রামনগর, 22 মে: এতদিন লকডাউনের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছিলেন । গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে দিশেহারা অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের পান চাষিদের । প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে পান বরজ । আর এতেই মাথায় হাত পড়েছে পান চাষিদের ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভা এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন । রামনগর থাকে পান দিল্লি, লখনউ, বেনারস সহ বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি করা হয় । এমনকী বিদেশও রপ্তানি করা হয় এখানকার পান । কিন্তু লকডাউনের জেরে পানের রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছিল । যার ফলে লকডাউনের আগে প্রতি একশোতে হলদে পানের দাম পাওয়া যেত 70-80 টাকা করে । সেখানে লকডাউনের পর হলদে পানের দাম প্রতি একশোতে 5-7 টাকায় গিয়ে দাঁড়ায় । লোকসান তো চলছিলই তার উপর আমফানের তাণ্ডবে পান বরজগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চাষিরা । ফলে আবার নতুন করে পান বরজ তৈরী করতে হবে চাষিদের । এক একটি বরজ তৈরী করতে খরচ পড়ে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা । কোথা থেকে এই বিপুল টাকা জোগাড় হবে সেটা ভেবেই মাথায় হাত পান চাষিদের ।
রামনগরের পান চাষি সুকুমার পাল বলেন, "লকডাউনের জেরে পানের দাম পাওয়া যাচ্ছিল না । তার উপর আবার আমফানের তাণ্ডবে পুরো বরজ নষ্ট হয়ে গেছে । সরকারি সাহায্যের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিকে ডেকেছিলাম । উনি এসে ঘুরে দেখে সরকারি আর্থিক সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন । কিন্তু সরকারি সাহায্যে আশ্বাস গতবারও দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু প্রতিশ্রুতিমতো এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি ।"
লকডাউনের পর আমফান, মাথায় হাত রামনগরের পান চাষিদের
লোকসান তো চলছিলই তার উপর আমফানের তাণ্ডবে পান বরজগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চাষিরা ।
রামনগর, 22 মে: এতদিন লকডাউনের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছিলেন । গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে দিশেহারা অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের পান চাষিদের । প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে পান বরজ । আর এতেই মাথায় হাত পড়েছে পান চাষিদের ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভা এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন । রামনগর থাকে পান দিল্লি, লখনউ, বেনারস সহ বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি করা হয় । এমনকী বিদেশও রপ্তানি করা হয় এখানকার পান । কিন্তু লকডাউনের জেরে পানের রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছিল । যার ফলে লকডাউনের আগে প্রতি একশোতে হলদে পানের দাম পাওয়া যেত 70-80 টাকা করে । সেখানে লকডাউনের পর হলদে পানের দাম প্রতি একশোতে 5-7 টাকায় গিয়ে দাঁড়ায় । লোকসান তো চলছিলই তার উপর আমফানের তাণ্ডবে পান বরজগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চাষিরা । ফলে আবার নতুন করে পান বরজ তৈরী করতে হবে চাষিদের । এক একটি বরজ তৈরী করতে খরচ পড়ে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা । কোথা থেকে এই বিপুল টাকা জোগাড় হবে সেটা ভেবেই মাথায় হাত পান চাষিদের ।
রামনগরের পান চাষি সুকুমার পাল বলেন, "লকডাউনের জেরে পানের দাম পাওয়া যাচ্ছিল না । তার উপর আবার আমফানের তাণ্ডবে পুরো বরজ নষ্ট হয়ে গেছে । সরকারি সাহায্যের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিকে ডেকেছিলাম । উনি এসে ঘুরে দেখে সরকারি আর্থিক সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন । কিন্তু সরকারি সাহায্যে আশ্বাস গতবারও দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু প্রতিশ্রুতিমতো এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি ।"