মন্তেশ্বর, 9 সেপ্টেম্বর : শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল যুবতির ঝুলন্ত দেহ ৷ মৃতের নাম রিম্পা প্রামাণিক (28) ৷ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রিম্পার স্বামী পিন্টু প্রামাণিকের বিরুদ্ধে৷ পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । বর্ধমান হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷
পরপর চার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন রিম্পা ৷ তার জেরেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত বলে অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, রিম্পার বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্ক রয়েছে বলেও সন্দেহ করত পিন্টু৷ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পিন্টুর প্ররোচনাতেই রিম্পা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ রিম্পার বাড়ির লোকজনের আরও অভিযোগ, তাঁরা মেয়েকে দেখতে গেলে তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
বছর দশেক আগে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কানপুরের বাসিন্দা পিন্টু প্রামাণিকের সঙ্গে বিয়ে হয় সিহিগ্রামের বাসিন্দা রিম্পা বাগের ৷ অভিযোগ, রিম্পার কন্যাসন্তান জন্মানোর পর থেকেই তাকে মারধর সহ মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ প্রথমবার যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন রিম্পা ৷ এরপরের দু'বার আবারও দুই কন্যাসন্তানের জন্ম হয় ৷ এরপর থেকেই তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের পরিমাণ বাড়তে থাকে ৷ এই বিষয়ে রিম্পার মা রিনা বাগ ও তাঁর এক দাদা কার্তিক নাগ বলেন, বিয়ের পর থেকে অত্যাচার চালাত স্বামী পিন্টু ও তার বাড়ির লোকজন । চার কন্যাসন্তানের জন্মের পর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে । তার উপর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহ করত পিন্টু । এর আগে অনেকবার অশান্তির পর মীমাংসাও হয় । রবিবার সকালে রিম্পার শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে রিম্পার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় ৷ রিম্পার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁদের জানানো হয় রিম্পা গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে । এরপর তাঁরা রিম্পার শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ রিম্পার মা ও ভাইয়ের অভিযোগ, নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন রিম্পা ৷ এই বিষয়ে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযোগে স্বামী পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