ETV Bharat / state

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা, জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল তৃণমূলকর্মীকে - কাঞ্চন গিরি

অধিকারী গড়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে । সেই ঘটনায় ওই কর্মীকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল । অভিযুক্ত  এলাকার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা । ঘটনাটি মারিশদা থানা এলাকার । অভিযুক্তর নাম কাঞ্চন গিরি । তিনি কাঁথি পৌরসভার কাউন্সিলর অতনু গিরির দাদা বলে নিজেকে পরিচয় দেন । অতনু গিরি কাঁথির 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর । জুতোর মালা গলায় নিয়ে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত । সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায় । ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, কাঞ্চন গিরি বলছেন, "আমাকে কিছু সময় দাও । আমি ওই টাকা ফেরত দিয়ে দেব ।"

কাঞ্চন গিরি
author img

By

Published : Aug 11, 2019, 3:22 PM IST

কাঁথি, 11 অগাস্ট : অধিকারী গড়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে । সেই ঘটনায় ওই কর্মীকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল । অভিযুক্ত এলাকার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা । ঘটনাটি মারিশদা থানা এলাকার । অভিযুক্তর নাম কাঞ্চন গিরি । তিনি কাঁথি পৌরসভার কাউন্সিলর অতনু গিরির দাদা বলে নিজেকে পরিচয় দেন । অতনু গিরি কাঁথির 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর । জুতোর মালা গলায় নিয়ে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত । সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায় । ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, কাঞ্চন গিরি বলছেন, "আমাকে কিছু সময় দাও । আমি ওই টাকা ফেরত দিয়ে দেব ।"

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউন্সিলর কাম তৃণমূলের নেতার দাদা - এটাই পরিচয় ছিল কাঞ্চনের । অভিযোগ, এই পরিচয়ের জেরে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন কাঞ্চন । টাকা ফেললেই নাকি চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন তিনি । এভাবেই গত কয়েক বছরে তিনি না কি প্রায় কোটিপতি হয়েছেন । কিন্তু, টাকা দিয়েও চাকরি পাননি অনেকে । তাঁরা টাকা ফেরত পেতে তাগাদা দিচ্ছিলেন । লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের শক্তি কমলে কাঞ্চনকে বাগে পান প্রতারিতরা । গতকাল মরিশদা থানার সামনে কাঞ্চনকে পেয়ে শুরু হয় মারধর । এরপর জুতোর মালা পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কিছুটা পথ । নিজের কৃতকর্মের কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে টাকা ফেরতের জন্য কিছুদিন সময় চেয়ে রেহাই পান কাঞ্চন ।

শুনুন বক্তব্য

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন, " তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে কেউ যদি কোনও অন্যায় করে সে দায় দলের নয় । এখন BJP ও CPI(M) -র লোক ফেঁসে গিয়ে বাঁচার জন্য তৃণমুল কংগ্রেসের নাম নিচ্ছে । অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনওদিনই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না । সত্যি যদি কেউ চাকরি নিয়ে প্রতারণা করে তার দায় সম্পূর্ণ সেই ব্যক্তির, দলের নয় ।"

কাঁথি, 11 অগাস্ট : অধিকারী গড়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে । সেই ঘটনায় ওই কর্মীকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল । অভিযুক্ত এলাকার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা । ঘটনাটি মারিশদা থানা এলাকার । অভিযুক্তর নাম কাঞ্চন গিরি । তিনি কাঁথি পৌরসভার কাউন্সিলর অতনু গিরির দাদা বলে নিজেকে পরিচয় দেন । অতনু গিরি কাঁথির 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর । জুতোর মালা গলায় নিয়ে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত । সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায় । ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, কাঞ্চন গিরি বলছেন, "আমাকে কিছু সময় দাও । আমি ওই টাকা ফেরত দিয়ে দেব ।"

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউন্সিলর কাম তৃণমূলের নেতার দাদা - এটাই পরিচয় ছিল কাঞ্চনের । অভিযোগ, এই পরিচয়ের জেরে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন কাঞ্চন । টাকা ফেললেই নাকি চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন তিনি । এভাবেই গত কয়েক বছরে তিনি না কি প্রায় কোটিপতি হয়েছেন । কিন্তু, টাকা দিয়েও চাকরি পাননি অনেকে । তাঁরা টাকা ফেরত পেতে তাগাদা দিচ্ছিলেন । লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের শক্তি কমলে কাঞ্চনকে বাগে পান প্রতারিতরা । গতকাল মরিশদা থানার সামনে কাঞ্চনকে পেয়ে শুরু হয় মারধর । এরপর জুতোর মালা পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কিছুটা পথ । নিজের কৃতকর্মের কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে টাকা ফেরতের জন্য কিছুদিন সময় চেয়ে রেহাই পান কাঞ্চন ।

