ETV Bharat / state

চেন্নাই থেকে মেচেদা ফিরলেন 28 জন পরিযায়ী শ্রমিক

author img

By

Published : May 12, 2020, 9:32 PM IST

কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে থাকার তাগিদেই সরকারি সাহায্য না পেয়ে বাড়ি থেকে টাকা জোগাড় করে 2 লাখ 24 হাজার টাকা খরচে বাস ভাড়া করে জেলায় ফিরলেন চেন্নাইয়ের 28 জন পরিযায়ী শ্রমিক । আজ দুপুরে মেচেদায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয় ।

28 migrant workers returned to mecheda from chennai
চেন্নাই থেকে মেচেদা ফিরলেন 28 জন পরিযায়ী শ্রমিক

মেচেদা, 12 মে : কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে গোটা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । আর সেই লকডাউনের কারণে ট্রেন ও যানবাহন না চলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন রাজ্যের শ্রমিক । কাজ বন্ধ থাকায় সঞ্চিত অর্থ প্রায় শেষের মুখে ৷ তাই খাবারও জুটছিল না । সবশেষে কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে থাকার তাগিদেই সরকারি সাহায্য না পেয়ে বাড়ি থেকে টাকা জোগাড় করে 2 লাখ 24 হাজার টাকা খরচে বাস ভাড়া করে জেলায় ফিরলেন চেন্নাইয়ের 28 জন পরিযায়ী শ্রমিক । আজ দুপুরে মেচেদায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর তাঁদের হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয় ।

অপরিকল্পিত লকডাউনের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ও চণ্ডীপুর এলাকার 28 জন পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন চেন্নাইয়ে । তারা প্রত্যেকেই সেখানে রাজমিস্ত্রি ও দর্জির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । লকডাউনের কারণে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় রোজকার । যেটুকু পারিশ্রমিক জোগাড় হয়েছিল তাও প্রতিদিন বাড়ি ভাড়া দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতেই শেষ হয়ে যায় । সরকারি তরফে প্রচারিত একাধিক ফোন নম্বরে ফোন করে মিলেছে শুধুই প্রতিশ্রুতি ৷ মেলেনি কোনও সাহায্য । ফলে কোনওভাবেই বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করতে পারেননি তাঁরা । যে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচতে ফিরতে হবে বাড়ি ৷ আর তাই আপ্রাণ চেষ্টা । সবশেষে পরিবারের সদস্যরা এলাকার প্রতিবেশীদের কাছে ধার-দেনা করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায় । সবশেষে গত রবিবার সন্ধ্যায় 2 লাখ 24 হাজার টাকার বিনিময়ে একটি বাস ভাড়া করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় তারা । দীর্ঘ যাত্রাপথে মেলেনি কোনও খাবারের সন্ধান । আজ সকাল 11টা নাগাদ সমস্ত শ্রমিকদের নিয়ে বাস এসে পৌঁছায় মেচেদা স্টেশন লাগোয়া পথসাথী আবাসনে । সেখানেই দুপুরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর 14 দিনের হোম আইসোলেশন যান চেন্নাই ফেরত শ্রমিকেরা ।

শেখ রেজাবুল নামে চেন্নাই ফেরত এক শ্রমিক বলেন, " কাজ বন্ধ থাকায় সমস্ত টাকা-পয়সাও প্রায় শেষ হয়ে গেছিল । সেখানে জলটাও পর্যন্ত আমাদের কিনে খেতে হয় । বাড়ি ফেরার জন্য সরকারের তরফে কোনওরকম কোনও সাহায্য সহযোগিতা পাইনি । খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটছিল । শুধুমাত্র প্রাণে বেঁচে থাকার তাগিদেই বাড়ির লোকেদের অনুরোধ করি ৷ তারা টাকা জোগাড় করে পাঠানোয় আমরা আজ ফিরতে ফিরেছি । কী কষ্টের মধ্য দিয়ে ফিরেছি তা বলে বোঝাতে পারব না । " এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, " চেন্নাই থেকে ফেরা প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকদের থার্মাল স্ক্রিনিং ও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে । প্রত্যেকের নাম ঠিকানা সহ ফোন নম্বরের একটি তালিকা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর তৈরি করেছে । কয়েক দিনের মধ্যে সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্ট করার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে । "

