি কেন্দ্রের নেতা রণজিৎ মাইতি জেলা সভাপতির উপর ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, "জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলে থেকেই দলের ক্ষতি করার জন্য তৃণমূলের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলছে । এই দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা সভাপতিকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।" যদিও দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করতে চাননি BJP-র জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক।তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শিশির অধিকারী ।

Intro:তমলুক,২৮ নভেম্বর: উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের বেআব্রু হয়ে পড়লো বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এদিন দুপুর নাগাদ কাকগেছিয়ার তমলুক সাংগঠনিক জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে শতাধিক কর্মীরা সভাপতির পদত্যাগের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ জেলা সভাপতি মন্ডল সভাপতি নির্বাচনে স্বজনপোষণ করেছে। যদিও জেলা সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তাঁর বক্তব্য তৃণমূল উপনির্বাচনে জয় যুক্ত হওয়ার পর চক্রান্ত করে তাদের দলীয় কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। তৃণমূল তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Body:দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার আটটি বিধানসভা এলাকায় মোট ৪৮ টি মন্ডলের সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে গত মাসেই। অভিযোগ সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলের দক্ষ পুরনো নেতাদের কে বাদ দিয়ে তাঁর পছন্দমত নেতাদের পদ পাইয়ে দিয়েছেন। যার ফলে এলাকায় রাজনীতি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দল। এলাকার শক্তি কেন্দ্র গুলির সাথে কোন রকম আলোচনা না করেই এককভাবে নবারুণ নায়েক মন্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়েও নির্বাচিত হয়েছে মন্ডল সভাপতি। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন দুপুর নাগাদ হলদিয়া ও ময়না এলাকা থেকে আসা প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় আধঘন্টা ধরে চলে সেই বিক্ষোভ । যদিও সে সময় দলীয় কার্যালয় ছিলেন না তমলুক সাংগঠনিক জেলার কোন নেতাই। এদিনের এই বিক্ষোভের জেরে ফের প্রকাশ্যে এলো বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
Conclusion:বিজেপির ময়না উত্তর মন্ডলের 12 নম্বর শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ রনজিৎ মাইতি জেলা সভাপতির ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক দলে থেকেই দলের ক্ষতি করার জন্য তৃণমূলের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলছে। আর যে কারণে গত লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফল হয়েছে। মন্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি তাদের সাথে কোন রকম আলোচনা না করেই সভাপতি নির্বাচন করেছেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে যারা দলের হয়ে কাজ করেছে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা চাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা সভাপতিকে দ্রুত অপসারণ করা হোক।


যদিও দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করতে চাননি বিজেপির জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক। তার অভিযোগ, উপনির্বাচনে ফলাফল খারাপ হওয়ায় তৃণমূল চক্রান্ত করে তাদের কর্মীদের কে পাঠিয়ে এই বিশৃঙ্খলা করেছে। সারাদিন দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম সে সময় কেউ বিক্ষোভ দেখায়নি। দুপুরে আধঘন্টার জন্য জেলা পার্টির নতুন ভবন নির্মাণের কাজে গিয়েছিলাম সে সময়ই এই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাঁরা দলের কেউ নয়।


তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শিশির অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি কোন দল নয় এটি একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ওদেরকে নিয়ে কোন মন্তব্য করার আমার ইচ্ছে নেই। এটি সম্পূর্ণ ভাবেই ওদের আভ্যন্তরীণ গন্ডগোল। প্রশাসন সমস্ত কিছুর ওপর নজর রাখছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.