শুনুন বক্তব্য

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন, " তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে কেউ যদি কোনও অন্যায় করে সে দায় দলের নয় । এখন BJP ও CPI(M) -র লোক ফেঁসে গিয়ে বাঁচার জন্য তৃণমুল কংগ্রেসের নাম নিচ্ছে । অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনওদিনই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না । সত্যি যদি কেউ চাকরি নিয়ে প্রতারণা করে তার দায় সম্পূর্ণ সেই ব্যক্তির, দলের নয় ।"

Intro:অধিকারীর গড়ে কাটমানি ফেরতের দাবিতে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হলো তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাইকে ।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে প্রতারণা। এই অভিযোগে কাঁথি পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অতনু গিরির ভাইকে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরালেন প্রতারিতরা। জুতোর মালা গলায় নিয়েই আর্থিক প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত কাঞ্চন গিরি । অভিযুক্তের অভিযোগ স্বীকারের সেই ভিডিও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। কাউন্সিলার কাম নেতা দাদার ভাই । এটাই পরিচয় ছিল কাঞ্চনের।আর এই পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে বেশ মহান কর্মদাতা হয়ে উঠেছিলেন কাঞ্চন । টাকা ফেললেই নাকি চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন কাঞ্চনদা।এভাবেই গত কয়েক বছরে কোটি অঙ্কের বেশি টাকা হাতিয়ে রাজা হয়েছিলেন কাঞ্চন। কিন্তু দরদাম করে টাকা নিলেও চাকরির সার্টিফিকেট আর হাত পাননি পরীক্ষা প্রার্থীরা। মারিশদা এলাকার বেশ কিছুজন এভাবে প্রতারিত হয়েছেন বুঝে টাকা ফেরতের তাগাদা দিয়ে আসছিলেন । কিন্তু কাঞ্চন এতদিন ছিলেন রাজার মেজাজেই। কিন্তু এখন তৃণমূলের দুর্গপতনের ইঙ্গিতে কাঞ্চনকে শুধুমাত্র বাগে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন প্রতারিতরা । যে সুযোগ পেয়ে যান তাঁরা, তার পর শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি । জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয় কিছুটা পথ। এরপর নিজের কৃতকর্মের কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে টাকা ফেরতের জন্য কিছুদিন সময় চেয়ে নিলে রেহাই পায় প্রতারক কাঞ্চন গিরি । তৃণমূল নেতা দাদার ভাইয়ের এমন কীর্তি ফাঁসে রীতিমতো খোরাক পেয়ে বসেছে বিজেপি।কাঁথিতে একেবারে অধিকারী গড়েই এভাবেই সর্বপ্রথম সামনে এসেছে কাটমানি ফেরত চাওয়ার ঘটনা । যদিও তৃণমূলের জেলার সাধারন সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কাউন্সিলর এই কাঞ্চন গিরির সঙ্গে জড়িত নয় । কাঞ্চন গিরি কোথাও ব্যক্তিগত ভাবে কারোর কাছ থেকে টাকা পয়সা নিলে তৃণমূল দাই নয় ।Body:অধিকারীর গড়ে কাটমানি ফেরতের দাবিতে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হলো তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাইকে ।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে প্রতারণা। এই অভিযোগে কাঁথি পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অতনু গিরির ভাইকে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরালেন প্রতারিতরা। জুতোর মালা গলায় নিয়েই আর্থিক প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত কাঞ্চন গিরি । অভিযুক্তের অভিযোগ স্বীকারের সেই ভিডিও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। কাউন্সিলার কাম নেতা দাদার ভাই । এটাই পরিচয় ছিল কাঞ্চনের।আর এই পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে বেশ মহান কর্মদাতা হয়ে উঠেছিলেন কাঞ্চন । টাকা ফেললেই নাকি চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন কাঞ্চনদা।