ভূপতিনগর, ২৫ ফেব্রুয়ারি : ভূপতিনগরে যুবক খুনে গ্রেপ্তার হল প্রেমিকা সায়নী মণ্ডল। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় সায়নীর বাবা মদন মণ্ডল, মা পরি, ভাই সোমশংকর, রঞ্জিতের দুই বন্ধু সমীর সিং ও অসিত দাসকে। আজ তাদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। সায়নী মণ্ডল, তার বাবা, মা, ভাই-কে ৩০২, ২০১ ও ৩৪ নম্বর ধারায় সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি রঞ্জিতের দুই বন্ধুকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রেমিকার বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে উদ্ধার হয় ভূপতিনগরের খানজাতপুরের বাসিন্দা রঞ্জিত মণ্ডলের (২১) অগ্নিদগ্ধ দেহ। ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেমিকা সায়নী মণ্ডল, তার বাবা, মা , ভাই, দিদিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। ঘটনার দিন রঞ্জিতের সঙ্গে তাঁর দুই বন্ধু সমীর ও অসিত ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে পুলিশ। এমন কী, তাদের কাছেই হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের মোবাইল বিক্রি করে ঘটনার দিন মদ খেয়েছিলেন রঞ্জিত। তাই রঞ্জিতের খুনের সঙ্গে তাঁর দুই বন্ধুর সংযোগ থাকতে পারে বলে মনে করে পুলিশ। ছেড়ে দেওয়া হয় সায়নীর দিদিকে।
গতকাল কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে রঞ্জিতের দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় রঞ্জিতকে। তারপর দেহটিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ ফের সায়নীর দিদি ও জামাইবাবুকে আটক করে। তারপর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় আটক ৮ অভিযুক্তকে। মুখোমুখি জেরার পর ছেড়ে দেওয়ায় হয় সায়নীর দিদি ও জামাইবাবুকে। গ্রেপ্তার করা হয় সায়নী, তার বাবা, মা, ভাই ও রঞ্জিতের দুই বন্ধুকে।
কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজনারায়ণ মুখার্জি বলেন, "ছ'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুনের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম।"