এগরা, 18 মে: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত পলাতক ভানু বাগকে ৷ আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ওড়িশার কটক থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সূত্রের খবর, কটকের এক হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভরতি ছিল ভানু এবং তার পুত্র।সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয় ৷ তাদের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছে ভানুর নাবালক ভাইপোকে । মঙ্গলবার বেলা সাড়ে 12টা নাগাদ ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা।
ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির মতো বিরোধী দলগুলি রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় 9 জনের। ময়নাতদন্তের পর বুধবার রাতে তাঁদের দেহ এস পৌঁছয় গ্রামে ৷ কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যায় ভানু। বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে এই ভানুকে এর আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঘটনার দিনই নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন।
আরও পড়ুন: সিপিআই থেকে তৃণমূল, রাজনীতির অলিন্দে বরাবরই সক্রিয় এগরার বাজিওয়ালা ভানু
উল্লেখ্য, গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, "ভানু বাগ তৃণমূলের এক জন বড় নেতা। উনি 2013 সালে পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন।" মৃতের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি ৷ পাশাপাশি বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু'র আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী ৷ এর আগে নিয়ম মেনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এজলাসে মামলা দায়েরের অনুমতি চান আইনজীবী ৷ বিচাপতি সে অনুমতি দেন ৷
শুভেন্দু এলাকা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই খাদিকুলে হাজির হয় তৃণমূলের 6 সদস্যের প্রতিনিধি দল। যে দলে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, বিধায়ক তরুণ মাইতি, নেতা সৌমেন মহাপাত্ররা। গ্রামে ঢুকতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভকে 'বিজেপি ও সিপিএমের আঁতাঁত' বলে কটাক্ষ করেন মানস।