ETV Bharat / state

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তমলুকের প্রথম কোরোনা আক্রান্ত 82 বছরের বৃদ্ধ

29 শে মার্চ শারীরিক অসুস্থতার কারণে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা বৃদ্ধ পান ব্যবসায়ী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। 31 মার্চ তাঁর শরীরে কোরোনা ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা পরিবারের আরও 10 জন নতুন করে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা চলাকালীন বৃদ্ধের এক ভাইয়ের মৃত্যু হলেও পূর্বেই পরিবারের অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত 18মে ওই বৃদ্ধকে পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।

tamluk
তমলুক
author img

By

Published : May 23, 2020, 10:42 PM IST

তমলুক, 23 মে : সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তমলুকের প্রথম কোরোনা আক্রান্ত 82 বছরের বৃদ্ধ । এছাড়া কোলাঘাট ও ঝাড়গ্রামের তিন ব্যক্তিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। আজ বিকেল নাগাদ তাঁদের পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নার্সও এদিন সুস্থ হয়ে জেলায় ফেরেন। প্রত্যেককেই আগামী 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের 29 মার্চ শারীরিক অসুস্থতার কারণে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা বৃদ্ধ পান ব্যবসায়ী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। 31 মার্চ তাঁর শরীরে কোরোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা পরিবারের আরও 10 জন নতুন করে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা চলাকালীন বৃদ্ধের এক ভাইয়ের মৃত্যু হলেও পূর্বেই পরিবারের অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত 18 মে ওই বৃদ্ধকে পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।

অপরদিকে গত 7 মে কোরোনায় আক্রান্ত হন ঝাড়গ্রামের এক যুবক। বছর 28 এর ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ থেকে পরের দিন অর্থাৎ 8 তারিখ স্থানান্তরিত করা হয় পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে। তিনিও এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

আক্রান্ত দুই ব্যক্তি চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠায় গত বৃহস্পতিবার তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠানো হয় R G কর মেডিকেল কলেজে। সেই রিপোর্ট গতকাল হাসপাতালে কোরোনা নেগেটিভ এসে পৌঁছায়। পরে ওই দিনই ফের তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্ট করা হলে R G কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শনিবার সকাল নাগাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ পাঠালে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁদের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।এছাড়া কোলাঘাটের পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার 22 বছর বয়সের যুবক আক্রান্ত হন 12 মে । জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে ওইদিনই আক্রান্তকে তিনি যে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সেখানেই চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে তাকে সেখান থেকে MR বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন সন্ধে নাগাদ তিনি সুস্থ হয়ে কলকাতা থেকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে বাড়ি ফেরেন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল নাগাদ তমলুক ও ঝাড়গ্রামের কোরোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁদের হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে কোলাঘাটের কোরোনা আক্রান্ত যুবক ও এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। সকলকেই আগামী 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তমলুক, 23 মে : সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তমলুকের প্রথম কোরোনা আক্রান্ত 82 বছরের বৃদ্ধ । এছাড়া কোলাঘাট ও ঝাড়গ্রামের তিন ব্যক্তিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। আজ বিকেল নাগাদ তাঁদের পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নার্সও এদিন সুস্থ হয়ে জেলায় ফেরেন। প্রত্যেককেই আগামী 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের 29 মার্চ শারীরিক অসুস্থতার কারণে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা বৃদ্ধ পান ব্যবসায়ী কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। 31 মার্চ তাঁর শরীরে কোরোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা পরিবারের আরও 10 জন নতুন করে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা চলাকালীন বৃদ্ধের এক ভাইয়ের মৃত্যু হলেও পূর্বেই পরিবারের অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত 18 মে ওই বৃদ্ধকে পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।

অপরদিকে গত 7 মে কোরোনায় আক্রান্ত হন ঝাড়গ্রামের এক যুবক। বছর 28 এর ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ থেকে পরের দিন অর্থাৎ 8 তারিখ স্থানান্তরিত করা হয় পাঁশকুড়ার কোরোনা হাসপাতালে। তিনিও এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

আক্রান্ত দুই ব্যক্তি চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠায় গত বৃহস্পতিবার তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠানো হয় R G কর মেডিকেল কলেজে। সেই রিপোর্ট গতকাল হাসপাতালে কোরোনা নেগেটিভ এসে পৌঁছায়। পরে ওই দিনই ফের তাঁদের সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্ট করা হলে R G কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শনিবার সকাল নাগাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ পাঠালে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁদের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।এছাড়া কোলাঘাটের পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার 22 বছর বয়সের যুবক আক্রান্ত হন 12 মে । জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে ওইদিনই আক্রান্তকে তিনি যে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সেখানেই চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে তাকে সেখান থেকে MR বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন সন্ধে নাগাদ তিনি সুস্থ হয়ে কলকাতা থেকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে বাড়ি ফেরেন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল নাগাদ তমলুক ও ঝাড়গ্রামের কোরোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁদের হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। MR বাঙুর হাসপাতাল থেকে কোলাঘাটের কোরোনা আক্রান্ত যুবক ও এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। সকলকেই আগামী 14 দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.