মেচেদা, 12 মে : কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে গোটা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । আর সেই লকডাউনের কারণে ট্রেন ও যানবাহন না চলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন রাজ্যের শ্রমিক । কাজ বন্ধ থাকায় সঞ্চিত অর্থ প্রায় শেষের মুখে ৷ তাই খাবারও জুটছিল না । সবশেষে কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে থাকার তাগিদেই সরকারি সাহায্য না পেয়ে বাড়ি থেকে টাকা জোগাড় করে 2 লাখ 24 হাজার টাকা খরচে বাস ভাড়া করে জেলায় ফিরলেন চেন্নাইয়ের 28 জন পরিযায়ী শ্রমিক । আজ দুপুরে মেচেদায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর তাঁদের হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয় ।

অপরিকল্পিত লকডাউনের কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ও চণ্ডীপুর এলাকার 28 জন পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন চেন্নাইয়ে । তারা প্রত্যেকেই সেখানে রাজমিস্ত্রি ও দর্জির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । লকডাউনের কারণে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় রোজকার । যেটুকু পারিশ্রমিক জোগাড় হয়েছিল তাও প্রতিদিন বাড়ি ভাড়া দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতেই শেষ হয়ে যায় । সরকারি তরফে প্রচারিত একাধিক ফোন নম্বরে ফোন করে মিলেছে শুধুই প্রতিশ্রুতি ৷ মেলেনি কোনও সাহায্য । ফলে কোনওভাবেই বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করতে পারেননি তাঁরা । যে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচতে ফিরতে হবে বাড়ি ৷ আর তাই আপ্রাণ চেষ্টা । সবশেষে পরিবারের সদস্যরা এলাকার প্রতিবেশীদের কাছে ধার-দেনা করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায় । সবশেষে গত রবিবার সন্ধ্যায় 2 লাখ 24 হাজার টাকার বিনিময়ে একটি বাস ভাড়া করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় তারা । দীর্ঘ যাত্রাপথে মেলেনি কোনও খাবারের সন্ধান । আজ সকাল 11টা নাগাদ সমস্ত শ্রমিকদের নিয়ে বাস এসে পৌঁছায় মেচেদা স্টেশন লাগোয়া পথসাথী আবাসনে । সেখানেই দুপুরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর 14 দিনের হোম আইসোলেশন যান চেন্নাই ফেরত শ্রমিকেরা ।

শেখ রেজাবুল নামে চেন্নাই ফেরত এক শ্রমিক বলেন, " কাজ বন্ধ থাকায় সমস্ত টাকা-পয়সাও প্রায় শেষ হয়ে গেছিল । সেখানে জলটাও পর্যন্ত আমাদের কিনে খেতে হয় । বাড়ি ফেরার জন্য সরকারের তরফে কোনওরকম কোনও সাহায্য সহযোগিতা পাইনি । খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটছিল । শুধুমাত্র প্রাণে বেঁচে থাকার তাগিদেই বাড়ির লোকেদের অনুরোধ করি ৷ তারা টাকা জোগাড় করে পাঠানোয় আমরা আজ ফিরতে ফিরেছি । কী কষ্টের মধ্য দিয়ে ফিরেছি তা বলে বোঝাতে পারব না । " এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, " চেন্নাই থেকে ফেরা প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকদের থার্মাল স্ক্রিনিং ও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে । প্রত্যেকের নাম ঠিকানা সহ ফোন নম্বরের একটি তালিকা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর তৈরি করেছে । কয়েক দিনের মধ্যে সোয়াব সংগ্রহ করে টেস্ট করার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে । "

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.