তমলুক, 3 জুন: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে হাতের কাছে পেয়ে তাঁর দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হল গ্রামবাসীরা ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ এমনকী ওইসব তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর তমলুক ব্লকের মিরপুরে ৷
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচির শুক্রবার ছিল চতুর্থ দিন বা শেষ দিন । নন্দীগ্রামে রাত্রি যাপন করার পর নন্দকুমার হাইরোডের মোড় থেকে বাজার পর্যন্ত পদযাত্রা করেন অভিষেক । নন্দকুমার বাজার থেকে মহিষাদল প্রজ্ঞানন্দ ভবনে যান তিনি । সুশীল ধাড়া, সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানান । এরপর মহিষাদল থেকে ময়নার উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর ময়নায় কাসাই সেতুর থেকে তিন মাথার মোড় পর্যন্ত পথযাত্রা করেন তিনি ।
ময়না থেকে ফেরার পথে তমলুক ব্লকের মিরপুরের কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামবাসীরা হঠাৎ অভিষেকের গাড়ি ঘিরে ধরেন ৷ তাঁকে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় । তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে গিয়ে তাদের অভিযোগ শোনেন । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তমলুক ব্লকের পদমপুর 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসী দাস ও উপ-প্রধান সুকুমার নায়েক আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন । কিন্তু তারা বাড়ি এখনও পায়নি ৷ এমনকী বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট জলে ডুবে গেলেও কোন সুরাহা করা হয় না ।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামই পাখির চোখ, দীর্ঘ পদযাত্রা করে বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে সামনে পেয়ে অনেকে ক্ষোভ উগড়ে দেন ৷ তারা জানান, স্যার এইসব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন । না হলে তারা দলটাকে শেষ করে দেবে । এখানেই শেষ নয়, গুরুতর আরও অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা । পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয় ৷ কিন্তু এখনও কেউ চাকরি পায়নি বলে গ্রামবাসীরা দাবি করে । স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আপনারা তাদেরকে দল থেকে সরিয়ে দিন ৷ না হলে পুরো দলটাই শেষ হয়ে যাবে ।
আরও পড়ুন: 'ভালোবাসায় আপ্লুত হলাম', নন্দীগ্রামকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব । যারা টাকা নিয়েছে তাদের নামে থানায় অভিযোগ করুন এবং এলাকায় এলে তাদের বেঁধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন ।"
যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।