এভাবেই গত কয়েক বছরে কোটি অঙ্কের বেশি টাকা হাতিয়ে রাজা হয়েছিলেন কাঞ্চন। কিন্তু দরদাম করে টাকা নিলেও চাকরির সার্টিফিকেট আর হাত পাননি পরীক্ষা প্রার্থীরা। মারিশদা এলাকার বেশ কিছুজন এভাবে প্রতারিত হয়েছেন বুঝে টাকা ফেরতের তাগাদা দিয়ে আসছিলেন । কিন্তু কাঞ্চন এতদিন ছিলেন রাজার মেজাজেই। কিন্তু এখন তৃণমূলের দুর্গপতনের ইঙ্গিতে কাঞ্চনকে শুধুমাত্র বাগে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন প্রতারিতরা । যে সুযোগ পেয়ে যান তাঁরা, তার পর শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি । জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয় কিছুটা পথ। এরপর নিজের কৃতকর্মের কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে টাকা ফেরতের জন্য কিছুদিন সময় চেয়ে নিলে রেহাই পায় প্রতারক কাঞ্চন গিরি । তৃণমূল নেতা দাদার ভাইয়ের এমন কীর্তি ফাঁসে রীতিমতো খোরাক পেয়ে বসেছে বিজেপি।কাঁথিতে একেবারে অধিকারী গড়েই এভাবেই সর্বপ্রথম সামনে এসেছে কাটমানি ফেরত চাওয়ার ঘটনা । যদিও তৃণমূলের জেলার সাধারন সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কাউন্সিলর এই কাঞ্চন গিরির সঙ্গে জড়িত নয় । কাঞ্চন গিরি কোথাও ব্যক্তিগত ভাবে কারোর কাছ থেকে টাকা পয়সা নিলে তৃণমূল দাই নয় ।Conclusion:অধিকারীর গড়ে কাটমানি ফেরতের দাবিতে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হলো তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাইকে ।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে প্রতারণা। এই অভিযোগে কাঁথি পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অতনু গিরির ভাইকে জুতোর মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরালেন প্রতারিতরা। জুতোর মালা গলায় নিয়েই আর্থিক প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত কাঞ্চন গিরি । অভিযুক্তের অভিযোগ স্বীকারের সেই ভিডিও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। কাউন্সিলার কাম নেতা দাদার ভাই । এটাই পরিচয় ছিল কাঞ্চনের।আর এই পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে বেশ মহান কর্মদাতা হয়ে উঠেছিলেন কাঞ্চন । টাকা ফেললেই নাকি চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন কাঞ্চনদা।এভাবেই গত কয়েক বছরে কোটি অঙ্কের বেশি টাকা হাতিয়ে রাজা হয়েছিলেন কাঞ্চন। কিন্তু দরদাম করে টাকা নিলেও চাকরির সার্টিফিকেট আর হাত পাননি পরীক্ষা প্রার্থীরা। মারিশদা এলাকার বেশ কিছুজন এভাবে প্রতারিত হয়েছেন বুঝে টাকা ফেরতের তাগাদা দিয়ে আসছিলেন । কিন্তু কাঞ্চন এতদিন ছিলেন রাজার মেজাজেই। কিন্তু এখন তৃণমূলের দুর্গপতনের ইঙ্গিতে কাঞ্চনকে শুধুমাত্র বাগে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন প্রতারিতরা । যে সুযোগ পেয়ে যান তাঁরা, তার পর শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি । জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয় কিছুটা পথ। এরপর নিজের কৃতকর্মের কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে টাকা ফেরতের জন্য কিছুদিন সময় চেয়ে নিলে রেহাই পায় প্রতারক কাঞ্চন গিরি । তৃণমূল নেতা দাদার ভাইয়ের এমন কীর্তি ফাঁসে রীতিমতো খোরাক পেয়ে বসেছে বিজেপি।কাঁথিতে একেবারে অধিকারী গড়েই এভাবেই সর্বপ্রথম সামনে এসেছে কাটমানি ফেরত চাওয়ার ঘটনা । যদিও তৃণমূলের জেলার সাধারন সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কাউন্সিলর এই কাঞ্চন গিরির সঙ্গে জড়িত নয় । কাঞ্চন গিরি কোথাও ব্যক্তিগত ভাবে কারোর কাছ থেকে টাকা পয়সা নিলে তৃণমূল দাই নয় ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.