কাঁথি, 31 মার্চ : নন্দীগ্রামে মহারণ ৷ মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু ৷ দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে নির্বাচন ৷ আর সেই নির্বাচনের আগে একের পর এক ঘটনায় উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ৷ দলীয় কর্মীদের মারধর, বোমাবাজি এসব অভিযোগ আগেই উঠেছে, এমনকী ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে ৷ এবার এক বিজেপি কর্মীকে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের উত্তর কাঁথির বিধানসভা কেন্দ্রের বাথুয়ারি গ্রামে ৷ যদিও বিজেপির তরফে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ৷ এলাকায় চলছে পুলিশি টহল ৷
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কাঁথির বাথুয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জন্মেঞ্জয় দলাই দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করতেন ৷ নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্বও দিতেন ৷ বিজেপির তরফে অভিযোগ, এই কারণে স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি ৷ গতকাল সকাল 9 টা নাগাদ উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের বাথুয়ারির সরপাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে জন্মেঞ্জয়কে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী ৷ তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন ৷ পরিবার ও দলের কর্মীরা তাঁকে খুঁজে পায়নি ৷ বিষয়টি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্রকে বিষয়টি জানানো হয় ৷
আরও পড়ুন : ভাটপাড়ায় মদ্যপ ছেলের হাতে বাবা খুন
নিখোঁজ জন্মেঞ্জয়কে খুঁজে পেতে মরিশদা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় দলীয় কর্মী সহ পরিবারের সদস্যরা ৷ মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির প্রায় 12 কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিজেপির তরফে কাঁথি মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়েছে ৷
এদিকে সোমবার নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে ৷ বাড়ির পিছনের খাল থেকে যুবতিকে মুখ ও পা বাঁধা, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায় ৷ প্রথমে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ৷