হলদিয়া, 18 এপ্রিল : লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে । এই পরিস্থিতিতে ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বসিয়ে খাওয়াতে নারাজ ইটভাটার মালিক । তাই রাতের অন্ধকারে সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গোপনে কাজ শুরু হয় হলদিয়ার দুর্গাচকের একটি ইটভাটায় । সেইসময় মজুত থাকা ইট চাপা পড়ে মৃত্যু হল ভিনরাজ্য থেকে আসা এক শ্রমিকের । গুরুতর আহত আরও এক শ্রমিক । মৃতের নাম সঞ্জয় মাঝি (42) । তিনি বিহারের বাসিন্দা । আহত শ্রমিক বর্তমানে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই ইটভাটার মালিক ।
14 এপ্রিল পর্যন্ত নিয়ম মেনে বন্ধ ছিল দুর্গাচকের ওই ইটভাটার সমস্ত কাজ । মালিকও নিজের উদ্যোগে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাদ্যদ্রব্য তুলে দিয়েছিলেন । কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্তে বদল আসে মালিকের । শ্রমিকদের বসিয়ে খাওয়াতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন । কিন্তু দুর্গাচক থানার পুলিশি টহলে দিনের বেলায় ইটভাটার কাজ করা সম্ভব নয় । তাই রাতের অন্ধকারে ইটভাটার কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন মালিক । সেইমতো কাজ শুরু করেন শ্রমিকরাও ।
গতরাতেও প্রায় 25 জন শ্রমিক ইটভাটায় কাজ করছিলেন । হঠাৎই সেসময়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মজুত করা ইটের একটি দেওয়াল । কিছু শ্রমিক পালিয়ে বাঁচলেও চাপা পড়ে যান দুই শ্রমিক । পরে ভাটা শ্রমিক ও হলদিয়া পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর ভক্তিপ্রসাদ বলিদা আহত দু'জনকে উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা সঞ্জয় মাঝিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । গুরুতর আহত এক শ্রমিক বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন । কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনের মাঝে কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে দিনের পর দিন শ্রমিকদের দিয়ে কাজ চলছিল ইটভাটায়?
![Labour Died](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wbemid1haldiabrickkilnworkinlockdowndeathworker7204300_17042020144105_1704f_1587114665_944.jpg)
এ বিষয়ে দুর্গাচক থানার OC বিপ্লব হালদার জানিয়েছেন, ভাটার মালিক সুব্রত দাসের খোঁজ চলছে । কেন রাতের অন্ধকারে ভাটায় কাজ হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । শ্রমিকরা যাতে কোনওভাবেই খাওয়ার থেকে বঞ্চিত না হন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।